Thursday 23 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কয়েক মাসে বাণিজ্যিক সম্পর্কে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে: পাকিস্তান হাই কমিশনার

স্পেশাল করেসপডেন্ট
২৩ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:২৬ | আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০০:২৪

আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেডার সেন্টারে চট্টগ্রাম চেম্বার মিলনায়তনে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পাকিস্তানের বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের মতবিনিময় সভা

চট্টগ্রাম ব্যুরো: গত কয়েকমাসে দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কে ব্যাপক পরিবর্তনের বিষয় উল্লেখ করে বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানে রফতানি কীভাবে বাড়ানো যায় সেটা নিয়ে কাজ করার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির হাই কমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে নগরীর আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেডার সেন্টারে চট্টগ্রাম চেম্বার মিলনায়তনে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পাকিস্তানের বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের মতবিনিময় সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। চট্টগ্রাম চেম্বারের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পাকিস্তানের হাই কমিশনারের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

পাকিস্তান হাই কমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ বলেন, ‘পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অংশ হিসেবে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করা প্রয়োজন। এ জন্য বিজনেস টু বিজনেস সম্পর্কোন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য থাকলেও বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি আছে। এ বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে হবে। শুধুমাত্র পাকিস্তান থেকে রফতানি বাড়ানোর কথা চিন্তা না করে বাংলাদেশ থেকেও কীভাবে রফতানি বাড়ানো যায় সে লক্ষ্যে কাজ করা প্রয়োজন।’

তিনি বলেন, ‘গত কয়েক মাস ধরে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্যণীয়। এরই অংশ হিসেবে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি নৌ যোগাযোগ শুরু হয়েছে। এ ছাড়া সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার পাকিস্তান থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি করার উদ্যোগ নিয়েছে।’

দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নে ঢাকা-ইসলামাবাদ সরাসরি ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ নেওয়া এবং ব্যবসার নতুন নতুন ক্ষেত্র উন্মোচনের জন্য চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ জানান।

বিজ্ঞাপন

সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের ধর্মীয়, ঐতিহাসিক ও ঐতিহ্যগতভাবে মিল রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক থাকলেও বাংলাদেশ থেকে উল্লেখযোগ্য পণ্য পাকিস্তানে রফতানি হয় না। যেখানে পাকিস্তান বাংলাদেশের ১৯তম আমদানিকারক দেশ এবং পাকিস্তান থেকে প্রতিবছর প্রায় ৭ মিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি হয়। তাই উভয় দেশই বাণিজ্য বাধা বিশেষ করে নন-ট্যারিফ বাধা দূর করে সাফটা এবং ডি-৮ পিটিএ কার্যকর করার মাধ্যমে বাণিজ্য ঘাটতি দূর করতে হবে।’

সভায় পাকিস্তানের প্রতিনিধিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন— দেশটির দূতাবাসের ট্রেড ইনভেস্টমেন্ট অ্যাটাশে জাইন আজিজ, ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট অথরিটি অব পাকিস্তানের সহকারী পরিচালক সারাং গুল, পাকিস্তানের রিশাদ মতিন গ্রুপের পরিচালক সাজিয়া মতিন, সল্ট হাউস পাকিস্তানের মোহাম্মদ শফিক, সাংগো এন্টারপ্রাইজের বাবর আমিন মালিক, আদিল ট্রেডার্সের মোহাম্মদ আদিল, রোশান গ্রুপের খালিদ ইজাজ কোরেশি।

চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন— বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের মুহাম্মদ ফরহাদ উদ্দিন, অনুরা এন্টারপ্রাইজের মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম, মায়া এক্সপোর্টার অ্যান্ড ইমপোর্টারের মশিউর রহমান সৈকত, রয়েল বিচ রিসোর্টের মোহাম্মদ জয়নাল আবেদিন।

সারাবাংলা/আরডি/এইচআই

পাকিস্তান হাই কমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