খুলনা সদর থানার ওসিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের দাবি
২২ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:০৩ | আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:১১
খুলনা: আইন-শৃংঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে ব্যর্থ হওয়ায় খুলনা মহানগরীর সকল থানার অফিসার্স ইনচার্জকে (ওসি) অবিলম্বে অপসারণের দাবি করেছে খুলনা বিএনপি। বিশেষ করে খুলনা সদর থানা এলাকার আইন-শৃংঙ্খলা পরিস্থিতি চরম অবনতি হওয়ায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে সদর থানার ওসি মুনীর উল গিয়াসকে অপসারণের দাবি জানানো হয়। অন্যথায় খুলনা জেলা প্রশাসক ও মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দফতর ঘেরাও কর্মসূচিসহ খুলনা অচল কর্মসূচি ঘোষণার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় কেডি ঘোষ রোডের বিএনপি কার্যালয়ের সামনের সড়কে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। খুলনা মহানগরীতে আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতি, ৩০নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আমির হোসেন বোয়িং মোল্লা ও ২১নং ওয়ার্ড যুবদলের সহ-সভাপতি মানিক হাওলাদার হত্যাকাণ্ড, ২৭নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মো. শাহিন ও ছাত্রদল কর্মী নওফেলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মহানগর ও জেলা বিএনপির প্রতিবাদী বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়।
বক্তারা বলেন, গত পাঁচ মাসে পুলিশ প্রশাসনের নির্লিপ্ততায় খুলনার আইন-শৃংঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। একের পর এক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছে। বিএনপির দুইজনসহ গত ৪ মাসে মহানগরীতে ১০টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন অপরাধীদের গ্রেফতারে পুরোপুরি ব্যর্থ। এ ছাড়া মাদক ব্যবসা বন্ধ, বিভিন্ন মামলার আসামিদের গ্রেফতার, খুন, জখম, ডাকাতি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পেলেও পুলিশ অপরাধীদের গ্রেফতার করছে না। পুলিশের সাথে সখ্যতা করে অপরাধীরা নগরীতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। যাতে করে নগরবাসি চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। আইন-শৃংঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থেকে শৃংঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থ কর্মকর্তাদের দায়িত্বে থাকার কোন অধিকার নেই।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে মহানগরীর আইন-শৃংঙ্খলার অবনতিতে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বক্তারা।
মানিক নিহত হওয়ার আগে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিল। কিন্তু পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেওয়ার পর পুলিশ মামলা নেয়। পরবর্তীতে একজনকে আটক করা হলেও অজ্ঞাত কারণে ছেড়ে দেওয়া হয়। ওই সন্ত্রাসীকে ছেড়ে দেওয়া না হলে আজ মানিক হত্যাকাণ্ড ঘটত না।’
বক্তারা বলেন, ‘পুলিশ অপরাধীদের গ্রেফতার না করে বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে গোপন বৈঠক করছেন। বিএনপি অফিস ভাংচুর মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তাদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না।
সমাবেশ শেষে দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু পিসি রায় রোড, যশোর রোড, ফেরিঘাট ঘুরে স্যার ইকবাল রোড হয়ে দলীয় কার্যালয় গিয়ে শেষ হয়। এ সময় পুলিশ প্রশাসনের ব্যর্থতা ও অপসারণ নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেয় নেতাকর্মীরা।
সারাবাংলা/এমপি