যুদ্ধবিরতির বিষয়ে পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ করবেন ট্রাম্প
১৮ মার্চ ২০২৫ ১৩:৪২ | আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৫ ১৬:২০
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে একটি সমঝোতা চুক্তি করার লক্ষ্যে মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইউক্রেনে রাশিয়ার তিন বছর ধরে চলমান যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটানোর জন্য পুতিনকে রাজি করানোর চেষ্টা করবেন তিনি। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রয়টার্সের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
এই উচ্চ পর্যায়ের আলোচনাটি ট্রাম্পের আলোচিত চুক্তি করার দক্ষতার পরীক্ষা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এছাড়া পুতিনের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক নিয়ে পশ্চিমা মিত্ররা যে শঙ্কা প্রকাশ করেছে, সেটিরও একটি পরীক্ষা হতে চলেছে এই আলোচনা।
ট্রাম্প সোমবার (১৮ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে জানান, ‘চুক্তির অনেক কিছুই চূড়ান্ত হয়েছে, তবে এখনো কিছু বাকি রয়েছে। প্রতি সপ্তাহে আড়াই হাজার সৈন্য নিহত হচ্ছে উভয় পক্ষেরই। এটি এখনই বন্ধ হওয়া উচিত। আমি পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপের অপেক্ষায় রয়েছি।’
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকালে ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে ফোনালাপ হবে। তবে তারা সঠিক সময় জানায়নি, শুধুমাত্র জানিয়েছে যে এটি ওয়াশিংটন ও মস্কোর সময়ের পার্থক্যের ওপর নির্ভর করবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মতে, ইউক্রেন ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি জানিয়েছে। সোমবার (১৭ মার্চ) ফক্স নিউজ রেডিওর ‘দ্য গাই বেনসন শো’-তে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, ‘গত সপ্তাহে আমরা ইউক্রেনের কাছ থেকে ভালো প্রতিশ্রুতি পেয়েছি। তারা সম্মত হয়েছে যে, যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে চলমান সংঘাতের সমাপ্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হবে। এখন আমাদের রাশিয়ার কাছ থেকে একই ধরনের প্রতিশ্রুতি নিতে হবে।’
ট্রাম্প তার দীর্ঘমেয়াদি শান্তি পরিকল্পনার কিছু দিক ইঙ্গিত দিয়েছেন, যার মধ্যে ইউক্রেনের কিছু অঞ্চল রাশিয়াকে ছেড়ে দেওয়া এবং একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আলোচনা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
কিন্তু ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বারবার বলেছেন, ‘আমাদের সার্বভৌমত্ব কোনোভাবেই আলোচনা সাপেক্ষ নয়। রাশিয়াকে আমাদের দখল করা এলাকা ছেড়ে দিতে হবে।’
২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল করে এবং ২০২২ সালে ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন চালিয়ে দেশটির চারটি পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চল দখলে নেয়। পুতিন দাবি করেছেন, নাটোর সম্প্রসারণ রাশিয়ার নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করায় এই আগ্রাসন চালানো হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, রাশিয়া দখল করা অঞ্চলগুলো ধরে রাখবে, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে, এবং ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করতে হবে।
সারাবাংলা/এনজে