শাহীন চাকলাদারের ৪ বছর কারাদণ্ড
২২ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:৪২ | আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:৫৫
যশোর: যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় চার বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে অবৈধ উপার্জন ৩৮ লাখ ৩ হাজার ৬৮৫ টাকা বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে স্পেশাল আদালতের বিচারক এস এম নূরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
দুদক ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, শাহীন চাকলাদার ১২ লাখ ৪৭ হাজার ১৩৬ টাকার তথ্য গোপন এবং অবৈধভাবে উপার্জন মোট ৫০ লাখ ৫০ হাজার ৮২১ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জন দুদুক আইন ২০০৪ এর ২৬(২) এবং ২৭(১) ধারায় অপরাধ করেছেন। এই অপরাধে ২০০৮ সালের ৩ মার্চ দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন।
এর আগে ২০০৭ সালের জুন মাসে ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শাহীন চাকলাদারকে সম্পদের হিসেব দাখিল করতে নোটিশ দেয় দুদক। নোটিশ মোতাবেক ওই বছরের ১১ জুলাই তিনি সম্পদের হিসেব দাখিল করেন। পরে একই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর দাখিলকৃত সম্পদের যাচাইবাছাই করে দুদক।
দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে তিনি দেখান, তার ঢাকার মহাখাালী ডিওএইচএস এলাকায় ৪১ লাখ ৮২ হাজার টাকা মূল্যের একটি বাড়ি, কলাবাগান লেকসার্কাস এলাকায় ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৮০০ টাকা মূল্যের একটি অ্যাপার্টমেন্ট, যশোরের পুরাতন কসবায় ১২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি বাড়ি, একই এলাকায় ৪৫ শতক জমি, যার মূল্য ৮ লাখ ৭২ হাজার টাকা, যশোরের বারান্দিপাড়ায় ৩ লাখ ২১ হাজার টাকা মূল্যের দোতলা বাড়ি, পুরাতন কসবায় এক কোটি ৭ লাখ টাকার একটি বাড়ি, পুরাতন কসবায় সাড়ে ২ লাখ ১ হাজার টাকা মূল্যের ১০ শতক জমি, বারান্দিপাড়ায় এক লাখ ৭ হাজার টাকার দেড় শতক জমির ওপর একটি বাড়িসহ সম্পদ দেখিয়েছেন। এ সময় অস্থাবর সম্পদ দেখিয়েছেন ১ কোটি ২১ লাখ ৯৬ হাজার ৬০০ টাকা এবং ব্যাংক স্থিতি দেখিয়েছেন ২ হাজার ১০৬ টাকা। একই সময় এক কোটি এক লাখ ৯১ হাজার ৫১৫ টাকা ঋণ দেখিয়েছেন।
দুদকের অনুসন্ধানে যাচাই বাছাই শেষে ৩৮ লাখ ৩ হাজার ৬৮৫ টাকার সম্পদ গোপনের তথ্য পাওয়া যায়। এ প্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের ৩০ মার্চ মামলা করে। ২০০৯ সালে ৫ জানুয়ারি দুদক তদন্ত শেষে চার্জশিট জমা দেয়।
রায়ের দিন শাহীন চাকলাদার আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক গাজী আব্দুল কাদির।
সারাবাংলা/এইচআই