‘দরিদ্র মানুষকে শোষণ গণতান্ত্রিক দেশের আইন হতে পারে না’
২৬ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:০০ | আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:৫৬
ঢাকা: দরিদ্র মানুষকে শোষণ করা কোনো গণতান্ত্রিক দেশের আইন হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আবদুল মঈন খান।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নরসিংদীর ঘোড়াশাল ও পলাশে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এর আগে, নরসিংদীর ঘোড়াশাল ও পলাশে প্রায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের প্রায় এক হাজার দোকানপাট ভেঙে দেয় বিআইডব্লিউটিএ।
ড. মঈন খান বলেন, ‘বিআইডব্লিউটিএ’র ঢাকার কর্মকর্তারা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও দোকানদারদের কাছ থেকে ঘুষ না পেয়ে আইনের দোহাই দিয়ে প্রায় ১০ হাজার দরিদ্র জনগোষ্ঠীর প্রায় এক হাজার দোকানপাট ভেঙ্গে দিয়েছে। এর মাধ্যমে তাদের সৎ আয়ের পথ রুদ্ধ করে অনাহারে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে। এই ঘটনা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক।’
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ এখন চিন্তা করবে যে আমরা একটি স্বৈরাচারকে বিদায় করেছি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। কিন্তু এই সরকারের আমলেও বিআইডব্লিউটিএ’র ভেতরে থাকা আওয়ামী লীগ স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা ঘোড়াশাল-পলাশে নিরীহ মানুষের ওপর জুলুম করেছে। যা স্বৈরাচারের কর্মকাণ্ডের চেয়েও লজ্জার।’
ড. মঈন খান বলেন, ‘বিগত ১৫ বছর ধরে দেশের জলাভুমি-নদী থেকে হাজার হাজার কোটি টাকার বালু কেটে দুর্নীতি করেছে বিআইডব্লিউটিএ। আজকে এই বিআইডব্লিউটিএ পলাশ-ঘোড়াশালে দরিদ্র মানুষকে আইন দেখাতে চায়। কীসের আইন। দরিদ্র মানুষকে শোষণ করা কোনো গণতান্ত্রিক দেশের আইন হতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘আজকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা পেয়েছে বাংলাদেশ। এখানে দুর্নীতি অন্যায় চলবে না। আমি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলব- অন্তর্বর্তী সরকারকে বিতর্কিত করতে পতিত আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসররা ষড়যন্ত্র করছে। সেজন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে সতর্ক হতে হবে। প্রশাসনের ভেতরে থাকা স্বৈরশাসনের দোসরদের যদি চিহ্নিত না করেন, তাহলে পদে পদে আপনারা ধিকৃত হবেন।’
ড. মঈন খান বলেন, ‘গরিব মানুষ পরের দিন কি খাবে তার নিশ্চয়তা নেই। তাদেরকে উচ্ছেদ করা হল। এখন তাদের পরিবারের কী হবে? তারা তো ক্ষুদ্র ব্যবসায করে নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করে। তাদেরকে অন্যায়ভাবে উচ্ছেদ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনকে বাইপাস করে ঢাকা থেকে আইডব্লিউটিএ’র দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা এটি করেছে। বিগত ১৫ বছরে আইডব্লিউটিএ’র আইন কোথায় ছিল? অবিলম্বে ভেঙে ফেলা দোকান মেরামত করে ভুক্তভোগীদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।’
সারাবাংলা/এজেড/এসআর