Saturday 15 Mar 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নিজ দেশে ফিরতে চায় রোহিঙ্গারা: জাতিসংঘ মহাসচিব

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৪ মার্চ ২০২৫ ২০:৫০ | আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৫ ২২:৩০

রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে গেছেন অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস

কক্সবাজার: কয়েক দশক ধরে বৈষম্য ও নির্যাতনের পর আট বছর আগে রাখাইন রাজ্যে গণহত্যার শিকার হলে এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেয় বাংলাদেশ। এখন বিশ্বের সহায়তা প্রয়োজন। তারা বাড়ি ফিরতে চায়, মিয়ানমার তাদের মাতৃভূমি। নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন এই সংকটের প্রধান সমাধান।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে গিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

এদিন জাতিসংঘ মহাসচিব বিমানবন্দর থেকে সরাসরি উখিয়ায় যান। সেখানে তিনি রোহিঙ্গা লার্নিং সেন্টার, রোহিঙ্গাদের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।

এর আগে দুপুর ১টায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্স যোগে তিনি কক্সবাজারে পৌঁছান। তার সঙ্গে ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন শেষে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘আজ আমি অনেকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি এবং তাদের সাহসে অনুপ্রাণিত হয়েছি। তাদের সংকল্প আমাকে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে। অনেকেই মিয়ানমারে তাদের যন্ত্রণা এবং তাদের এখানে আসার গল্প শেয়ার করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের সব পক্ষের প্রতি আমার বার্তা- সর্বোচ্চ সংযম অবলম্বন করুন, আন্তর্জাতিক মানবিক আইন অনুযায়ী সাধারণ মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করুন। আর কোনো সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা এবং সহিংসতা উদ্রেক না করতে সহায়তা করুন।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘মিয়ানমারের পরিস্থিতি এখনো সংকটময়, বিশেষ করে রাখাইন রাজ্যে। যতক্ষণ না রাখাইনে সংঘাত এবং ব্যবস্থাগত নির্যাতন শেষ হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের তাদের সাহায্য করতে হবে। আমরা একটি গভীর মানবিক সংকটের দ্বারপ্রান্তে আছি। আর্থিক সহায়তায় কাটছাঁটের কারণে একটি অবর্ণনীয় বিপর্যয় হবে। মানুষ কষ্ট পাবে এবং মানুষ মারা যাবে। ’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ বড় সহায়তা করেছে। তারা তাদের ভূমি, বন, সীমিত পানি এবং অপ্রচলিত সম্পদ ভাগ করে নিয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এখন সময় এসেছে সহায়তার। সময় নষ্ট করার কোনো সুযোগ নেই।’

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘এর আগে ২০১৮ সালে আমি কক্সবাজারে এসেছিলাম। এই শিবিরগুলো জলবায়ু সংকটের সম্মুখীন। গ্রীষ্মে তাপমাত্রা অত্যন্ত গরম এবং আগুনের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ঘূর্ণিঝড় এবং বর্ষা মৌসুমে বন্যা এবং বিপজ্জনক ভূমি স্লাইড ঘরবাড়ি এবং জীবন ধ্বংস করে দেয়। আবশ্যক খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি, এখানে মানুষের শিক্ষার, দক্ষতা উন্নয়ন প্রয়োজন।’

সারাবাংলা/ইউজে/এইচআই

ড. মুহাম্মদ ইউনূস মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস রোহিঙ্গা শরণার্থী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর