Sunday 23 Mar 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভোটারের ১৬ এবং প্রার্থীর বয়স ২৩ বছর করার প্রস্তাব রাখবে এনসিপি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২২ মার্চ ২০২৫ ১২:৩৪ | আপডেট: ২২ মার্চ ২০২৫ ১৭:০০

জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার।

ঢাকা: জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে ভোটারের বয়স ১৬ বছর আর নির্বাচনে প্রার্থীর বয়স ২৩ বছর করার প্রস্তাব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার।

শনিবার (২২ মার্চ) সকালে রাজধানীর রুপায়ন সেন্টারে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানান তিনি।

সারোয়ার তুষার বলেন, ‘রোববার (২৩ মার্চ) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে সংস্কার সুপারিশমালা জমা দেওয়া হবে। সেখানে ভোট দেওয়ার বয়স ১৬ বছর এবং নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বয়স ২৩ বছর করার প্রস্তাব করবে এনসিপি।’

সারোয়ার তুষার বলেন, ‘সংস্কার প্রস্তাবে বলা হয়েছে প্রার্থীর ন্যূনতম বয়স ২১ বছর। আমরা মনে করছি এটা ২৩ বছর হতে পারে। সেক্ষেত্রে আমরা মনে করছি ভোট দেওয়ার বয়স ১৬ বছর হতে পারে। এর কারণ হচ্ছে এবারের অভ্যুত্থানকে সারা বিশ্বের জেন-জির অভ্যুত্থান বলা হচ্ছে। গণঅভ্যুত্থানে তাদের এত বড় একটা স্টেপ তৈরি হলো, এরপর পরবর্তিত যে বাংলাদেশ এবং আসন্ন যে নির্বাচন সেই নির্বাচনে তারা মতামত দিতে পারবে না শুধুমাত্র বয়স ১৮ বছরের নিচে হওয়ার কারণে। এটা আমরা যৌক্তিক মনে করছি না। এ জন্য ১৬ বছর ভোটারের বয়স করার জন্য আগামীকাল আমরা প্রস্তাব করব।’

তিনি বলেন, ‘এনসিপি মনে করে আগামী নির্বাচন গণপরিষদ হওয়া উচিত। সংবিধান সংস্কার কাজ শেষ করে একটা নির্দিষ্ট সময় পর এই গণপরিষদই আইন সভায় রূপান্তরিত হবে।’

এ সময় সারোয়ার তুষার বলেন, আওয়ামী লীগ দেশবিরোধী শক্তি, রাজনীতিতে ফিরলে দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি হবে।

তিনি আরও বলেন, শুরু থেকে বলে এসেছি আমরা একটি নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান চাই। সেটা করার জন্য আমরা সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি মনে করি গণপরিষদ নির্বাচন। সেক্ষেত্রে আমরা বলেছি গণপরিষদ নির্বাচন যদি না হয় তাহলে গণপরিষদ এবং আইনসভা হিসেবে নির্বাচিত সংসদ হতে হবে। এমন একটা আইনসভা গণপরিষদের ভূমিকায় থাকবে। এ বিষয়ে আমরা আগামীকাল কথা বলব।

বিজ্ঞাপন

সারোয়ার তুষার বলেন, ‘পুলিশ সংস্কার কমিশন এবং স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের স্প্রেডশিট আমাদের কাছে কেন পাঠানো হলো না? বাহাত্তরের সংবিধান অভ্যুত্থানের পরে আর কার্যকর নয়। যদিও প্রশ্ন আসে যে এই সরকার তো সংবিধানের মধ্য দিয়ে শপথ নিয়েছে। এটা একটা টেকনিক্যাল ব্যাপার। আমরা মনে করি গণপরিষদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সম্পূর্ণ নতুন সংবিধান লেখা উচিত।’

রোববার দুপুর ২টায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয় এনসিপির প্রতিনিধিদল আনুষ্ঠানিক সকল মতামত জমা দেবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান সারোয়ার তুষার।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সংস্কার সমন্বয় কমিটির সদস্য মনিরা শারমিন, জাবেদ রাসিন, যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত এবং কেন্দ্রীয় সংগঠক আরমান হোসাইন।

এর আগে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপ ও বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলোচনার জন্য পাঁচ সদস্যের সংস্কারবিষয়ক সমন্বয় কমিটি গঠন করেছে এনসিপি। কমিটিতে সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সারোয়ার তুষারকে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন মনিরা শারমিন, জাবেদ রাসিন, সালেহ উদ্দিন ও আরমান হোসাইন।

সারাবাংলা/এফএন/ইআ

সারাবাংলা/এফএন/ইআ

এনসিপি সারোয়ার তুষার