‘বিএনপির বিকল্প দল গঠন না হলে আ.লীগের ক্ষমতায় আসার সুযোগ থাকবে’
১২ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:০৩ | আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:৪৯
ঢাকা: গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, বিএনপির বিকল্প যদি কোনো শক্তিশালী রাজনৈতিক দল গড়ে না ওঠে, ফের আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসার সুযোগ থাকবে। সেজন্য ভারত হাজার হাজার কোটি টাকা ইনভেস্ট করবে।
রোববার (১২ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতার উদ্যোগে আয়োজিত হতাহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, রাষ্ট্রীয় সম্মাননা, মাসিক ভাতা ও সুচিকিৎসার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসুচিতে তিনি এ সব কথা বলেন।
নুরুল হক নুর বলেন, ‘এখনো কেউ টের পাচ্ছেন না, দেশের মধ্যে কী হচ্ছে। কেউ দল গঠন নিয়ে ব্যস্ত, আবার কেউ ধান্দা নিয়ে ব্যস্ত। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে আছেন। অথচ যে ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করলাম, সেই গণহত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে কোনো দলের আওয়াজ নেই। বরং, সবাই তাদের রাজনৈতিক স্পেস দিতে চায়। আগামী নির্বাচনে সুযোগ দিতে চায়।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যদি কখনো ক্ষমতায় আসতে পারে, তাহলে এ গণঅভ্যুত্থানকে ষড়যন্ত্র এবং দেশদ্রোহী হিসেবে চিহ্নিত করবে। এর জন্য অনেককে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে।’
নুরু আরও বলেন, ‘দেশকে ভালো রাখতে হলে এই অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন করতে হবে। সরকারকে আরও কিছুদিন রাখতে হবে। কেন আহতদের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন জনের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হবে। সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হলো, যে তরুণদের নিয়ে মানুষ গর্ব করে, অহংকার করে, আমাদের সেই ছাত্র তরুণরাই জুলাই ফাউন্ডেশনের দায়িত্বে আছেন। কিন্তু তাদের কাছে কেন আমলাতন্ত্রের জটিলতা থাকবে। তাদের অফিসে কেন লালফিতার দৌরাত্ম্য থাকবে।’
মানববন্ধনে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুথানে সম্মুখসারির হতাহত পরিবারের পক্ষ থেকে ৯ দফা দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো-
১. আগামী এক সপ্তাহের (১৯ জানুয়ারি) মধ্যে আহত ও নিহতদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করতে হবে এবং তাদের পরিচয়পত্র (স্মার্ট কার্ড) প্রদান করতে হবে।
২. আহতদের দ্রুত সু-চিকিৎসার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে (দেশে/ বিদেশে)। গণঅভ্যুত্থানে আহতদের আজীবন বিনামূল্যে সরকারিভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
৩. ২০২৪ গণঅভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তি ও নিহতের পরিবারকে সরকারী মাসিক সম্মানী ভাতার ব্যবস্থা করতে হবে।
৪. গণঅভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তি ও নিহত পরিবারকে দ্রুত পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
৫. ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তি বা নিহত ব্যক্তির পরিবারকে পরবর্তী কোনো সরকার উদ্দেশ্য প্রণোদিত বা রাজনৈতিকভাবে কোনো হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দেওয়া যাবে না, এ মর্মে আইন পাস করতে হবে।
৬. জটিলতা নিরসন করে শহীদ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে আহত ও নিহতদের পরিবারকে দ্রুত সহায়তা প্রদান করতে হবে।
৭. জুলাই গণঅভ্যুত্থানে জড়িত অপরাধীদের দ্রুত বিচার সম্পন্ন করতে হবে।
৮. ২৪ গণঅভ্যুত্থানের জন্য সম্পূর্ণ পৃথক মন্ত্রণালয় গঠন করতে হবে।
৯. সব দাবিগুলো সরকারিভাবে লিপিবদ্ধ করে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম