সুন্দরবনের আগুন নেভানোর কাজ বন্ধ, জোয়ারের অপেক্ষায় ফায়ার সার্ভিস
২৪ মার্চ ২০২৫ ১৭:১০
বাগেরহাট: সুন্দরবনের পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস, বন বিভাগ ও স্থানীয়রা। নিকটবর্তী ভোলা নদীতে এখন ভাটা চলায় পানির অভাবে আগুন নেভানোর কাজ আপাতত বন্ধ রয়েছে। ফলে পাম্প চালিয়ে পানি ছিটানো সম্ভব হচ্ছে না, সন্ধ্যায় জোয়ার এলে তবেই আবার কাজ শুরু করা যাবে।
সোমবার (২৪ মার্চ) ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত নদীতে পানি না থাকায় ফায়ার সার্ভিসের পাম্প বন্ধ রাখতে হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আবু বকর জামান বলেন, সকালে ৮টি ইউনিটের ৪১ জন সদস্য আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। আমাদের সঙ্গে বনবিভাগ ও স্থানীয় লোকজন সহযোগিতা করছেন। আগুন নেভানোর জন্য প্রচুর পানি দরকার, কিন্তু নদীতে পানি না থাকায় আগুন নেভানো সম্ভব হচ্ছে না। রোববার রাতে কয়েক ঘণ্টা পানি ছিটানো গেলেও ভাটা শুরু হওয়ায় এখন পাম্প চালানো যাচ্ছে না। তবে বিকেলে জোয়ার আসলেই আবার পানি ছিটানো শুরু হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা মুনসুর সানা বলেন, ‘ভোলা নদীতে ভাটার সময় একেবারে পানি থাকে না। আজ জোয়ার আসতে বিকেলের হয়ে যাবে। নদী পানিতে ভরতে সন্ধ্যা হতে যাবে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নূরুল করিম বলেন, দিন-রাত আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, তবে নদীতে পানির অভাবে পানি ছিটানো সম্ভব হচ্ছে না। আগুন যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সে জন্য ফায়ার লাইন কেটে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। জোয়ার এলেই পাম্প চালিয়ে পানি দেওয়া হবে। আগুন যাতে এলাকায় না ছড়ায়, সে জন্য বন বিভাগের সঙ্গে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা আশপাশের এলাকায় ফায়ার লাইন কেটে আগুন ঠেকানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক দীপন চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক দীপন চন্দ্র দাসের জানান, আমরা এখনো নিশ্চিত নই কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হলো বা ঠিক কতটুকু ক্ষতি হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।
উল্লেখ্য, শনিবার (২২ মার্চ) সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের কলমতেজী টহল ফাঁড়ি এলাকায় আগুন লাগে। এরপরে সুন্দরবনের তেইশের ছিলার শাপলার বিল এলাকায় আগুনের ধোঁয়া দেখা যায়।
সারাবাংলা/এইচআই