কুড়িগ্রামে কিশোরীকে ১৮ দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ
২০ মার্চ ২০২৫ ১৯:৩৮
কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলায় কিশোরীকে ১৮ দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুরে কুড়িগ্রাম ক্যাম্প, সেনাবাহিনীর একটি দল অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে। এ সময় ভুক্তভোগী কিশোরীকে পুলিশ হেফাজতে দিয়েছে সেনাবাহিনী।
সেনাবাহিনী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, লালমনিরহাট জেলার সদর উপজেলায় গকুন্ডা ইউনিয়নের চড়গকুন্ডা গ্রামের বাসিন্দা মৃত টেংরা মামুদের ছেলে ফজলুল হক (৪৮) গত ২ মার্চ কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়নের মধ্য সুলতান মাহমুদ গ্রামের সতেরো বছরের এক কিশোরীকে জোর করে তুলে নিয়ে যান। তখন থেকে কিশোরী মেয়েটিকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত ফজলুল হক নিজ বাড়িতে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন করেন এবং শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও ধারণসহ ছবি তুলে রাখার অভিযোগ উঠেছে।
বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমসহ লোকমুখে ছড়িয়ে পড়লে বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুরে কুড়িগ্রাম সেনবাহিনী ক্যাম্প অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় সেনাবাহিনীর সহায়তায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে রাজারহাট থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়। অভিযানের সময় ফজলুল হকের বাড়ি থেকে ২টি ছুরি, দা-কাচি এবং ১টি এসএস পাইপ উদ্ধার করে।
কুড়িগ্রাম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান জিহাদী বলেন, আমার গ্রামের এক কিশোরীকে মেয়েকে ট্রাক চালক ফজলুল হক অপহরণ করে নিয়ে যায়। টানা ১৮দিন আটয়ে রেখে ধর্ষন করেছে। গতকাল রাতে ভুক্তভোগী কিশোরী কোনো রকমে পালিয়ে আসে এবং এক বাড়িতে আশ্রয় নেয়। কিশোরীর মুখে ঘটনা শুনে এলাকাবাসী ফজুলল হকের বাড়ি ঘেরাও করলে ফজলুল হক ও তার স্ত্রী পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী কিশোরী জানায়, দীর্ঘ দিন ধরে ফজলুল হক ও তার স্ত্রী আমাকে অনৈতিক কাজের প্রস্তাব দিয়ে আসছে। আমি রাজি না হওয়ায় তারা আমাকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর জোরপূর্বক আমাকে ধর্ষণ করে। এই ঘটনা বাইরে প্রকাশ করলে তারা আমার সাথে শারিরীক সম্পর্কের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। আমি এর বিচার চাই।
রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ তছলিম উদ্দিন বলেন, মেয়েটি বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। তবে ঘটনাস্থল লালমনিরহাট জেলায়। লালমনিরহাট পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। তারা এসে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
সারাবাংলা/এনজে