একশন এইডের পানিবিষয়ক বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠিত
২২ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:১৯
ঢাকা: রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থেকে পরিবেশগত এবং মানবিক প্রয়োজনের ভিত্তিতে নদী ও পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে একশনএইড বাংলাদেশের ‘বাংলাদেশে পানি আলোচনার ১০ বছর: পানি জাদুঘরের অবদান’ শীর্ষক বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর এক হোটেলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বইয়ের পর্যালোচনা করেন পানিসম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ এবং এমিরেটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজি স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. সুফিয়া খানম।
একশনএইড ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সোসাইটির চেয়ারপার্সন ইব্রাহিম খলিল আল জায়াদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেন সেন্টার ফর অল্টারনেটিভস এর নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ, পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও গবেষণা বিষয়ক পরামর্শক ড. হাসিব মো. ইরফানুল্লাহ, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেটস আর্টস বাংলাদেশের শিক্ষক ও সেন্টার ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্টের (সিএসডি) পরিচালক ড. সামিয়া সেলিম। স্বাগত বক্তব্য দেন একশনএইড বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ফারাহ্ কবির বলেন, ‘ন্যায়সংগত ও টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা অর্জনের জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রের মধ্যে আলোচনা ও সহযোগিতা গড়ে তোলা প্রয়োজন। এতে ঐতিহ্যগত ও বৈজ্ঞানিক জ্ঞান উভয়কেই একত্রিত করা যায়। এ লক্ষ্যে পানি সম্পদের গুরত্ব, পানির ন্যায্যতা এবং নদীর অধিকার নিশ্চিত করবার জন্য দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে একশনএইড বাংলাদেশ। টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতে প্রতিষ্ঠানটির নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা তুলে ধরার লক্ষ্যে এই বই প্রকাশ করা হয়েছে।’
পানিসম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ এবং এমিরেটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত বলেন, ‘পানি হচ্ছে সীমিত সম্পদ। জলবায়ু পরিবর্তন এই সীমিত সম্পদকে আরও জটিল করে তুলছে। যেমন এক জায়গায় বন্যা এবং অন্য জায়গায় খরা। আমাদের খুব দ্রুতই এই সমস্যা নিরসনে কার্যকর প্রদক্ষেপ নিতে হবে।’
সেন্টার ফর অলটারনেটিভস এর নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘নদীকে শুধু পানির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার সুযোগ নাই। কারণ পানি, জ্বালানি, জীববৈচিত্র্য ও পলিমাটির এক বহুমূখী সমন্বয়ে নদীর অস্তিত্ব। পানির পাশাপাশি এই অনিবার্য উপাদানগুলো নিয়েও আমাদের আলোচনায় আসতে হবে। আমাদের মনোস্তাত্বিক ভাবনায় এই পরিবর্তন এনে সবগুলো বিষয়কে আন্তঃসীমান্ত নদী ব্যবস্থাপনার আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
উল্লেখ্য, বইটিতে অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে একশনএইড বাংলাদেশের ১০ বছরের নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা, যেমন আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলন আয়োজন এবং বাংলাদেশের প্রথম পানি জাদুঘর প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পানির ব্যবস্থাপনা টেকসই করার বিষয়গুলো উঠে এসেছে। একশনএইড-এর জমি-কেন্দ্রিক থেকে পানি-কেন্দ্রিক কৌশলে স্থানান্তরিত হওয়ার পক্ষে সমর্থন, যেখানে নীতিমালা, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণাকে একত্র করার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে এই বইয়ে। কমিউনিটির অংশগ্রহণ, স্থানীয় উদ্যোগ এবং জেন্ডার সমতা নিশ্চিতকরণের গুরুত্বকে তুলে ধরাসহ টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা এবং জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধির জন্য কার্যকর কৌশলগুলোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে এই বইয়ে।
সারাবাংলা/ইএইচটি/ এইচআই
‘বাংলাদেশে পানি আলোচনার ১০ বছর: পানি জাদুঘরের অবদান’ একশনএইড