জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের ভোটার তথ্য হালনাগাদ হচ্ছে হাসপাতালে
২১ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:০১ | আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:৫৪
ঢাকা: জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন ৩৮ জনের ভোটার তালিকা হালনাগাদের তথ্য সংগ্রহ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নতুন ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তি ও তথ্য হালনাগাদ করতে রাজধানীর কয়েকটি হাসপাতালে চলবে এই সেবা কার্যক্রম।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এই কার্যক্রম শুরু হয়। সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে এ সেবা।
এই কার্যক্রমে ছবি ও বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করেছে কমিশন। সেইসঙ্গে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) ভুল থাকলে সেগুলোও সংশোধন করে দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এ ছাড়া, আহতদের কাছে পর্যাপ্ত তথ্য না পাওয়া গেলে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তা নিয়ে দেড় সপ্তাহের মধ্যে আহতরা পরিচয়পত্র পাবে বলে জানা গেছে।
নির্বাচন কমিশনের সহকারী প্রোগ্রামার মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন জানান, আহতদের মধ্যে যাদের আঙুল ও চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের বিশেষ নির্দেশনায় তাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। আগামী দেড় সপ্তাহের মধ্যে তারা জাতীয় পরিচয়পত্র পাবেন।
জানা গেছে, এর পর বুধবার (২২ জানুয়ারি) জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এই সেবা কার্যক্রম চলবে। এ ছাড়া অন্য কোনো হাসপাতালে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আহতরা থাকলে সেখানেও চলবে এ কার্যক্রম।
প্রসঙ্গত, গতকাল ২০ জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু হয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানে আহতরা যেন বাদ না পড়েন, সে লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন এই বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। এ লক্ষ্যে গতকালই জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের (এনআইডি) পরিচালক এ মো. আব্দুল মমিন সরকার এ সংক্রান্ত একটি চিঠি তিন হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।
চিঠিতে বলা হয়, জাতির ক্রান্তিলগ্নে জুলাই অভ্যুত্থানে যেসব বীর সেনানী মহান বিপ্লবের মাধ্যমে আমাদের বিজয় এনে দিয়েছেন তারা এখনও হাসপাতালের বেডে চিকিৎসারত রয়েছেন। আমরা সেসব সূর্য সন্তানদের তথ্য ও বায়োমেট্রিক হাসপাতালে গিয়ে সংগ্রহ করতে চাই। এ ছাড়া, হাসপাতালে চিকিৎসারত যেসব ছাত্র-জনতা আগে ভোটার হয়েছেন তাদের মধ্যে এনআইডিতে কোনো ভুলভ্রান্তি থাকলে অথবা হারিয়ে গেলে সে ব্যাপারেও সহযোগিতা করা হবে।
চিকিৎসাধীন আহত ছাত্র-জনতার নির্দিষ্ট সময়সূচি অনুযায়ী তথ্য ও বায়োমেট্রিক সংগ্রহের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদের নির্ধারিত সময়ে প্রস্তুত রাখার জন্য সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে।
সারাবাংলা/এনএল/পিটিএম