Saturday 18 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রিফর্মস সহায়তা: ব্যাংকিং সেক্টর পেলেও ক্যাপিটাল মার্কেট পায়নি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:৩৫ | আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:০১

ঢাকা: দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ব্যাংকিং সেক্টরে রিফর্মসের জন্য সরকারের অনেক ধরনের সহায়তা প্যাকেজ আসছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ক্যাপিটাল মার্কেটের জন্য কোনো সহায়তা প্যাকেজ আসেনি বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর বিজয় নগরে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) আয়োজিত ‘সিএমজেএফ টক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিজ্ঞাপন

সিএমজেএফ সভাপতি ও সারাবাংলা ডট নেট-এর হেড অব নিউজ গোলাম সামদানী ভূইয়া অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সিএমজেএফ সেক্রেটারি ও আমাদের সময়ের সিনিয়র রিপোর্টার আবু আলী। অনুষ্ঠানে সিএমজেএফ ইসি কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ডিএসই চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলামের সঙ্গে সিএমজেএফ সভাপতি ও সারাবাংলা ডট নেট-এর হেড অব নিউজ গোলাম সামদানী ভূইয়া

মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘বহুজাতিক সংস্থাগুলো যেমন- আইএমএফ, এডিবি- এদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। যাতে তাদের কাছ থেকে আমরা সাপোর্ট পেতে পারি। এতে আমাদের এই রিফর্মসের কাজগুলো একটু তরান্বিত হবে। আমাদের দেশের ব্যাংকিং সেক্টরের জন্য অনেক ধরনের সহায়তা প্যাকেজ আসছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ক্যাপিটাল মার্কেটের জন্য কোনো সহায়তা প্যাকেজ আসেনি। এ দাবিটাকে আমরা সরকারের কাছে জোড়ালোভাবে তুলে ধরতে চাই। এছাড়া আমাদের সহযোগী যেসব আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো আছে, তারা পুঁজিবাজারের দিকে একটু নজর দিন। যাতে আমাদের রিফর্মসের কাজগুলো একটু সহজ হয় এবং আমরা যাতে আরও সক্ষম হতে পারি।’

বিজ্ঞাপন

ডিএসইর চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশের শেয়ারবাজারকে কাঙ্খিত জায়গায় নিয়ে যেতে কাজ করা হচ্ছে। তবে আমাদের শেয়ারবাজারের সমস্যা অনেক গভীরে। তাই সমাধানে একটু সময় লাগবে। আমাদের শেয়ারবাজার অনেক সংকুচিত। গত ১৫ বছরে শেয়ারবাজার অনেক পিছিয়েছে। তবে একই সময়ে বিশ্বের অন্য দেশগুলোর শেয়ারবাজার এগিয়েছে। এই অবস্থায় বর্তমান সময়ে দেশের সব স্টেকহোল্ডাররা বাংলাদেশের শেয়ারবাজারকে এগিয়ে নিতে ইতিবাচকভাবে কাজ করছেন। আমরা এরইমধ্যে দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছি। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার কাজের ফলাফল পেতে একটু সময় লাগবে। একটি ভবনের ভিত্তি নির্মাণ যেমন বাহিরে থেকে দেখা যায় না, ব্যাপারটি অনেকটা সেরকম। তবে ভবনের উপরে নির্মাণ কাজটা সবাই দেখতে পায়। কিন্তু আসল কাজটা করা হয় ওই ভিত্তি নির্মাণের সময়।’

অনুষ্ঠানে সিএমজেএফ ইসি কমিটি, সংগঠনের সাধারণ সদস্য ও  বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন

গ্যালারিতে বক্তব্য শুনছেন সিএমজেএফ ইসি কমিটি ও সংগঠনের সাধারণ সদস্যরা

তিনি বলেন, ‘সবকিছুই বিফলে যাবে, যদি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ধরে রাখতে না পারি। এজন্য স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে ৪টি কাজকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। চারটি কাজের মধ্যে দ্রুত সময়ে কিছু ভালো কোম্পানি নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। এছাড়া নেগেটিভ ইক্যুইটির সমস্যা সমাধান, ট্যাক্স সুবিধা দেওয়া ও ইনসাইডার ট্রেডিং বন্ধ করা। এই ট্রেডিংয়ের বিষয়ে আমরা জিরো টলারেন্স।’

মোমিনুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে শেয়ারবাজারের যে ভূমিকা থাকার কথা ছিল, তা হয়নি। প্রত্যাশার লেভেল থেকে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। স্টক এক্সচেঞ্জগুলোও অনেক সমস্যায় ছিল। এর মধ্যে অন্যতম নিয়ন্ত্রক সংস্থার অযাচিত হস্তক্ষেপ। এছাড়া স্টক এক্সচেঞ্জের মানব সম্পদের অদক্ষতা ও প্রযুক্তিগত সমস্যা রয়েছে। আর ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইনেও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।’

সারাবাংলা/এফএন/এসডব্লিউ

ডিএসই

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর