দুই দিনেও উদ্ধার হয়নি ২৬ শ্রমিক, ফোনে মুক্তিপণ দাবি
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৪:২৫
বান্দরবান: দুইদিনেও উদ্ধার হয়নি লামায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অপহৃত ২৬ জন রাবার শ্রমিক। এদিকে, রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মুঠোফোনে অপহৃতদের মুক্তিপণ বাবদ জন প্রতি ৫০ হাজার টাকা দাবি করেছে সন্ত্রাসীরা।
এর আগে বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালীর দুর্গম মুরুংঝিরি থেকে পাহাড়ি সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে তাদের।
অপহৃতরা ফোরকান ও শাহজাহান, নুরু মোহাম্মদ কোম্পানি, আহসান উল্লাহ কোম্পানি, হুমায়ুন কোম্পানি ও সোনামিয়া কোম্পানির রাবার বাগানে ট্রেপারের কাজ করতেন।
রাবার বাগানের শ্রমিক সবাই কক্সবাজার জেলার রামু ও ঈদগাহ এবং বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাসিন্দা।
এদিকে, অপহৃতদের উদ্ধারে যৌথবাহিনী অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের দুর্গম মুরুংঝিরি এলাকার সন্ত্রাসীরা কয়েকটি রবার বাগানে হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মুখে সেখানে কর্মরত ২৬ জন শ্রমিককে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। প্রকাশ্যে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা শ্রমিকদের অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার পর মুরুংঝিরি আশপাশের গোয়ালমারমা, মংবিচর ও তীরেরডেবা এলাকার লোকজন আতঙ্কে রয়েছেন জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এরপর অপহৃত শ্রমিকদের বাগান মালিক ও পরিবারের সদস্যদের নিকট মুক্তিপণ দাবি করে তারা।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের লামায় আবারও ২২ শ্রমিক অপহরণ
মুরুংঝিরি এলাকার রাবার বাগানের মালিক মো. শাহাজাহান বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা ৬টি বাগান থেকে ২৬ জনকে অপহরণ করেছে। এর মধ্যে আমার বাগান থেকে ১২ জনকে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসীরা অপহরণের শিকার এক শ্রমিকের মুঠোফোন থেকে ফোন করে। বাগানের প্রত্যেক শ্রমিকের জন্য ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ হিসেবে দাবি করেন।’
লামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহাদাৎ হোসেন জানিয়েছেন, কয়েকটি রাবার বাগান থেকে ২৬ জন শ্রমিককে অপহরণের ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবি উদ্ধার অভিযানে নেমেছে। অপহরণকারীরা পাহাড়ি সন্ত্রাসী হতে পারে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে দুই দফায় ১০ জনের বেশি শ্রমিককে অপহরণ করা হয়েছিল। পরে যৌথবাহিনীর অভিযানের মুখে অপহৃতরা মুক্তি পান।
সারাবাংলা/এসডব্লিউ