Saturday 12 Apr 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রংপুরের সাবেক এমপি নুরের পর্যটনকেন্দ্র ক্রোক, ৮ ব্যাংক হিসাব জব্দ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১০ মার্চ ২০২৫ ১২:২৮ | আপডেট: ১০ মার্চ ২০২৫ ১৪:৪৩

নুর মোহাম্মদ মণ্ডল।

রংপুর: রংপুরের পীরগঞ্জ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা নুর মোহাম্মদ মণ্ডলের আটটি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ, তার মালিকানাধীন বেসরকারি পর্যটনকেন্দ্রসহ ৩১৩০ দশমিক ৭৩ একর জমি এবং আনুমানিক ৯ কোটি টাকা মূল্যের সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

নুর মোহাম্মদ মণ্ডলের বিরুদ্ধে দুদক আইনে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার প্রেক্ষিতে রোববার (৯ মার্চ) আদালতের নির্দেশে সব সম্পদ ক্রোক করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, দুদকের পক্ষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদক রংপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক রুবেল হোসেন রংপুরের সিনিয়র স্পেশাল জজ ফজলে খোদা মো. নাজিরের আদালতে নুর মোহাম্মদ মণ্ডলের সব অস্থাবর-স্থাবর সম্পদ ক্রোক করা, সেই সঙ্গে তার নামে আটটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার আবেদন জানালে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।

সোমবার দুদক রংপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক রুবেল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দুদক কর্মকর্তা রুবেল হোসেন জানান, নুর মোহাম্মদ মণ্ডলের মালিকানাধীন পীরগঞ্জে ৩১৩০.৭৩ একর জমির ওপর ‘আনন্দনগর’ নামে বিশাল পিকনিক স্পট কাম বেসরকারি পর্যটনকেন্দ্র রয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংকে আটটি হিসাবে অনেক টাকা গচ্ছিত আছে। তার নামে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক আইনে মামলা রয়েছে। যার নম্বর নম্বর ২৬/২০২০ইং। ওই পিকনিক স্পট কাম বেসরকারি পর্যটনকেন্দ্র আনন্দনগর ক্রোক করে পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমএ ফারুককে রিসিভার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি ওই সম্পদের জিম্মাদার থাকবেন।

বিজ্ঞাপন

দুদক কর্মকর্তা রুবেল হোসেন আরও জানান, ক্রোকের সম্পত্তি কোনোভাবে অন্যত্র স্থানান্তর এবং হস্তান্তর করতে না পারে এবং ওই সম্পত্তি সংশ্লিষ্ট কোনও প্রকার লেনদেন বা ওই সম্পত্তিকে কোনোভাবে দায়মুক্ত করা আইনগতভাবে নিষিদ্ধ করেছেন আদালত।

এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ থানার ওসি এম এ ফারুক বলেন, আমাকে রিসিভার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমি আইনগতভাবে সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।

রংপুরের রাজনীতিতে সুবিধাবাদী খ্যাত নেতা হিসেবে পরিচিত নুর মোহাম্মদ মণ্ডল। তিনি পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান। এর আগে তিনি জাতীয় পার্টি থেকে দুই বার এমপি নির্বাচিত হন। বিএনপি থেকে একবার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পরে যুক্ত হন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে। শেষ বার আওয়ামী লীগ থেকে হয়ে যান উপজেলা চেয়ারম্যান। দেশের তিনটি বড় রাজনৈতিক দলের আমলে সুযোগ নিয়ে গড়েছেন অঢেল সম্পদ।

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ নেতা নূর মোহাম্মদ মণ্ডলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় রংপুর থেকে ২০২০ সালে সম্পদের তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয়ের উৎস বর্হিভূত সম্পদ অর্জন করায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। বর্তমান মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামি নুর মোহাম্মদ মণ্ডলের বিরুদ্ধে আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তবে তিনি পুলিশের চোখে পলাতক।

তবে পীরগঞ্জের একাধিক সূত্র জানায়, আসামি নুর মোহাম্মদ মণ্ডল গ্রেফতারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছেন। ওয়াজ মাহফিলসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দিয়ে বেড়াচ্ছেন।

গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকার পরেও নুর মোহাম্মদ মণ্ডলকে কেনো গ্রেফতার করা হচ্ছে না এমন প্রশ্নের উত্তরে ওসি জানান, অল্প কিছুদিন হলো থানায় এসেছেন। গ্রেফতারি পরোয়ানা হওয়ার বিষয়টি তার জানা ছিল না। খোঁজ করে দেখবেন বলে জানান তিনি।

সারাবাংলা/ইআ

দুর্নীতি দমন কমিশন ব্যাংক হিসাব জব্দ সাবেক এমপি

বিজ্ঞাপন

দেশের বাইরে ‘বরবাদ’
১২ এপ্রিল ২০২৫ ২১:২০

ধর্ষণের অভিযোগে প্রেমিক আটক
১২ এপ্রিল ২০২৫ ২১:০৪

আরো

সম্পর্কিত খবর