Saturday 15 Mar 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সিরিয়ার সামরিক স্থাপনায় ইসরায়েলি বিমান হামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৫:১৯ | আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:৩৭

সিরিয়ার দুটি সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল

সিরিয়ার দক্ষিণে অস্ত্র মজুতকৃত দুটি সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলকে সম্পূর্ণরূপে বেসামরিকীকরণের আহ্বানের জানানোর পর এসব হামলা চালানো হয়।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘গত কয়েক ঘন্টা ধরে, আইডিএফ (ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী) দক্ষিণ সিরিয়ায় কমান্ড সেন্টার ও অস্ত্র মজুতকারী একাধিক স্থানসহ সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে।’ তবে তারা হামলার সঠিক অবস্থান উল্লেখ করেনি।

বিজ্ঞাপন

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সিরিয়ার দক্ষিণ অংশে সামরিক বাহিনী ও সম্পদের উপস্থিতি ইসরায়েলের নাগরিকদের জন্য হুমকিস্বরূপ। ইসরায়েল রাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য যেকোনো হুমকি দূর করার লক্ষ্যে আইডিএফ অভিযান চালিয়ে যাবে।’

সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান দামেস্কের দক্ষিণ-পশ্চিমে একটি সামরিক ইউনিটের সদর দফতরে চারটি হামলা চালিয়েছে। একইসঙ্গে, দারা প্রদেশে একটি সামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে আরেকটি হামলা হয়েছে।

পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাটি আরও জানায়, দারা প্রদেশে হামলাটি গোলান ও ইসরায়েলের উত্তরের বিশাল এলাকা উপেক্ষা করে কৌশলগত পাহাড়ি চূড়া তেল আল-হারায় আঘাত হানে।

নেতানিয়াহু রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণ সিরিয়াকে সম্পূর্ণরূপে নিরস্ত্রীকরণ করবে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়ার পর সর্বশেষ হামলাটি চালানো হয়। তিনি সেখানে বলেছেন, ইসরায়েল তার ভূখণ্ডের কাছে নতুন সিরীয় ইসলামপন্থী সরকারের বাহিনীর উপস্থিতি মেনে নেবে না।

নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা এইচটিএস (হায়াত তাহরির আল-শাম) সংগঠন বা নতুন সিরিয়ান সেনা বাহিনীকে দামেস্কের দক্ষিণে প্রবেশ করতে দেব না।’ হায়াত তাহরির আল-শাম দলটি ডিসেম্বরে বাশার আল-আসাদের পতনের অভিযানের নেতৃত্ব দেয়।

বিজ্ঞাপন

তিনি কুনেইত্রা, দারা এবং সুওয়াইদা প্রদেশসহ সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চল সম্পূর্ণ বেসামরিকীকরণ করার দাবি করেন।

আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার দিনই ইসরায়েল ঘোষণা করে যে তাদের সৈন্যরা জাতিসংঘ-প্রহরাধীন বাফার জোনে প্রবেশ করছে। অঞ্চলটি ১৯৭৪ সাল থেকে কৌশলগত গোলান হাইটসে ইসরায়েল ও সিরিয়ার বাহিনীকে পৃথক করে রেখেছে।

১৯৬৭ সালে এক যুদ্ধে ইসরায়েল সিরিয়ার কাছ থেকে গোলান হাইটসের বেশিরভাগ অংশ দখল করে নেয়, পরে অঞ্চলটি সংযুক্ত করে নেয়, যা ছিল মূলত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অস্বীকৃত একটি পদক্ষেপ।

নেতানিয়াহু বলেন, ‘ইসরায়েলি বাহিনী আমাদের সম্প্রদায়কে রক্ষা করতে এবং যেকোনো হুমকি প্রতিহত করতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাফার জোনে অবস্থান করবে।’

২০১১ সালে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধের সময় ইসরায়েল সিরিয়ায় প্রধানত ইরানের সঙ্গে সম্পর্কিত স্থানসমূহকে লক্ষ্যবস্তু করে শত শত হামলা চালিয়েছে।

সিরিয়ায় দীর্ঘ সময়ের প্রেসিডেন্ট আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর, ইসরায়েল তাদেরকে শত্রুদের হাতে পড়া রোধ করার একটি প্রচেষ্টার যুক্তি দেখিয়ে সিরিয়ার সামরিক সম্পদের ওপর আরও কয়েক শত বিমান হামলা চালিয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে সিরিয়ার জাতীয় সংলাপ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা নেতানিয়াহুর ‘উস্কানিমূলক’ বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছেন। এক সমাপনী বিবৃতিতে, তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ইসরায়েলের যেকোনো ‘আগ্রাসন ও লঙ্ঘন’ বন্ধ করতে দেশটি ওপর চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানান। একইসঙ্গে তারা ‘সিরিয়ার ভূখণ্ডে ইসরায়েলি অনুপ্রবেশের’ নিন্দা জানান।

সারাবাংলা/এসডব্লিউ

ইসরায়েল বিমান হামলা সামরিক স্থাপনায় হামলা সিরিয়া

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর