যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধের পথে টিকটক
১৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:২০ | আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:২৯
চীনা মালিকানাধীন কোম্পানি বাইটড্যান্স রোববারের (১৯ জানুয়ারি) মধ্যে টিকটক অ্যাপটি বিক্রি না করলে বহালকৃত আইন অনুযায়ী মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট অ্যাপটি নিষিদ্ধ করবে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র বরাতে এ তথ্য জানা গেছে।
টিকটক পূর্বে এই আইনের বিরুদ্ধে করা আপিলে যুক্তি দিয়েছিল যে, অ্যাপটি নিষিদ্ধ হলে এটি ১৭০ মিলিয়নের বেশি মার্কিন ব্যবহারকারীর মতপ্রকাশের স্বাধীনতা লঙ্ঘন করবে। তবে সর্বোচ্চ আদালত সর্বসম্মতভাবে এই যুক্তি খারিজ করে দেয়।
এখন টিকটককে যুক্তরাষ্ট্রে কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হলে ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে পাস হওয়া আইন অনুযায়ী, বাইটড্যান্সকে ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫-এর মধ্যে একটি অনুমোদিত ক্রেতার কাছে অ্যাপটির মার্কিন সংস্করণ বিক্রি করতে হবে, অন্যথায় এটি অ্যাপ স্টোর এবং ওয়েব হোস্টিং পরিষেবা থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে।
বাইটড্যান্স টিকটক বিক্রি না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং বলেছে, তারা রোববার (১৯ জানুয়ারি) টিকটকের মার্কিন কার্যক্রম বন্ধ করার পরিকল্পনা করেছে, যদি না কোনো অবকাশ দেওয়া হয়।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, আইনটি কার্যকর করার দায়িত্ব পড়বে সোমবার (২০ জানুয়ারি) দায়িত্ব গ্রহণকারী নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর। ট্রাম্প বলেছেন, তিনি শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
টিকটকের সিইও শৌ জি চিউ, যিনি ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে, আসন্ন প্রেসিডেন্টকে টিকটক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চালু রাখতে কাজ করার প্রতিশ্রুতির জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গোপনীয়তা ও জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কারণে গত বছর ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকান উভয় আইনপ্রণেতাই টিকটক নিষিদ্ধের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। যদিও টিকটক বারবার বারবার দাবি করেছে, তারা বেইজিংয়ের সঙ্গে কোনো তথ্য ভাগাভাগি করে না।
সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ‘টিকটক ১৭০ মিলিয়নের বেশি আমেরিকানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মতপ্রকাশের মাধ্যম, তবে কংগ্রেস মনে করে এই অ্যাপের ডেটা সংগ্রহের পদ্ধতি ও বিদেশি প্রতিপক্ষের সঙ্গে সম্পর্ক জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।’
এদিকে টিকটকের বহু কনটেন্ট নির্মাতা বলেছেন যে এই নিষেধাজ্ঞা তাদের জীবিকাকে প্রভাবিত করবে।
ড্রু টালবার্ট, যিনি টিকটকে পাঁচ মিলিয়নের বেশি অনুসারী পেয়েছেন, বিবিসি সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাতকারে বলেছেন, ‘আমি ওয়েটার থেকে বাড়ির মালিক হতে পেরেছি এবং এর সব শুরু হয়েছিল টিকটক দিয়ে।’
কেলি হেয়ার, যিনি টিকটকে নাচের কনটেন্ট তৈরি করেন, বলেছেন, ‘সরকার টিকটক কেড়ে নেওয়া মানে লক্ষ লক্ষ মানুষের চাকরি কেড়ে নেওয়া।’
সারাবাংলা/এনজে