Monday 20 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সৃষ্টিশীলতার প্রতিবিম্ব কামরুল ইসলাম সিদ্দিকের ৮১তম জন্মদিন আজ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২০ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:৪৪ | আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:০৯

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রকৌশলী প্রয়াত কামরুল ইসলাম সিদ্দিক। ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: ‘মানুষ নির্মাণ করে প্রয়োজনে, সৃষ্টি করে আনন্দে, বুদ্ধির পরিচয় দেয় জ্ঞানে, যোগ্যতার পরিচয় দেয় কৃতিত্বে, নিজের পরিচয় দেয় সৃষ্টিতে’— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাংলাদেশের গ্রামীণ অবকাঠামো খাতের উন্নয়নে প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম সিদ্দিক ছিলেন এই মর্মবাণীর প্রতিবিম্ব। আজ তার ৮১তম জন্মদিন। বহুমুখী প্রতিভা অধিকারী কামরুল ইসলাম সিদ্দিকের সমগ্র জীবনই ছিল সৃষ্টির আধার। এই বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন একাধারে প্রকৌশলী, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনাবিদ, প্রযুক্তিবিদ ও যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের স্বপ্নদ্রষ্টা। তারই সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার ফসল আজকের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)।

বিজ্ঞাপন

কুষ্টিয়া অধিবাসী কৃষিচিন্তক প্রয়াত নূরুল ইসলাম সিদ্দিক এবং রত্নগর্ভা মা বেগম হামিদা সিদ্দিকের কোল আলো করে পৃথিবীতে এসেছিলেন ১৯৪৫ সালে। কামরুল ইসলাম সিদ্দিক তার শৈশব ও শিক্ষা জীবনের প্রথম অধ্যায় কেটেছে লালন শাহ, রবীন্দ্রনাথ এবং মীর মশাররফ হোসেনের স্মৃতিধন্য কুষ্টিয়ায়ঠ। ১৯৬৬ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। ১৯৬৭ সালে জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে জন্মশহর কুষ্টিয়াতেই কর্মজীবন শুরু তার। প্রকৌশল পেশার জ্ঞান কাজে লাগিয়ে মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই ১৯৭১ সালের ৩০ এপ্রিল ভারতের ‘বেতাই’ ইয়্যুথ ক্যাম্প থেকে কুষ্টিয়া-পাবনা অঞ্চল হানাদার মুক্ত করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন রণাঙ্গনে।

বিজ্ঞাপন

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন প্রকৌশলী হিসেবে তিনি মুক্তি বাহিনীকে সহায়তা প্রদানে বিভিন্ন রাস্তা ও সেতুর নকশা প্রণয়ন করে যুদ্ধের অপারেশনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। আবার যুদ্ধ শেষে বিধ্বস্ত বাংলাদেশ গড়ার কাজেও ছিলেন অগ্রগামী। বিদ্যুৎ ও পানিসহ বহু খাতেই বিপ্লব ঘটেছে তার হাত দিয়েই। রাবার ড্যাম দিয়ে কৃষির পানি ধরে লক্ষ্যে প্রলয়ঙ্কারী বন্যা ঠেকানোর প্রকৌশলী ধারণা ছিল তারই প্রকৌশল জ্ঞানের স্বাক্ষর। ‘জিআইএস’ ও ‘জিপিএস’ বিপ্লবের প্রথম প্রহরেই বাংলাদেশকে উপহার দিয়েছিলেন ‘ডিজিটাল ম্যাপিং’। সত্তরের দশকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের আওতায় যে ইঞ্জিনিয়ারিং সেল গঠন করা হয়েছিল সেই পল্লীপূর্ত কর্মসূচিকে উন্নয়ন বাজেটের আওতায় ‘ওয়ার্কস প্রোগ্রাম উইং’-এ রূপান্তরের মাধ্যমে ১৯৮৪ সালের অক্টোবরে ওয়ার্কস প্রোগ্রাম উইং রাজস্ব বাজেটের আওতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল ব্যুরো (এলজিইবি) রূপে পুনর্গঠিত করেন। যার ধারাবাহিকতায় ১৯৯২ সালের আগস্ট মাসে এলজিইডিকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) হিসেবে উন্নীত করা হয়।

