Friday 24 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সারাবাংলায় নিউজ প্রকাশ
মুহূর্তেই পরিষ্কার মতিঝিল মেট্রো স্টেশনের চারপাশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:০০ | আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:১৫

স্টেশনের প্রবেশ পথ ঘেঁষে টোকাইরা ঘরবাড়ি বানিয়ে ফেলেছিল। সেগুলো আর নেই। ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: সারাবাংলায় সংবাদ প্রকাশের পর মতিঝিল মেট্রোরেল স্টেশনের চারপাশ পরিষ্কার করা হয়েছে। স্কেলেটারের নিচ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে টোকাইদের বিছানাপত্র। এমনকি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ভিক্ষুকদেরও। সেইসঙ্গে স্টেশনের সামনে যাতে রিকশার জটলা না থাকে সে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ১৮ জানুয়ারি ‘ভিক্ষুক, রিকশা আর টোকাইয়ের আবাসস্থল মতিঝিল মেট্রো স্টেশনের চারপাশ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে সারাবাংলা ডটনেট। এর পরিপ্রেক্ষিতে নির্দেশনা দিয়ে মতিঝিল মেট্রোরেল স্টেশনের চারপাশ পরিষ্কার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড- ডিএমটিসিএল সূত্রে জানা গেছে, সারাবাংলায় প্রকাশিত সংবাদটি ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের নজরে এলে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এ বিষয়ে কথা হয় মতিঝিল স্টেশনে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা মেজবাহ উদ্দিনের সঙ্গে। সারাবাংলার এই প্রতিবেদককে তিনি বলেন, ‘স্টেশনের ভেতরের সবকিছু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব ডিএমটিসিএলের। কিন্তু বাইরে রাস্তা অপরিষ্কার থাকলে সেটা পরিষ্কারের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। মতিঝিল স্টেশনের চারপাশে নোংরার বিষয়টি পত্রিকায় প্রকাশ হলে তা নজরে আসায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জেনেছি।’

স্টেশনের কিছু জায়গা ছিল ময়লার ভাগাড়। সেগুলোও আর নেই। ছবি: সারাবাংলা

স্টেশনের কিছু জায়গা ছিল ময়লার ভাগাড়। সেগুলোও আর নেই। ছবি: সারাবাংলা

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) মতিঝিল স্টেশনে সরেজমিনে দেখা গেছে, স্টেশনের প্রবেশ পথ চলন্ত সিঁড়ি ঘেঁষে যে টোকাইরা ঘরবাড়ি বানিয়ে ফেলেছিল সেসব নেই, বিছানাপত্র সরিয়ে ফেলা হয়েছে। একাংশ ডাস্টবিনের মতো করে ফেলেছিল সে জায়গাও পরিষ্কার। আরেক প্রবেশ পথে যে রিকশার জটলা দেখা যেত, সেগুলো কিছুটা কম এবং মাঝে চলার পথ রেখেছে তারা। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা রিকশাচালক মজিবুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘এলোমেলোভাবে দাঁড়ালেই পুলিশ সরিয়ে দেয়। একদম দাড়াতেই দেয় না। বলা হয়েছে, দাঁড়ালে লাইন ধরে দাঁড়াতে হবে। আমরা সেভাবেই আছি। যাত্রী পেলেই চলে যাই।’

বিজ্ঞাপন

এদিকে এমন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় খুশি যাত্রীরাও। আজ আর কাউকে নাক চেপে স্টেশনে প্রবেশ করতে হচ্ছে না। উত্তরা পথের যাত্রী আনিছুর রহমান সারাবাংলাকে জানান, তিনি একজন ব্যবসায়ী। যে কারণে প্রতিদিন দুই বার উত্তরা থেকে মতিঝিল ভ্রমণ করতে হয়। সারা পথ এসে মতিঝিল নামতেই দুর্গন্ধ, চারপাশের পরিবেশ নোংরা দেখতে হতো। এখন বেশ ভাল লাগছে বলে তিনি।

আরেক যাত্রী নাহিদ সারাবাংলার এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘গত এক মাস ধরে এ স্টেশনের চারপাশের অবস্থা এমন হয়ে ছিল যে, মনে হতো যেন ডাস্টবিন পার হচ্ছি। প্রবেশ পথে ভিক্ষুক বসে থাকতো, উঠতেই পা টেনে ধরতো।’ আরেক যাত্রী নুবাইয়া বলেন, ‘স্টেশনের ভেতরটা বিদেশের মতো স্মার্ট, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। অথচ বাইরে নামতেই যখন নোংরা পরিবেশ চোখে পড়ে তখন পুরা জার্নিটাই মাটি হয়ে যায়।’ তিনি বলেন, ‘বাইরের পরিবেশ অবশ্যই পরিষ্কার রাখা উচিত।’

উল্লেখ্য, মতিঝিল থেকে উত্তরা উত্তর পর্যন্ত মোট ২০ কিলোমিটার পথে ১৬টি স্টেশন রয়েছে। এসব স্টেশন ও এর চারপাশ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও বাস্তবায়নকারী সংস্থার। প্রতিদিন এই পথে এক লাখের বেশি যাত্রী ভ্রমণ করে থাকেন। তাই স্বাভাবিকভাবেই একটু-আধটু নোংরা হয়ে থাকে। কিন্তু এগুলো পরিষ্কার না করলে এক সময় ময়লা-আবর্জনার স্তূপে পরিণত হয়।

সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম

টপ নিউজ পরিষ্কার মতিঝিল স্টেশন মেট্রোরেল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর