Sunday 19 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আওয়ামী লীগের যাদের হাতে রক্তের দাগ, প্রত্যেকের বিচার হবে: প্রেস সচিব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:৫০ | আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:০২

রোববার রাজধানীর প্রেস ইন্সটিটিউ বাংলাদেশ (পিআইবি)’তে বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরামের (বিএজেএফ) সদস্যদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম – ছবি : সারাবাংলা

ঢাকা: হত্যা, গুম ও খুনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের যাদের হাতে রক্তের দাগ আছে, তাদের প্রত্যেকের বিচার হবে। তবে রাজনৈতিক দল হিসাবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোন পরিকল্পনা অন্তর্বর্তী সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর প্রেস ইন্সটিটিউ বাংলাদেশে (পিআইবি) বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরামের (বিএজেএফ) সদস্যদের জন্যে কৃষি সাংবাদিকতা বিষয়ক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

বিজ্ঞাপন

মোহাম্মদ শফিকুল আলম বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, আওয়ামী লীগের যাদের হাতে রক্ত আছে তাদের প্রত্যেককে বিচারের আওতায় আনা। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো নির্ধারণ করবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির ভবিষ্যৎ কী হবে। অন্যদিকে আমরা দেখছি যে, আওয়ামী লীগের কারো মধ্যে কোন অনুশোচনা নেই। বরং তিনি (শেখ হাসিনা) একের পর এক মিথ্যা বলে যাচ্ছেন। উনি তো আগে তাহাজ্জুদের নামাজের পর থেকে মিথ্যা শুরু করতেন। এখন অব্দি তিনি ওই ট্রেন্ড অব্যাহত রেখেছেন। মিথ্যার পর মিথ্যা বলেই যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনা এবং তার সাথে যারা এই গুম, খুন ও চোরতন্ত্র কায়েমে জড়িত, সবার আগে তাদের বিচার করবে। এটা হচ্ছে প্রথম অগ্রাধিকার। তারপর তারা নির্ধারণ করবে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী। এই সরকারের কোন প্ল্যান নেই, আওয়ামী লীগকে ব্যান করার।

নির্বাচন বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচন কমিশন কাজ করছে। নির্বাচন কমিশন কিছু টাইম লাইন দিয়েছে। অনেক বড় একটা প্রিপারেশনের বিষয়। প্রিপারেশন কেমন হবে সেটা নির্ভর করছে অনেকগুলো রিফর্মের উপর। এই রিফর্মগুলোর অনেকগুলোই মাঠ পর্যায়ে নির্বাচন প্রভাবিত করবে। অনেকেই ভাবছেন যে, নির্বাচন খুব দ্রুত করা সম্ভব। সব রাজনৈতিক দলগুলো বসে যদি ঠিক না করি- কী পরিমাণ সংস্কার হবে, তার আগে তো নির্বাচন কবে হবে- তা বলা সম্ভব নয়। কেউ যদি বলে ফেলে স্থানীয় নির্বাচন আগে হবে। তখন তো অন্য রকমের প্রস্তুতি দরকার হবে। সেই প্রস্তুতির কথা মাথায় রেখেই প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের দুটি টাইম লাইন দিয়েছেন। যদি কম রিফর্ম হয়, তাহলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হবে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি মনে করে অন্তর্বর্তী সরকারকে দিয়ে আরও কিছু সংস্কার করিয়ে নেবে, সেক্ষেত্রে জুন ২০২৬ এর কথা তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) বলেছেন। আমরা খুব বেশি সময় যে নিচ্ছি, এটা ঠিক তা না। খুবই যুক্তিযুক্ত সময়ের কথা তিনি বলেছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের কারো ক্ষমতার প্রতি লোভ নেই।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইএইচটি/আরএস

আওয়ামী লীগ প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম বিচার-সংস্কার-নির্বাচন