Monday 24 Mar 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

একটি শক্তি এনার্কি সৃষ্টি করে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে: আমীর খসরু

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২২ মার্চ ২০২৫ ২০:১৩ | আপডেট: ২২ মার্চ ২০২৫ ২২:৫০

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

চট্টগ্রাম ব্যুরো: একটি শক্তি দেশে এনার্কি (নৈরাজ্য) সৃষ্টি করে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। যারা এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত, তাদের বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক অধিকারকে বাধাগ্রস্ত করার দায় নিতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

শনিবার (২২ মার্চ) বিকেলে নগরীর লালখান বাজারে একটি কমিউনিটি সেন্টারে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির ইফতার উপলক্ষ্যে সাংবাদিকদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা যদি সত্যিকারের নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই, তাহলে আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে আসতে হবে। আমরা আন্দোলন করেছি ১৬ বছর কি জন্য ? বাংলাদেশের মানুষের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার মূল বাহক হচ্ছে নির্বাচন। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে যাবার জন্য মূল বাহক হচ্ছে একটি নির্বাচিত সরকার, একটি নির্বাচিত সংসদ। বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে পরিবর্তনের যে আকাঙ্ক্ষা, যে মনোবাসনা জেগেছে, সেটা পূরণের পন্থা হচ্ছে একটা গণতান্ত্রিক অর্ডারে গিয়ে একটি নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে যে পরিবর্তনের কথা আমরা বলছি, সেই পরিবর্তনটা সংসদে নিয়ে আসা। এই পরিবর্তন করার জন্য আর দ্বিতীয় কোনো পন্থা নেই।’

এর মধ্যে কেউ কেউ ‘দ্বিতীয় পন্থা’র খোঁজ করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা দ্বিতীয় পন্থার খোঁজে আছে, তারা বাংলাদেশের মানুষের ত্যাগের বিরুদ্ধে কাজ করছে। বাংলাদেশের মানুষ ১৬ বছর ধরে জীবন দিয়ে যে ত্যাগ করেছে, সেটার পরিপূর্ণতা আসবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে, একটি সুষ্ঠু সংসদ, একটি সরকার গঠন করবে, যারা মানুষের সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে। যাদের ওপর মানুষের ম্যান্ডেট থাকবে, আকাঙ্ক্ষা পূরণ তাদের মাধ্যমে হতে হবে। সেটা বাংলাদেশের মানুষের মালিকানা ফিরিয়ে দিয়ে একটি নির্বাচনের মাধ্যমে করতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আমরা বিগতদিনে দেখেছি, শেখ হাসিনা সেটা পূরণ করতে দেয়নি। সে নির্বাচনবিহীন অবস্থায় বাংলাদেশকে শাসন করে গেছে। জনগণের মালিকানা কেড়ে নিয়েছে, জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে, জনগণের মানবাধিকার কেড়ে নিয়েছে, জনগণের সাংবিধানিক, রাজনৈতিক, গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এখন সেটি ফেরত দেওয়ার মূল বাহক হচ্ছে একটি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, সুষ্ঠু নির্বাচন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরে আসবে, একটি প্রক্রিয়া ফিরে আসবে যেটি গণতান্ত্রিক হবে। বাংলাদেশে নির্বাচিত সংসদ, সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে, জবাবদিহি থাকবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের কাছে কিন্তু এখন কেউ জবাবদিহি নেই। বাংলাদেশে একটি সরকার আছে, কিন্তু তারা যেহেতু ভোটে নির্বাচিত হয়নি, তাদের কিন্তু জনগণের কাছে কোনো জবাবদিহিতা নেই। এজন্যই আজ একটি নির্বাচিত সরকারের প্রয়োজন। আমরা একেকটি দিন অতিবাহিত করছি একটি অনির্বাচিত সরকারের অধীনে। একেকটি দিন অতিবাহিত করছি জনগণের ম্যান্ডেটহীন সরকারের অধীনে। একেকটি দিন অতিবাহিত করছি বাংলাদেশের মানুষের ইচ্ছার প্রতিফলন যাদের কাছে ঘটেনি, তাদের মাধ্যমে। সুতরাং এটা আমাদের তাড়াতাড়ি করতে হবে। নির্বাচনী ব্যবস্থা শুরু করতে হবে। নির্বাচনের দিনক্ষণ মানুষের সামনে পরিষ্কারভাবে আসতে হবে, সমস্ত জাতি যাতে এটার প্রস্তুতি নিতে পারে।’

একটি শক্তি নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে অভিযোগ করে আমীর খসরু বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনার জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা, মালিকানা ফিরে পাবার যে আকাঙ্ক্ষা, সেটা শেখ হাসিনা যেভাবে বাধাগ্রস্ত করেছে, এখন আবার আরেকটি শক্তি অন্যভাবে সেটা বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। শেখ হাসিনা একভাবে বাধাগ্রস্ত করেছে, এরা কিন্তু অন্যভাবে সেটা বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশে নির্বাচন না হতে পারলে বোধহয় তারা খুব খুশি। বাংলাদেশের মানুষ ভোট দিতে না পারলে…।’

