‘বাংলাদেশের প্রতি ভারতের ঘৃণা উৎপাদনের ফল নাজমা হত্যা’
২৫ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:২১ | আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:৫০
ঢাকা: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আরিফ সোহেল বলেছেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে ভারত যে ধরণের ঘৃণা উৎপাদন করেছে তারই ফল হচ্ছে নাজমা হত্যা। তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর ভারত থেকে বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা চালানো হয়েছে। আন্দোলনেকে বিতর্ক করতে চেয়েছে। সরকারের আগ্ৰাসী মনোভাবের বারবার নিন্দা জানিয়ে আসছি। আগস্টে মাসে আমরা ভারতীয় মৌমিতা ধর্ষণের প্রতিবাদ জানিয়েছি। এখনো সীমান্তে হত্যা করে চলেছে তারা। ভারতীয় জনগণকে বলব, আমাদের আদর্শ হিসেবে দেখুন। বাংলাদেশ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে কীভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হয়।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি ) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ভারতের ব্যাঙ্গালোরুতে বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার প্রতিবাদে এ সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়।
বিগত সময়ে বিএসএফ’র হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি জানিয়ে আরিফ সোহেল বলেন, ‘নাজমা, ফেলানী, স্বর্ণাসহ যাদের অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়েছে, সেই হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার করতে হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিব আহমেদ বলেন, ‘সেদিন ভারতের সীমান্তে শুধুমাত্র ফেলানীর লাশ ঝুলানো হয়নি পুরো বাংলাদেশকে অপমান করা হয়েছে। ঠিক তেমনি নাজমাকে ধর্ষণ করে হত্যার মাধ্যমে পুরো দেশকে অপমান করেছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতি যদি আর কোনো আগ্ৰাসন চালানো হয়, তাহলে হাসিনার বিরুদ্ধে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধেও সেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বাংলাদেশ সঙ্গে সবার সম্পর্ক হবে ন্যায্যতার ভিত্তিতে। কারো অধীনস্ত হয়ে এখন আর থাকব না।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিশেষ সেলের সদস্য সালোয়া আক্তার এ্যানি বলেন, ‘নাজমা হত্যার এখনো কেন বিচার পায়নি? সে মুসলিম বলে কি বিচার পাবে না? ভারতের একজন ডাক্তারকে হত্যা করা হয়েছিল, তখন আমরা তার জন্য আন্দোলন করেছিলাম। আমরা নাজমা হত্যার দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছি।’
জুলাই অভ্যুত্থানের সাবেক সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম বলেন, ‘আমার বোন নাজমাকে হত্যার প্রতিবাদে এখনো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়নি। ভারতের হাইকমিশনারকে চাপ না দিলে বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ বসে থাকবে না। সকল অসম চুক্তি বাতিল করতে হবে। দ্রুত ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তারেকুল ইসলাম বলেন, ‘ভারতীয়দের হাতে হত্যা আজকের কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা না। স্বাধীনতার পর থেকে ভারত আমাদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে ব্যবহার করেছে। প্রক্সি সরকারের মাধ্যমে তারা এসব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো রাষ্ট্রের আধিপত্য মেনে নেব না। মেনে নিলে আবু সাইদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা হবে। দ্রুত নাজমা হত্যার বিচার করতে হবে। অন্যথায় আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
সারাবাংলা/এআইএন/পিটিএম