চীনা পণ্যে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা ভাবছেন ট্রাম্প
২২ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:১২ | আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:১৪
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপীয় ইউনিয়নের পাশাপাশি চীনা পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। ক্ষমতা গ্রহণের একদিন পর মঙ্গলবার সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট।
ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি চীনা পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা ভাবছেন।
চীন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার। যুক্তরাষ্ট্রের বাজার চীনা পণ্যের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। তারপরও চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ট্রাম্পের দাবি, চীন থেকে ব্যথানাশক ফেন্টানিলের রাসায়নিক উপাদান মেক্সিকো হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশ করে। অতিমাত্রায় ফেন্টানিল সেবনের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে বছরে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে।
ট্রাম্প প্রথম মেয়াদেও চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করেছিলেন। এবার নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি দেশটির পণ্যের ওপর ৬০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন। এ ছাড়া মেক্সিকো ও কানাডার পণ্যের ওপরও ট্রাম্প ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন।
ধারণা করা হয়েছিল, প্রথম দিনেই ট্রাম্প কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি করতে পারেন। কিন্তু তা তিনি আপাতত করেননি। তবে প্রথমদিন সোমবার ওভাল অফিসে বসেই কোন কোন দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সম্পর্কে অন্যায্যতা আছে, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প মনে করেন, আমদানি পণ্যে শুল্ক আরোপ করলে যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে।
এদিকে সমালোচকরা মনে করেন, এসব শুল্কের ভার শেষমেশ ভোক্তাদের ঘাড়েই পড়বে। এ ছাড়া দেশের বাইরে থেকে রাজস্ব আহরণে ট্রাম্প ‘এক্সটার্নাল রেভিনিউ সার্ভিস’ নামের একটি বিভাগ স্থাপন করবেন।
অন্যদিকে বাণিজ্য উত্তেজনার সমাধান খোঁজার চেষ্টা করছে চীন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাম উল্লেখ না করেই মঙ্গলবার চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তার দেশ বাণিজ্য উত্তেজনার মধ্যে ‘সমাধান খুঁজছে’ এবং আমদানি সম্প্রসারণে পদক্ষেপ নিচ্ছে।
সারাবাংলা/এইচআই