শিল্পখাতের সমস্যা সমাধানে সরকারকে ভূমিকা রাখার দাবি
২৫ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:৩০ | আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:২৯
ঢাকা: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অবিলম্বে শ্রমিক ও শিল্পখাতের সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখার দাবি জানিয়েছে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। দলের নেতারা বলেন, ভূমিকা না রেখে হামলা, মিথ্যা মামলা ও গ্রেফতার দিয়ে শ্রমিকদের ন্যায্য আন্দোলন ঠেকানোর সরকারি তৎপরতার নিন্দা জানাচ্ছি।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) শাহবাগে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি এক সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছে সকল বন্ধ কারখানা চালু, বকেয়া মজুরি পরিশোধ এবং শ্রমিক অধিকার নিশ্চিতের দাবিতে আগামী ৩১ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে ৩টায় শাহবাগে তারা সমাবেশ করবে।
সভায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কারখানা বন্ধ করে প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিকের বেকারত্ব সৃষ্টি এবং এখনো বকেয়া মজুরি সমস্যা সমাধান না করায় নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। পাশাপাশি শ্রমিক অধিকার নিয়ে আন্দোলনের কারণে গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের আশুলিয়া থানার সভাপতি খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও গ্রেফতারির ঘটনায় প্রতিবাদ জানানো হয় এই সভায়।
শ্রম সংস্কার কমিশনের বরাত দিয়ে নেতারা বলেন, ‘বন্ধ হওয়া কারখানার শ্রমিকের দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে। কোনো কারখানা শ্রমিকের বকেয়া বেতন ও সার্ভিস বেনিফিট না দিলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি বিক্রি করে হলেও তা পরিশোধের ব্যবস্থা করতে হবে সরকারকে।’
সভায় নেতারা বলেন, গাজীপুর সাভার এলাকায় স্থায়ী এবং অস্থায়ীভাবে তৈরি পোশাক ও বস্ত্রশিল্পের ৬৮ কারখানা স্থায়ী এবং অস্থায়ী ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক শ্রমিক কাজ হারিয়েছে যাদের চার থেকে ছয় মাসের মজুরি এখনো বকেয়া। এই সমস্যা সমাধানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।
সভায় নেতারা আরও বলেন, আমরা জানি যে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ আশুলিয়ায় বকেয়া মজুরির দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর যৌথ বাহিনীর গুলিতে কাউসার নামক একজন শ্রমিক নিহত হন এবং আহত হন চারজন। আহতদের সেনা বাহিনীর পক্ষ থেকে চিকিৎসা দেওয়া হলেও ফিরে আসার পর তারা কাজ থেকে ছাঁটাই হয়েছে। ঠিক একইভাবে গত ২১ জানুয়ারি ২০২৫ বেক্সিমকো কোম্পানির ১৬টি কারখানা লে অফের প্রতিবাদে শ্রমিকদের সমাবেশ দুষ্কৃতকারীরা হামলা করলে হামলাকারীদের গ্রেফতার করার বদলে শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে সোচ্চার গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের আশুলিয়া থানার সভাপতি খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে হামলার মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের সভাপতিত্বে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. হারুন উর রশীদ, ডা. গোলাম রাব্বানী, মানবাধিকারকর্মী ইলিরা দেওয়ান, গবেষক মাহতাব আহমেদ, সাংস্কৃতিক কর্মী সুমিতা রায় সুপ্তি, একরাম হোসেন, আফজাল হোসেন, সুজিৎ চৌধুরীসহ গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট, শ্রমিক সংগঠন ও রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এইচআই