কম সময়ের মধ্যেই নানা দূরদর্শী উদ্যোগ বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রশংসা কুড়িয়েছেন দেশে-বিদেশে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশলে বিশ্বব্যাংক থেকে ‘ম্যাজিক বয়’ স্বীকৃতিতে ভূষিত হন এই বিচক্ষণ প্রশাসক কামরুল ইসলাম সিদ্দিক। দেশেও অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন তিনি। প্রকৌশলে বিশেষ অবদানের জন্য ২০০৭ সালে বাংলা একাডেমি তাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করে।

যানজট কমিয়ে রাজধানীবাসীকে স্বস্তি দিতে আজকের যে মেট্রোরেল ও এক্সপ্রেসওয়ে, তা ২০০৪ সালে কামরুল ইসলাম সিদ্দিকির নকশা করা ঢাকা পরিবহন সমন্বয় বোর্ডের (ডিটিসিবি) কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা (এসটিপি)। বিদেশের মাটিতে বসেই দেশে পাতাল সড়কের প্রকৌশল নকশা নিয়ে অপর প্রকৌশলী জামিলুর রেজাকে মেইল পাঠাতেন তিনি। কেবল গ্রাম নয়, হাতিরঝিল থেকে পাতাল রেল সব পরিকল্পনাতেই জুড়ে আছে তার নাম। তিনি ছিলেন ভিশনারি টেকনোক্র্যাট।

শুধু অবকাঠামো খাতেই নয় তার চিন্তার ব্যাপ্তি ছড়িয়েছেন প্রযুক্তি খাতেও। ১৯৮২ সালে বাংলাদেশে প্রথম দু’টি আইবিএম মেইনফ্রেম কম্পিউটার পিসি এনে এলজিইডিতে ব্যবহার শুরু করেন তিনি। সেই কম্পিউটার দেশে অনুপ্রাণিত হয়ে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসাইন মুহাম্মাদ এরশাদও রাষ্ট্রীয় কাজে কম্পিউটারের ব্যবহারে আগ্রহী হন। কামরুল ইসলাম সিদ্দিক অবদান রেখেছেন ভূমি ব্যবস্থাপনাতেও। ১৯৮৮ সালে জমির মৌজার হার্ড কপি ম্যাপের ডিজিটাল ম্যাপিং শুরু করেন এই ‘বড় স্যার’। ১৯৯৪ সালে ইন্টারনেট, ই-মেইল এর পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ওয়েবসাইটও তৈরি করান কামরুল ইসলাম সিদ্দিক। পিডিবি’র চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের সময় খুলনা থেকে ডিজিটাল বিলিং সিস্টেম চালু করেন। ১৯৯৭-৯৮ সালের দিকে পরিসংখ্যান ব্যুরোর সঙ্গে জনশুমারিতে প্রকৌশলী জ্ঞানকে কাজে লাগিয়েছিলেন তিনি। ডিএলআরএস সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে যে ম্যাপিং করেছেন তাকে ভিত্তি করেই আজ কাজ করছে প্রতিটি সরকারের অধিদফতর।

এ ছাড়াও আজ থেকে ২৬ বছর আগে ১৯৯৯ সঙ্গে বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগের জন্য জিআইএস ব্যবহার কাস্টম ম্যাপিং সফটওয়্যার তৈরি করে দিয়েছিলেন তিনি। তার সুদক্ষ পরিচালনায় পিডিবি পেয়েছিল নতুন আলোর সন্ধান। তার যুগোপযোগী কর্মকাণ্ডে পূর্ত মন্ত্রণালয় জেগে উঠেছিল নতুন স্বপ্ন নিয়ে। সবশেষে প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের কর্মকাণ্ড নিয়েও নতুনভাবে চিন্তার সূত্রপাত করেছিলেন। এভাবেই সরকারি কর্মকর্তাদের চিরাচরিত নিয়ম ভেঙে নিজে কাজ করে অন্যদের কাজ শেখানো এবং প্রশিক্ষণ ও উদ্ভাবনে আমৃত্যু সহকর্মীদের অনুপ্রাণিত করেছেন কামরুল ইসলাম সিদ্দিক।

সরকারি চাকরির প্রথা ভেঙে স্বনির্ভর বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের মহাসড়ক নির্মাতা কামরুল ইসলাম সিদ্দিকের ৮১তম জন্মদিনকে পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করলেন অন্তর্বর্তী সরকারে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘জীবদ্দশায় এবং অবর্তমানেও এমন সৃষ্টিশীল ও সৃজনশীল ব্যক্তিত্বকে কোনো রাষ্ট্রীয় সম্মাননা না দেওয়াটা দুঃখজনক। তাকে পুরস্কৃত করা মানেই জাতীয় মর্যাদাকেই সমুন্নত করা, পরবর্তী প্রজন্মকে আলোর পথে পরিচালিত করা, উন্নয়নের গতিধারাকে টেকসই করা। কেননা, বাংলাদেশের সামাজিক প্রকৌশল জগতে তিনি অনন্য। সৃষ্টিশীল ও সৃজনশীলতায় তিনি অনুসরণীয়।

তিনি আরও বলেন, ‘তিনি কেবল একজন প্রকৌশলীই ছিলেন না; বাংলাদেশে ক্ষুদ্র পানিসম্পদ, গ্রামীণ অবকাঠামো নির্মাণ ও মাঝারি শহর অবকাঠামো প্রতিষ্ঠায় তিনি সফলতার স্বাক্ষর রেখে গেছেন। ক্ষুদ্র জেলা পরিষদ থেকে এলজিইডি প্রতিষ্ঠা করে এটিকে আদর্শ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছিলেন। পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় তার উদ্যোগে ঐতিহাসিক অনেক কাজ হয়েছে। নেপাল-ভুটান পানি চুক্তিতে আমরা সফলতা পেয়েছি। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সেই ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। অনেক প্রজেক্ট হলেও সামগ্রিক কাজ হয়নি। তিনি সড়ক উন্নয়নে যেভাবে ভূমি ব্যবহার, উন্নয়ন, অঞ্চল পরিকল্পনা, পানি নিষ্কাশন, বন্যা নিয়ন্ত্রণে দূরদর্শী নেতৃত্ব দিয়েছেন এখন তা দ্বিতীয় অধ্যায়ে নিয়ে যাওয়া সময় এসেছে। তাই তাকে পরম শ্রদ্ধার সঙ্গেই স্মরণ করি।’

জন্মদিনে কর্মগুণে ভাস্বর এই ব্যক্তিত্বকে স্মরণ করে শিক্ষাবিদ, অর্থনীতিবিদ ও বেসরকারি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ব্র্যাকের চেয়ারম্যান ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন, স্ব স্ব পেশায় দক্ষ ও যোগ্য মানব সম্পদ তৈরি ও রাষ্ট্রীয় সব কর্মকাণ্ডে পেশাদারিত্বের মনোভাব প্রতিষ্ঠা ও বিস্তার বাংলাদেশের আজকের অন্যতম প্রয়োজন। প্রয়াত কামরুল ইসলাম সিদ্দিক এ ক্ষেত্রে ছিলেন অগ্রচিন্তার মহানায়ক। তাকে আমরা যোগ্য সম্মান দিতে পারিনি, এটি আমাদেরই অযোগ্যতা। বাংলাদেশের ‌নবযাত্রায় সম্মান জানাবার এই ঘাটতি পূরণের মাধ্যমে নুতন প্রজন্মের সাথে এই কর্মবীরের পরিচয় করিয়ে দেওয়া জরুরি।’

নতুন বাংলাদেশে কামরুল ইসলাম সিদ্দিককে অচিরেই রাষ্ট্রীয় কোনো পদকে ভূষিত করা হবে বলে মনে করেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী এবং বারডেম’র পরিচালনা বোর্ড সদস্য মো. শহিদুল হাসান। তিনি বলেন, ‘ভার্সেটাইল প্রতিভার অধিকারী ছিলেন কমরুল ইসলাম সিদ্দিক। অনেক কিছুরই পথিকৃত। উন্নত সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ বিনির্মাণে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে রাবার ড্যাম ব্যবহারের মাধ্যমে তিনি খরা মৌসুমে সেচ ব্যবস্থা চালু করেছিলেন। উন্নত সড়ক পরিবহণ ব্যবস্থা উপহার দিয়ে ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে সঠিক বিনিয়োগ ও বিপণনের সুযোগ করে দিয়ে গ্রামের মানুষের আর্থসামাজিক জীবন বদলে দেওয়ার জন্য অনবদ্য ভূমিকা পালন করেছেন। মেয়েদের ক্ষমতায়নের জন্য তাদের কর্মসংস্থানে রুরাল ট্রান্সপোর্ট ও মার্কেটিং এবং ওয়াটার সিস্টেম ম্যানেজমেন্ট, জিআইএস সিস্টেম চালু ইত্যাদি নানা উদ্ভাবনী কাজ তিনি করেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘এসব কাজের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিতে সমৃদ্ধি আনতে সচেষ্ট ছিলেন আমৃত্যু তিনি একজন আমলা হয়েও আইনের সর্বোচ্চ ব্যবহার করে দেশের কল্যাণে নিয়োজিত ছিলেন। কেবল স্বপ্ন বুননে নয়, স্বপ্নের প্রতিটি কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছিলেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে রাজনীতিকরা সেই ক্রেডিট নিয়ে নেয়। ফলে গত ১৫ বছরে তিনি কোনো রাষ্ট্রীয় পদকটাও পাননি। তবে নতুন বাংলাদেশে নতুন আশায় এবারও আমরা চেষ্টা করছি। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মাদ ইউনূসও তাকে খুব ভালোভাবে জানেন। অতীতে তিনি তার কাজেরও প্রশংসা করেছেন। আশা করি, এবার আমরা রাষ্ট্রীয়ভাবে তাকে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করতে পারব।’

বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম- বিএসআরএফ’র জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ফসিহ উদ্দীন মাহতাব স্মৃতিচারণ করে সারাবাংলার এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে কামরুল ইসলাম সিদ্দিককে আমি চিনি। তার সঙ্গে ব্যক্তিগত পরিচয় ছিলো আমার। গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়নে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যত আইন, নিয়ম-কানুন পরিবর্তন, সংশোধন, বিয়োজন দরকার সবই তার হাত দিয়ে হয়েছে। আজ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে একমাত্র তার হাত দিয়েই।’

মাহতাব বলেন, ‘আমার শিক্ষার্থী জীবনেই কামরুল ইসলাম সিদ্দিকির সঙ্গে পরিচয় ঘটে। ব্যক্তিগতভাবে নামে চিনতেন আমাকে। খুলনায় আমাদের অনেক অনুষ্ঠানে এসেছেন তিনি। জাতীয় সংসদেও তাকে নিয়ে কথা হতো। সেখানে তাকে গ্রামীণ উন্নয়নের নেপথ্যের নায়ক হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। যার অবদানে দেশের গ্রাম-গঞ্জ উন্নয়নের ছোঁয়া পেয়েছে। কামরুল ইসলাম সিদ্দিক শুধু ব্যক্তি নন, তিনি একটা প্রতিষ্ঠান। তিনি দেশের সম্পদ ছিলেন।’

২০০৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে একমাত্র ছেলে সাইফুল ইসলাম সিদ্দিকের বাসায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এই প্রজ্বল নক্ষত্র সদৃশ উন্নয়ন ব্যক্তিত্ব। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত বাংলাদেশ জল অংশীদারী (বিডাব্লিওপি) এবং পল্লি পরিবহণ উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ জাতীয় ফোরাম’র প্রেসিডেন্টের নির্ধারিত দায়িত্ব পালনসহ নানা উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বাংলাদেশের প্রবাদ পুরুষ কামরুল ইসলাম সিদ্দিক।

সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম

কামরুল ইসলাম সিদ্দিক টপ নিউজ প্রকৌশলী প্রতিবিম্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা সৃষ্টিশীলতা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর