Tuesday 01 Apr 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘আজ ভালোবাসার দিন’

ফারহানা নীলা
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৪:০২

প্রিয়জনকে মনের কথা বলার দিন আজ।

আজ প্রিয়জনকে মনের কথা বলার দিন। মোড়ানো কাগজে সুন্দর উপহার দেওয়ার এক বিশেষ দিন। মান অভিমান ভুলে, দুজন দুজনকে নতুন করে ‘ভালোবাসি’ বলার দিন। কারণ আজ ‘বিশ্ব ভালোবাসার দিন’।

প্রিয়জনকে দিতে পারেন রঙিন উপহার।

প্রতি বছর ১৪ই ফেব্রুয়ারি পালিত হয় ভ্যালেন্টাইন’স ডে বা ভালোবাসা দিবস । যে দিনে ভালোবাসার বার্তাসহ কার্ড, ফুল বা চকলেট উপহার দিয়ে মনের কথা প্রকাশ করে মানুষ। কিন্তু আমরা সবাই কি জানি, কেনো পালন করা হয় এই ভ্যালেন্টাইন’স ডে বা ভালোবাসা দিবস? জানাব সেই ইতিহাস।

বিজ্ঞাপন

খ্রিস্টীয় তৃতীয় শতাব্দীতে রোমের একজন পুরোহিত ছিলেন। যার নাম ছিলো সেন্ট ভ্যালেন্টাইন। সে সময় সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াস ২০০ খ্রিস্টাব্দে বিবাহ নিষিদ্ধ করেছিলেন। কারণ তার মনে হয়েছিল, বিবাহিত পুরুষরা যুদ্ধে যেতে চায় না। তারা ভালো সৈন্য হতে পারে না। কিন্তু ভ্যালেন্টাইন মনে করেছেন, এটি অন্যায়। তাই তিনি নিয়মগুলো ভেঙ্গে গোপনে সেখানাকার বাসিন্দাদের বিয়ে দিতেন। সে সময়ের প্রেমিক প্রেমিকারা ভ্যালেন্টাইনের কাছে গিয়ে বিয়ে করতেন এবং অবিবাহিত তরুণ তরুণীদের বিয়ের ব্যবস্থা করতেন তিনি।

একটা সময় ক্লডিয়াসের কাছে এ খবর পৌঁছে যায়। তিনি তখন ভ্যালেন্টাইনকে আটকের নির্দেশ দেন। তার আদেশে ভ্যালেন্টাইনকে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়।

কারাগারে থাকা অবস্থায় ভ্যালেন্টাইন কারা প্রধানের মেয়ের প্রেমে পড়েন। এদিকে, নিয়ম ভঙ্গ করার অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয় ভ্যালেন্টাইনকে এবং তার মৃত্যুদণ্ডের দিন ঠিক করা হয় ১৪ ফেব্রুয়ারি।

১৪ই ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনকে যখন মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়, তখন কারা প্রধানের ওই মেয়েটির উদ্দেশ্যে একটি প্রেমপত্র পাঠিয়ে যান তিনি।যেখানে লেখা ছিল, “তোমার ভ্যালেন্টাইনের পক্ষ থেকে”।

বিজ্ঞাপন

১৪ ফেব্রুয়ারি ভোরবেলা, মৃত্যুদণ্ডের ঘোষণা অনুযায়ী, মাথা কেটে ফেলা হয় ভ্যালেন্টাইনের। পুরোহিত ভ্যালেন্টাইনের এই মৃত্যুদণ্ড মেনে নিতে পারেননি তার ভক্তরা। ভালোবাসার জন্য ভ্যালেন্টাইনের আত্মত্যাগকে স্মরণ করতেই এ দিনটিকে পালন করা হয় ভ্যালেন্টাইন’স দিবস হিসেবে।

তবে শুরুতে দিবস হিসেবে নয়। ভ্যালেন্টাইনকে স্মরণ করা হতো নানা পূজা বন্দনার মাধ্যমে। তার আত্নার শান্তির জন্য প্রার্থণা করতো খ্রীষ্টান ধমাবলম্বীরা। আবার, তাকে স্মরণ করে, ১৪ ফেব্রুয়ারিকে শুভ দিন মনে করে, ভালোবাসার মানুষকে প্রপোজ করতো প্রেমিক প্রেমিকারা। ভ্যালেন্টাইন যেভাবে তার ভালোবাসার বার্তা লিখে দিয়ে গিয়েছিল তার পছন্দের মানুষকে। সেই প্রথা অবলম্বন করে, ১৪ ফেব্রুয়ারিতেই ভালোবাসার বার্তা চিঠির মাধ্যমে জানাত প্রেমিক প্রেমিকারা।

কালের বিবর্তণে ও সময়ের আবর্তণে, ধীরে ধীরে এই বার্তা প্রেরণের মধ্যেও আসে নতুনত্ব। তখন চিঠির সঙ্গে বিভিন্ন উপহার সংযুক্ত করে দেওয়া শুরু হলো।

পরবর্তীতে ৪৯৬ খ্রিস্টাব্দে পোপ জেলাসিয়ুস ফেব্রুয়ারির ১৪ তারিখকে ভ্যালেন্টাইন্স ডে হিসেবে ঘোষণা করেন। সেই থেকে এই দিনটিকে বিশ্ববাসী ভ্যালেন্টাইন্স ডে হিসেবে পালন করে আসছে।

সাংবাদিক ও যায় যায় দিন পত্রিকার সম্পাদক শফিক রেহমান।

১৯৯৩ সালে বাংলাদেশে ভালোবাসা দিবসের আবির্ভাব ঘটে সাংবাদিক ও যায় যায় দিন পত্রিকার সম্পাদক শফিক রেহমানের হাত ধরে। তিনি যায় যায় দিন পত্রিকার মাধ্যমে বিশ্ব ভালবাসা দিবস বাংলাদেশের মানুষের কাছে তুলে ধরেন। আর সেই থেকে বাংলাদেশে পালিত হয় ‘ভালোবাসা দিবস’।

সারাবাংলা/এফএন/এমপি

বিশ্ব ভালোবাসা দিবস

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর