হজ পালনে সংকট নিরসনে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ চায় হাব
৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১৩:২১ | আপডেট: ৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:৫৯
ঢাকা: হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) নেতারা বলেছেন, ২০২৫ সালে হজে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা তাদের পবিত্র ফরজ এবাদত সুন্দরভাবে সম্পাদন করতে পারবে কি-না সেটা নিয়ে অনিশ্চয়তা প্রবল হয়ে উঠছে। এ নিয়ে প্রায় ৮২ হাজার হজ যাত্রী ও এজেন্সির মালিকরা চরম উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় ভুগছে। বিরাজমান এই সংকট দূর করতে জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টে নসরুল হামিদ মিলনায়তনে হাব আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডক্টর মোহাম্মদ ফারুক এ কথা জানান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০২১ সালের জাতীয় হজ ও ওমরাহ্ আইনানুযায়ী, এজেন্সি প্রতি সর্বনিম্ন হজ যাত্রীর কোটা ১০০ জন এবং সর্বোচ্চ হজ যাত্রীর কোটা ৩০০ জনের বাধ্যবাদকতা আছে। বিষয়টি বাংলাদেশের হজ যাত্রীদের বয়স বিবেচনায় নিয়ে হজ যাত্রীর সুষ্ঠুভাবে হজ পালন ও যথাযথ সেবার নিশ্চিত করেই করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সারাজীবনের লালিত স্বপ্ন একবারের জন্য হলেও আল্লাহর ঘরের মেহমান হয়ে পবিত্র কা’বা জিয়ারত ও সোনার মদীনায় হাজিরা দিয়ে সালাতু সালাম পেশ করা, এ মহান কাজটি সুন্দর ও সুচারুরূপে সম্পাদন করতে এজেন্সি মালিক ও সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও দফতরের আন্তরিক সহযোগীতা একান্ত জরুরি। ইতোমধ্যে সৃষ্ট কোটা সংকট পুরো হজ্জ ব্যবস্থাপনা মধ্য সঙ্কটে পতিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, রাজকীয় সৌদি সরকারের তাদের নীতিমালা অনুযায়ী হজ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তেমনি আমাদের সরকার আমাদের রাষ্ট্রীয় আইন ও বিধি বিধান অনুযায়ী হজ কার্যক্রম পরিচালনার পদক্ষেপ নেয়। সেক্ষেত্রে সৌদি সরকরের কোনো পদক্ষেপ যদি আমাদের আইন কানুনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়, কুটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে তা সমাধান করা আমাদের সরকারের দায়িত্ব। কিন্তু সৌদি আরবে আমাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাড়া সেক্ষেত্রে বার বার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন।
আমরা বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে আপনাদের মাধ্যমে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে ধর্ম উপদেষ্টা ও প্রাধান উপদেষ্টা মহোদয়ের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আমাদের সরকার এই সংকটের গুরুত্ব অনুধাবন করবেন এবং ইতোপূর্বে নির্ধারিত ৫০০ জনের কোটা বহাল রাখার জন্য প্রয়েজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে সুষ্ঠু-সুন্দর ও সুশৃঙ্খল হজ্জ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবেন।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/ইআ