‘শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার অর্থনীতি বহাল আছে’
১৫ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:২৬ | আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:২৮
ঢাকা: বামগণতান্ত্রিক জোটের নেতারা বলেছেন, শেখ হাসিনা সরকার ব্যবসায়ীদের অবাধ লুণ্ঠনের সুযোগ করে দিয়েছিল। লুটপাটের দায় সামাল দিতে ক্রমাগত জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়েছে। জনগণের অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার অর্থনীতি বহাল আছে। শতাধিক পণ্যে ভ্যাট ট্যাক্স আরোপ করা হয়েছে। অবিলম্বে তা বাতিল করতে হবে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শতাধিক পণ্যে বর্ধিত ভ্যাট-শুল্ক প্রত্যাহারসহ জনজীবনের সংকট নিরসন, ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা’র কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদ, সংস্কার ও নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার, নিহতদের ক্ষতিপূরণ, আহতদের পুনর্বাসনের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে নেতারা এসব কথা বলেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। এই অভ্যুত্থানে প্রায় দু’হাজার মানুষ শহিদ হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছে। অনেকে চোখ হারিয়েছে, অনেকে পঙ্গু হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার পাঁচ মাসেও শহিদদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা করতে পারেনি। আহতদের চিকিৎসার সুব্যবস্থা করতে পারেনি। আহতরা চিকিৎসার দাবিতে রাস্তায় আন্দোলন পর্যন্ত করছে। অথচ সরকারের টনক নড়ছে না।’
তারা আরও বলেন, ‘সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে চাইলে জনগণ আবারও রাজপথে নেমে আসবে।’
নেতারা ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা’র কর্মসূচিতে ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’ কর্তৃক সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতার ও বিচার করার দাবি জানান।
বাসদ( মার্কসবাদী) ও বাম জোটের সমন্বয়ক কমরেড মাসুদ রানার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন সিপিবির কেন্দ্রীয় সম্পাদক কাজী রুহুল আমীন, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু ও বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য নজরুল ইসলাম। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন বাসদ( মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নির্বাহী ফোরামের সদস্য রাশেদ শাহরিয়ার। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য আব্দুস সাত্তার।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এইচআই