‘নারী ও সংখ্যাল্পদের বিরুদ্ধে ঘৃণ্য উক্তি বন্ধে সচেতনতা বাড়াতে হবে’
২৪ মার্চ ২০২৫ ২২:৫৫
ঢাকা: নারী এবং জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যাল্প জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ঘৃণ্য উক্তি ও অপপ্রচার বন্ধে সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। সেই সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ধারণা প্রসারে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানোর প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
সোমবার (২৪ মার্চ) রাজধানীর মোহাম্মদপুরে লরেল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মিলনায়তনে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) আয়োজিত আলোচনা সভায় এ আহ্বান জানান নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। লরেল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় ধারণাপত্র পাঠ করেন বিএনপিএস’র করিমুন্নেছা আকন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে দারুন নাজাত ইসলামিয়া মারদাসার প্রধান শিক্ষক মাওলানা কাউসার আহমেদ বলেন, ‘সব ধর্মই শান্তি ও ন্যায়ের কথা বলে। তাই অন্যায় অবিচার থেকে নিজেদেরক মুক্ত রাখতে হবে। ধর্মীয় শাসন মানতে হবে। ধর্মীয় স্বাধীনতায় বিশ্বাস করতে হবে। তাহলে সমাজে হানাহানি মারামারি খুন ও ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ কমবে।’
লরেল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমান সময়ে ধর্ষণ, হত্যা, নারীহেনস্থা যে পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে, তা থেকে বাঁচার জন্য সচেতনতা ও ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। ধর্ষণ ও নির্যাতনের মত ঘটনা বেশি ঘটায় পুরুষরা। কাজেই তাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা মানুষ এটাই আমাদের প্রধান পরিচয়। আর নাগরিক হিসেবে আমাদের সবার অধিকার সমান। তাই আমাদের পরস্পর পরস্পরকে আপনজন ভাবতে হবে। তাহলে কোনো বিবাদ থাকবে না। আমরা শান্তিতে থাকব এবং দেশের উন্নয়ন হবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল শিশির মণ্ডল বলেন, ‘আমাদের সকল নাগরিক সমাজকে ঐকবদ্ধ থাকতে হবে। নারীর বিষয়টি শুধু নারীদের উপরই ছেড়ে দিলে হবে না। আবার ধর্মীয় ইস্যূকে টেনে একটি গোষ্ঠী পাশে থাকবে অন্য গোষ্ঠী থাকবে না, সেটা করাও ঠিক হবে না। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই ধরনের ঘৃণ্য অপরাধের প্রতিবাদ জানাতে হবে। আর ভুক্তোভোগীর পাশেও থাকতে হবে।’
বিএনপিএস’র ঢাকা পশ্চিম কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মো. হেলাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন কচিকণ্ঠ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী আশরাফ, দারুন নাজাত ইসলামিয়া মাদরাসা প্রধান শিক্ষক মাওলানা কাউসার আহমেদ ও উন্নয়ন কর্মী মাহমুদা আকন্দ।
সভায় লরেন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং কচিকণ্ঠ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষিকা, নারী দল, ইয়ুথ গ্রুপ এবং কমিউনিটি ফোরামের সদস্যরা অংশ নেন।
সারাবাংলা/এফএন/এইচআই