‘গত ২দিনের ঘটনা যদি অ্যানালাইসিস করি বহু কিছু বেরিয়ে আসবে’
২৪ মার্চ ২০২৫ ২১:৪৬ | আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৫ ২২:৪২
ঢাকা: গত দুই দিনের ঘটনা অ্যানালাইসিস করলে বহু কিছু বেরিয়ে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
সোমবার (২৪ মার্চ) রাজধানীর লেডিসক্লাবে বিএনপির মিডিয়া সেল আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘যে অবস্থাটা গত দুই দিনে আমরা দেখলাম…। কখনো নতুন রাজনৈতিক দল, কখনো পুরোনো রাজনৈতিক দল, কখনো প্রফেশনাল কিছু লোকের কথা-বার্তা শুনে যতটুকু আশান্বিত হয়েছিলাম, ততটুকু হতাশও হয়ে যাই। কেমন যেন একটা আবহাওয়া, কেমন যেন একটা পরিস্থিতি— যেটাকে বিশ্লেষণ করা খুব ডিফিক্যাল, খুবই ডিফিক্যাল।’
‘শুধু বলব, যেমন আবহাওয়ায় থাকুক, ৫ আগস্টের আগে যে পরিস্থিতি ছিল, সেটা আর ফিরে না আসুক। ফিরে আসলে এদেশের অস্তিত্ব বিলিন হয়ে যাবে’— বলেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার জন্য দেশে এবং বিদেশে বহু চক্র কাজ করছে। গত দুই দিনের ঘটনা যদি আমরা অ্যানালাইসিস করি বহু কিছু বেরিয়ে আসবে।’
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা কথা বললেই একদল লোক দেশে বসে রাগ করেন, আরেক দল লোক বিদেশে বসে রাগ করেন। তার পরও কিছু কিছু কথার জবাব আমাকে দিতেই হবে। আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি। এখন কেউ যদি বলে, এ দেশটা কারও বাপের না। তাহলে আমার গায়ে খুব লাগে।’
“গায়ে লাগে এই কারণেই যে, এই দেশটা যদি আমার বাপের না হতো, তাহলে আমার হতো না। যদি আমার না হতো, তাহলে আমার ছেলের হতো না, যদি আমার ছেলের না হতো, আমাদের নাতিদের হতো না। আমি বলতে চাই দেশটা সকলের বাপের দেশ। সেই সুবাদে দেশটা আমাদের দেশ। সুতরাং ‘দেশটা কারও বাপের না’— এই কথা যারা বলেন, তারা সাবধানে বলবেন’’— বলেন মির্জা আব্বাস।
তিনি বলেন, ‘‘আমার দেশের জন্য আমি যুদ্ধ করেছি, লড়াই করেছি, আরও করব। তার আগে একটা কথা বলে যাই, আমরা অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে সংস্কারের কাগজপত্র জমা দিয়েছি। এখন এই সরকারকে বলতে চাই, যে সংস্কার করছেন, এটা এখন পর্যন্ত এ দেশের লোক দেখে নাই। আর যেটা দৃশ্যমান সংস্কার হতে পারে, সেটা অবিলম্বে শুরু করেন।’
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘‘সচিবালয়ের ভেতরে যারা আপনাদের সংস্কার কাজকে বাধা দেবে, বিপথগামী করবে, সেই সব সচিবরা এখনো বসা আছে। তাদের সরানোর ব্যবস্থা করেন। প্রশাসনে প্রতি রন্ধ্রে, রন্ধ্রে… ওই যে ডিএনএ টেস্ট করে চাকরি দেওয়া হয়েছিল, তারা বসা আছে। তাদের বাছাই করেন। তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনেন। তারা এত বছর চাকরি করে আজও সচিবালয়ে বসে আছে। এটা কিন্তু সন্দেহের অনেক অবকাশ রাখে যে সংস্কার বাস্তবায়ন হবে কিনা।’’
মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ আলমগীর হোসেন পাভেলের সভাপতিত্বে, সদস্য সচিব শহিদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম