Sunday 19 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

যিনি ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসা দিয়েছিলেন, তাকে আসামি করা দুঃখজন: ডা. রফিক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৯ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:০০ | আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:৪৫

ঢাকা: ‘যে চিকিৎসক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শহিদ ইসমাইলকে চিকিৎসা দিয়েছিলেন, তাকে হত্যা মামলায় আসামি করা দুঃখজন’— এমনটিই মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। জুলাই আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত রিকশা চালক ইসমাইলকে চিকিৎসা অবহেলার দায়ে অভিযুক্ত করে রামপুরার একটি বেসরকারি হাসপাতালের একজন চিকিৎসকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের ও গ্রেফতারের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে তিনি এ বিবৃতি দেন।

বিজ্ঞাপন

ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে কতিপয় চিকিৎসকের বিতর্কিত ভূমিকা যেমন আছে, ঠিক একইভাবে নিজেদের জীবন ঝুঁকিতে রেখে চিকিৎসা সেবা প্রদান করার প্রশংসনীয় উদাহরণও আছে। একদিকে যেমন ফ্যাসিস্ট সরকারের ক্রীড়নক হিসেবে শান্তি সমাবেশে যাওয়া কিংবা চিকিৎসা সেবায় বাধা দেওয়ার নজির আছে ঠিক একইভাবে তৎকালীন সরকারের রক্তচক্ষুকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জেল-জুলুম সহ্য করে নিজেদের উজাড় করে দেওয়ার উদাহরণও আছে।’

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন মিডিয়াতে ছবিতে দেখা যাচ্ছে পুলিশের নির্মমতায় শহিদ ইসমাইলের মাথার একটা অংশ থেতলে গেছে এবং তিনি সিঁড়িতে উপুর হয়ে পড়ে আছেন। বিভিন্ন প্রিন্ট ও সোশ্যাল মিডিয়া হতে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, চিকিৎসক নিজের জীবন ঝুঁকিতে রেখে চিকিৎসা করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলেন। অথচ সেই চিকিৎসককে আজ হত্যা মামলার আসামি করা হয়েছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।’

ডা. রফিকুল ইসলামা বলেন, ‘যে পুলিশ গুলি করে ইসমাইলের মাথার খুলি উড়িয়ে দেন এবং কর্তব্যরত চিকিৎসককে সেবা প্রদানে বাধা দেন সেই পুলিশই আবার ওই ডাক্তারের হাতে হাতকড়া পরিয়ে থানায় নিয়ে যায়। অথচ হত্যার সঙ্গে জড়িত পুলিশের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা এখনও দৃশ্যমান নয়। এইসব হত্যাকাণ্ডের পেছন থেকে যারা কলকাঠি নেড়েছেন, নির্দেশদাতা ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কিংবা দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হচ্ছে না।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘এভাবে একজন চিকিৎসককে হয়রানি যেন অতীতের ফ্যাসিস্ট সরকারের দুঃশাসনেরই প্রতিচ্ছবি। যেখানে চিকিৎসকদের কোনো অনিয়ম তদন্ত করার ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক নিয়োজিত বিএমডিসি আছে, যারা তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারত, সেখানে কোনো ধরনের তদন্ত ছাড়াই চিকিৎসকদের এমন হয়রানি কোনো ভয়ংকর ষড়যন্ত্রের অংশ কিনা তা খতিয়ে দেখা জরুরি।’

অনতিবিলম্বে উক্ত চিকিৎসককে সসম্মানে মুক্তি ও তার সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, এবং উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম।

সারাবাংলা/এজেড/এসআর

ডা. রফিকুল ইসলাম বিএনপি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর