তাবলীগ-জামাতের চলমান সংকট সমাধানের দাবি সচেতন ছাত্রসমাজের
২৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:৪৯ | আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:৪০
ঢাকা: তাবলীগ জামাতের দুই পক্ষের চলমান সংকটের স্থায়ী সমাধানের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন সচেতন ছাত্রসমাজ।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ছাত্র মোহাম্মদ জুবাইরুল ইসলাম বলেন, “বিগত বছরগুলোতে সরকারের ঘোষিত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী তাবলীগ জামাতের বিদ্যমান উভয়পক্ষ সুস্থভাবে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা আয়োজন করা আসছে। এই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার বিগত ৪ ও ৭ নভেম্বর বৈঠক করে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনের তারিখ ঘোষণা করেছিল।
তিনি বলেন, সরকারের জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি তারিখ পর্যন্ত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব মাওলানা জুবায়ের অনুসারীরা আয়োজন করবে এবং আগামী ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব মাওলানা সাদ অনুসারীরা আয়োজন করবেন।
কিন্তু মাওলানা জোবায়ের অনুসারীরা প্রজ্ঞাপনের শর্ত ভঙ্গ করছেন বলে অভিযোগ করেছেন সচেতন ছাত্র সমাজের পক্ষে মোহাম্মদ জুবাইরুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রজ্ঞাপনের শর্ত ভঙ্গ করে ৩, ৪ ও ৫ ফেব্রুয়ারি তাদের দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন মাওলানা জোবায়ের অনুসারীরা। যা আগে জারি করা সরকারি প্রজ্ঞাপনের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক।
লিখিত বক্তব্যে তিনি দাবি করেন, উভয়পক্ষ যেন সুষ্ঠুভাবে তাদের ইজতেমা সম্পন্ন করতে পারে এবং যার যার ইজতেমায় বিদেশি মেহমানরা নির্বিঘ্নে আসতে পারে সেই লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনামূলক পরিপত্র দ্রুত সময়ের মধ্যে জারি করতে হবে।
তিনি বলেন, তাবলীগ জামাতের অভ্যন্তরীণ বিভেদে সৃষ্ট পরিস্থিতি শুধু তাবলীগ জামাতেরই ক্ষতি করছে না, বরং বৃহত্তর মুসলিম সমাজের ঐক্য ও সৌহার্দ্যকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে। আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি, তাবলীগ জামাতের বিদ্যমান পক্ষদ্বয়ের মধ্যে একপক্ষ চরম বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। তাই আজ দেশবাসীকে সেই বৈষম্যের চিত্র তুলে ধরে এর সমাধানে সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানাই।
দ্রুত সময়ের মধ্যে তাবলীগ জামাতের উভয় পক্ষের চলমান বৈষম্যের ন্যায় ভিত্তিক স্থায়ী সমাধান করতে হবে। তা না হলে দেশের বৃহত্তম স্বার্থে সচেতন ছাত্র সমাজ বিকল্প কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।
সারাবাংলা/এফএন/ইআ