‘বাংলাদেশের মানুষের মালিকানা যদি টিকিয়ে রাখতে হয়, তাহলে সেই প্রক্রিয়াটা যাতে শুরু না হয়, শেখ হাসিনা যেভাবে নিজের মতো করে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার যে বিভিন্ন প্রক্রিয়া, এখন মনে হয় কিছু কিছু মানুষের মনে সেই আকাঙ্খা জেগেছে। সেই আকাঙ্খা হাসিনা একভাবে পূরণ করেছে, এরা আরেকভাবে পূরণ করতে চাচ্ছে। এরা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চাচ্ছে। এরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে চাচ্ছে। এরা বাংলাদেশের মানুষের অধিকারকে বাধাগ্রস্ত করতে চাচ্ছে। এরা বাংলাদেশের মানুষের মালিকানা ফিরিয়ে দেয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে চাচ্ছে।’

দেশের চলমান পরিস্থিতির প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির এ শীর্ষ নেতা বলেন, ‘আপনারা দৈনন্দিন যে ঘটনাগুলো ঘটছে সবাই দেখছেন, দেশে এনার্কি সৃষ্টি করার একটি প্রক্রিয়া চলছে। অর্থাৎ এনার্কি সৃষ্টি করে যদি নির্বাচনটা বন্ধ করা যায়। এনার্কি সৃষ্টির কারণে যাতে গণতান্ত্রিক অর্ডারে আমরা ফিরে যেতে না পারি। যেজন্য শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আমরা লড়েছি এত বছর, সেই একই প্রক্রিয়া আর চলতে দেওয়া যায় না। বাংলাদেশের মানুষ নিশ্চিতভাবে এই প্রক্রিয়াকে রোধ করবে। তারা তাদের ভোটাধিকারের মাধ্যমে, তাদের গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক, সাংবিধানিক অধিকারের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করবে, যারা তাদের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে, জবাবদিহি থাকবে দৈনন্দিন ভিত্তিতে, এটার অপেক্ষায় জনগণ আছে।’

‘আর কোনো প্রক্রিয়ায় শেখ হাসিনার মতো নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে পিছিয়ে দেওয়া, বাধাগ্রস্ত করা, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা, আইনের শাসনকে বাধাগ্রস্ত করা, বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক, সাংবিধানিক অধিকারকে বাধাগ্রস্ত করা, যারা নামবে এটাতে তাদের এটার জন্য দায় নিতে হবে। এই দায় তাদের নিতেই হবে। সুতরাং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তারা সঠিক সিদ্ধান্তে ফিরে আসবে, বাংলাদেশের মানুষের জন্য মঙ্গল, দেশের জন্য মঙ্গল, তাদের নিজেদের জন্যও মঙ্গল’, – বলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

‘বিএনপির ক্ষতি করার জন্য নতুন-নতুন বয়ান বাজারে ছাড়া হচ্ছে’

বিএনপির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের অভিযোগ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যাদের রাজনৈতিক কোনো মতাদর্শ নেই, যাদের রাজনীতি দৈন্য হয়ে গেছে, তারা এ ধরনের কথা বাজারে এনে বিএনপির জনপ্রিয়তাকে ক্ষতি করতে চাচ্ছে। যে দল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত শেখ হাসিনার হাতে, যে দল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ফ্যাসিস্টের হাতে, যে দলের ৬০-৭০ লাখ নেতাকর্মী মিথ্যা মামলার সম্মুখীন, যে দলের হাজার-হাজার নেতাকর্মী গুম-খুনের শিকার হয়েছে, যে দলের নেতাকর্মীরা পুলিশের হেফাজতে মৃত্যুবরণ করেছে, যে দলের নেতাকর্মীরা জেলে চিকিৎসার অভাবে কষ্টভোগ করেছে, বেগম জিয়াসহ, আমিসহ, কেউ যদি বলে আমরা তাদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করছি, তাহলে তাদের কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডা নেই, তারা নতুন নতুন ধারণা, নতুন নতুন বয়ান বাজারে ছেড়ে চেষ্টা করছে বিএনপির জনপ্রিয়তার ক্ষতি করার জন্য। তাদের আর কোনো রাজনৈতিক বয়ান নেই।’

‘আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, বিএনপির মতো ক্ষতিগ্রস্ত, আমার মতো ক্ষতিগ্রস্ত তাদের মধ্যে কয়জন আছে? আমি যতবার জেলে গেছি, আমার ওপর যত নির্যাতন হয়েছে, আমার পরিবারের ওপর যত নির্যাতন হয়েছে, যারা বলছে, তাদের কি এর এক শতাংশ হয়েছে? তারেক রহমান সাহেব পরিষ্কার করে বলেছেন, আমরা কোনো প্রতিশোধের, প্রতিহিংসার রাজনীতি বাংলাদেশে করব না কিন্তু বিচার করতে হবে। শেখ হাসিনাসহ তার সহযোগীদের, যারা দেশের মানুষের ওপর নির্যাতন, গুম-খুন, মিথ্যা মামলায় হয়রানি করেছে, দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছে, প্রত্যেকের বিচার করতে হবে। সেটা এখন হচ্ছে কিনা আমার সন্দেহ আছে, তবে বিএনপি এলে সেই কাজটা আমরা পরিপূর্ণভাবে করব।’

পুলিশ ও প্রশাসনের বিদ্যমান পরিস্থিতি নির্বাচন করার উপযুক্ত কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘একটা দেশের প্রশাসন পুলিশ আর সরকারি কর্মকর্তা দিয়ে চলে না। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার যখন আসে, এই ফাউন্ডেশনের ওপর ভিত্তি করে পুলিশ-প্রশাসন তার দায়িত্ব পালন করে। এখন বাংলাদেশে যেসব সমস্যা দেখতে পাচ্ছি, যেহেতু বাংলাদেশে কোনো নির্বাচিত সরকার নেই, এজন্য কোনো ফাউন্ডেশনও নেই, পলিটিক্যাল মোবিলাইজেশন নেই, এজন্য সমস্যাগুলো তৈরি হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের মূল শক্তি হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। নির্বাচনের মূল শক্তি হচ্ছে জনগণ। পুলিশ ও প্রশাসন সহায়ক ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশের মানুষ প্রস্তুত একটি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, নতুন প্রজন্ম নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। পুলিশ কিংবা প্রশাসন হচ্ছে সহায়ক শক্তি, এটা মাথায় রাখতে হবে। পুলিশ একা কোনোদিন কোনো নির্বাচন সফল করতে পারে না, প্রশাসন পারে না। দেশের মানুষসহ সবাই মিলে নির্বাচন সফল করতে হয়। এজন্য বাংলাদেশের মানুষ প্রস্তুত আছে।’

বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, ‘যারা নির্বাচনকে পিছিয়ে দিতে চাচ্ছে, এসব অবশ্য তাদের যুক্তির একটা অংশ। যারা বিএনপিকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না, এটা তাদের প্রোপাগান্ডার একটি অংশ। তবে আমি বলতে চাই, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিচারহীনতায় বিশ্বাস করে না। পাঁচ আগস্টের পরে যতগুলো ঘটনা ঘটেছে, সেসব ঘটনায় যতজন বিএনপি নেতাকর্মীর নাম এসেছে, পত্রপত্রিকার মাধ্যমে আসুক কিংবা কারও অভিযোগের মাধ্যমে আসুক, এ পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার বিএনপি নেতাকর্মীদের বহিষ্কার করা হয়েছে। বাংলাদেশের আর কোনো দল এই উদাহরণ তৈরি করতে পারেনি। অভিযোগে যেভাবেই আসুক, কোনো ধরনের ইনভেস্টিগেশন ছাড়াই তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি প্রশ্ন তুলেছি, তদন্ত ছাড়াই যে বিএনপি নেতাকর্মীদের বহিষ্কার করা হচ্ছে, আমরা দেখছি যে অনেক নেতাকর্মীই এ ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িত নেই। মিথ্যা অভিযোগের শিকার তারা। কিন্তু বিএনপি সেটার জন্য অপেক্ষা করছে না, আগে বহিষ্কার, তদন্ত করছে পরে। তদন্তে যদি দেখা যায় সে নির্দোষ, তাহলে দলে ফিরে আসতে পারছে। সুতরাং একটি দল সরকারের বাইরে থেকে এটা করছে, কিন্তু আমরা যদি সরকারে থাকতাম, এদের অনেকে জেলে থাকত।’

‘সরকারকে বলব, বিএনপি বলে কথা নয়, যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ড করবে, তাদের গ্রেফতার করুন, বিচার করুন, ইনক্লুডিং বিএনপি। আজ বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে আমরা এ কাজটাই করতাম। বিএনপি বিচারহীনতা কোনোদিন সহ্য করতে পারে না। আরও অনেক দলের নেতাকর্মী কিন্তু এ ধরনের কাজে জড়িত আছে, তাদের বিরুদ্ধে কিন্তু দলীয়ভাবে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। বিএনপি একমাত্র দল, দুই হাজারের মতো নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছে। ক্ষমতায় থাকুক আর ক্ষমতার বাইরে থাকুক, বিএনপি এ ব্যাপারে অনড় থাকবে,’ – বলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় নগর কমিটির সাবেক সভাপতি ও সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, নগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদসহ নগর কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/আরডি/এইচআই

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী নৈরাজ্য বিএনপি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর