‘এক ফ্যাসিস্ট তাড়িয়েছি, আরেক ফ্যাসিস্টের জন্ম যেন না হয়’
১৯ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:২২
ঢাকা: ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, এক ফ্যাসিস্ট তাড়িয়েছি, নতুন করে আরেক ফ্যাসিস্টের জন্ম যেন না হয়, সেদিকে সকলকে নজর রাখতে হবে। ৫৩ বছরে একবার-দুইবার নয়, টানা পাঁচবার দুর্নীতিতে বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছে অতীতের শাসকরা। এই দুর্নীতিবাজদেরকে রাষ্ট্র পরিচালনার থেকে দূরে রেখে পরিবর্তন আনতে হবে।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের ‘শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তন’-এ আয়োজিত ইসলামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সৎ, যোগ্য ও ন্যায়পরায়ণ মানুষকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করার আহ্বান জানিয়ে সৈয়দ রেজাউল করীম বলেন, ‘দেশে শান্তি চাইলে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ইসলামী আদর্শ বাস্তবায়ন করা জরুরি। মুসলমান হয়ে আল্লাহর ওপর ঈমান এনেছি তাই সকলকে মানতে হবে, ‘সৃষ্টি যার আইন হবে তার’। আইনজীবীদেরকে ন্যায়ের পক্ষে আইনি লড়াই করতে হবে । শেরে বাংলা একে ফজলুল হকসহ অনেকেই ন্যায়ের পক্ষে লড়াই করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘অনেকে ইসলামের আইনের কথা শুনলে ভয় পায়। অথচ সম্পত্তি বণ্টনে ইসলামের বিধান অনুসরণ করা হয়। এখানে কোনো বৈষম্য আছে বলে কখনো কেউ বলতে পারেনি। কেউ না বুঝে ইসলামী আইনের মধ্যে কঠোরতা রয়েছে বলে প্রচার করে। এ জন্য ইসলামকে আগে বুঝতে হবে। ইসলামে চুরি করলে হাত কেটে দেওয়া হয়, এটা সঠিক। কিন্তু ইসলাম সব চোরের হাত কাটার নির্দেশ দিয়েছে কিনা এটা জানা দরকার।’
সৈয়দ রেজাউল করীম বলেন, ‘চোর দুই প্রকার, একটি অভাবী, আর একটি স্বভাবী। মন্ত্রী-এমপি যারা রাষ্ট্রীয় অর্থ, সম্পদ চুরি করে বিদেশে পাচার করে, এরা অভাবী চোর নয়, স্বভাবী চোর। অভাবী চোরের হাত কাটা নির্দেশ ইসলামে নেই। ইসলাম স্বভাবী চোরদের হাত কেটে দিতে বলেছে। স্বভাবী চোরদের হাত কেটে দেওয়া হলে এদেশে চুরি থাকবে না। তাই চুরি বন্ধে হাত কাটার আইন থাকতে হবে।’
ইসলামী আইনজীবী পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট লুৎফর রহমান শেখ এর সভাপতিত্বে ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হানিফ মিয়ার পরিচালনায় সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে দেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, আপীল বিভাগের সিনিয়র আইনজীবী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট শেখ আতিয়ার রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শওকত আলী প্রমুখ।
সম্মেলন শেষে আগামী ২০২৫-২০২৬ সেশনের জন্য অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আতিয়ার রহমানকে সভাপতি, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবদুল বাসেতকে সিনিয়র সহ-সভাপতি, অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ হারুন অর রশিদ, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মশিউর রহমানকে সহ-সভাপতি, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হানিফ মিয়াকে সাধারণ সম্পাদক ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ বায়জিদ হোসেনকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি ঘোষণা করেন সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
সারাবাংলা/এজেড/এসআর