চার বছরে চার বিমান বন্দরের রানওয়ে উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি ২৯%
১৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৩:৩০ | আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:৪৬
ঢাকা: দেশের চার বিমান বন্দরের রানওয়ে উন্নয়ন করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে গৃহীত ‘যশোর বিমানবন্দর, সৈয়দপুর বিমানবন্দর, শাহ মখদুম বিমানবন্দর ও রাজশাহীর রানওয়ে সারফেসে অ্যাসফল্ট কংক্রিট ওভারলেকরণ’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৬৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদকাল হচ্ছে সাড়ে চার বছর (২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত)। ইতোমধ্যে প্রায় চার বছর উত্তীর্ণ হলেও গত নভেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের ভৌত কাজের ক্রমপুঞ্জিত অগ্রগতি দাঁড়িয়েছে ২৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত প্রকল্পটির স্টিয়ারিং কমিটির (পিএসসি) সভাসূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় জানানো হয়, যশোর বিমানবন্দর, সৈয়দপুর বিমানবন্দর, শাহ মখদুম বিমানবন্দর ও রাজশাহীর রানওয়ে সারফেস অ্যাসফল্ট কংক্রিট ওভারলেকরণের মাধ্যমে রানওয়েতে নিরাপদ বিমান উড্ডয়ন ও অবতরন নিশ্চিত করাই এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পর বিমানবন্দর তিনটির বিদম্যান রানওয়ের পিসিএন (পেভমেন্ট ক্ল্যাসিফিকেশন নাম্বার) ১৭ থেকে ৫০ এ উন্নীত হবে। রাজশাহী বিমানবন্দর অংশে রানওয়ে ওভারলে দ্বিতীয় লেয়ারের কাজ চলমান রয়েছে এবং রানওয়ে শোল্ডারের বেইজ কোর্সের কাজ চলছে। এ অংশের প্রায় ৪২ দশমিক ৫০ শতাংশ বাস্তব কাজ এরমধ্যে শেষ হয়েছে। সৈয়দপুর বিমানবন্দর অংশে নতুন শোল্ডারের বেইজ ও সাব-বেইজের কাজ চলমান রয়েছে এবং রানওয়ে ওভারলে কাজের জন্য অ্যাসফল্ট মিক্স ডিজাইন তৈরি করা হচ্ছে। পাশাপাশি নির্মাণ সামগ্রী সংরক্ষণ ও নির্মাণ সাইটের প্ল্যান্ট মেশিনারিজ ইকুইপমেন্ট স্থাপন করা হয়েছে। এ অংশের প্রায় ২৩ শতাংশ বাস্তব কাজ এরইমধ্যে শেষ হয়েছে। যশোর বিমানবন্দরে রানওয়ে নতুন শোল্ডারের বেইজ ও সাব-বেইজের কাজ চলমান রয়েছে এবং রানওয়ে ওভারলে কাজের জন্য অ্যাসফল্ট মিক্স ডিজাইন তৈরি করা হচ্ছে। পাশাপাশি নির্মাণ সামগ্রী সংরক্ষণ ও নির্মাণ সাইটে প্ল্যান্ট মেশিনারীজ ইক্যুইপমেন্ট স্থাপন করা হয়েছে। এ অংশের প্রায় ১১ দশমিক ৫০ শতাংশ বাস্তব কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।
বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল মোঃ মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া সভায় বলেন, যশোর বিমানবন্দরে যে চ্যালেঞ্জ ছিল- তা শেষ হয়েছে। সৈয়দপুর বিমানবন্দরের কাজ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রকল্পের অধীন প্রতিটি বিমানবন্দরে প্রকৌশলী নিয়োজিত করা হয়েছে। প্রকল্প কাজ সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
আইএমইড ‘র মহাপরিচালক মাহবুবুর রহমান বলেন, তিনি সৈয়দপুর বিমানবন্দর পরিদর্শন করেছেন। কাজের গতি ভালো। তবে মনিটরিং ও পরিদর্শন বৃদ্ধি করে প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ এগিয়ে নিতে হবে। বেবিচকের চেয়্যারম্যান প্রকল্প সাইট পরিদর্শন করবেন।
সারাবাংলা/জেজে/আরএস