ইরাক-যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ হামলায় আইএস’র শীর্ষ নেতা নিহত
১৫ মার্চ ২০২৫ ১৩:৩৪ | আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫ ১৬:৩০
ইরাক ও সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) শীর্ষ নেতা আবদাল্লাহ মাক্কি মুসলিহ আল-রিফা, যিনি আবু খাদিজা নামে পরিচিত, ইরাক ও যুক্তরাষ্ট্র পরিচালিত যৌথ হামলায় নিহত হয়েছেন। ইরাকি কর্মকর্তা এবং মার্কিন সামরিক কমান্ডারদের তথ্যমতে, পশ্চিম ইরাকে এক বিমান হামলায় ইরাক ও সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) প্রধান নিহত হয়েছেন।
ইরাকি জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী এই অভিযান পরিচালনা করেছে বলে জানিয়েছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি। প্রধানমন্ত্রী সুদানি বলেছেন, আবু খাদিজা ইরাক এবং বিশ্বব্যাপী অন্যতম বিপজ্জনক সন্ত্রাসী ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের সাহসী যোদ্ধারা তাকে খুঁজে বের করে নির্মূল করেছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দাবি করেছে, বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলীয় আল-আনবার প্রদেশে এই হামলা চালানো হয়।
সেন্টকম জানায়, আবু খাদিজা আইএস-এর সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থার প্রধান ছিলেন এবং বিশ্বব্যাপী সংগঠনটির সামরিক অভিযান, সরবরাহ ও পরিকল্পনার দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়া, তিনি আইএস-এর বৈশ্বিক অর্থায়নেরও বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করতেন।
ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করে বলেন, ‘তার দুর্ভাগ্যজনক জীবন শেষ হয়েছে, সঙ্গে আরেকজন আইএস সদস্যও নিহত হয়েছে। এই অভিযান ইরাকি সরকার ও কুর্দি আঞ্চলিক সরকারের সমন্বয়ে পরিচালিত হয়েছে। শক্তির মাধ্যমে শান্তি!’
ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে নিহত ব্যক্তিটি আবু খাদিজা। আগের একটি অভিযানে অল্পের জন্য পালিয়ে যাওয়ার পর তার ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল বলে জানায় সেন্টকম।
সেন্টকমের কমান্ডার জেনারেল মাইকেল এরিক কুরিলা বলেন, ‘আমরা সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে এবং তাদের সংগঠন ভেঙে দিতে অভিযান চালিয়ে যাব, যাতে তারা আমাদের দেশ, মিত্রদের ও আঞ্চলিক নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলতে না পারে।’
এক সময় আইএস ইরাক ও সিরিয়ার বিস্তৃত অঞ্চলে ৮৮ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ন্ত্রণ করত এবং প্রায় ৮ মিলিয়ন মানুষের ওপর তাদের কঠোর শাসন চালিয়েছিল।
২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে ইরাক সরকার আইএস পরাজিত হয়েছে বলে ঘোষণা দেয়, আর ২০১৯ সালে সংগঠনটি তাদের সর্বশেষ দখলীকৃত ভূখণ্ড থেকেও বিতাড়িত হয়। তবে এখনো বিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসী হামলার মাধ্যমে আইএসের সক্রিয় সদস্যরা ইরাকের বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্যবস্তু করছে।
সারাবাংলা/এনজে