Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সরকারি গুদামে ধান-চাল বিক্রিতে কৃষকের অনীহা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৯ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:০০ | আপডেট: ৯ জানুয়ারি ২০২৫ ০২:০৭

ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান। ছবি কোলাজ: সারাবাংলা

বগুড়া: বাজারে দাম বেশি, সরকারি গুদামে ধান বিক্রিতে কৃষকের অনীহা দেখা দিয়েছে। কৃষক তাদের উৎপাদিত ধান হাটেই বিক্রি করছেন। এমন পরিস্থিতিতে বগুড়ায় সরকারের ধান-চাল সংগ্রহে লক্ষ্য অর্জন না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

জানা গেছে, বগুড়ায় চলতি মৌসুমে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১২ হাজার ৬১০ মেট্রিক টন, সিদ্ধ চাল ৩২ হাজার ২৮৪ মেট্রিক টন, আতব চাল ৩ হাজার ৬১৮ মেট্রিক টন ১৩ হাজার ৪৬৮ মেট্রিক টন। সংগ্রহ করা হয়েছে ধান ৮১ মেট্রিক টন, চাল সিদ্ধ ১৩ হাজার ৪৬৮ মেট্রিক টন, আতব ১ হাজার ৬২১ মেট্রিক টন।

বিজ্ঞাপন

উপজেলার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকার নির্ধারিত আমন ধানের দরের চেয়ে বাজার দর বেশি। যে কারণে খোলাবাজারে আমন ধান বিক্রয় করলে বেশি দাম পাওয়া যায়। এ ছাড়া, খাদ্য গুদামে ধান দেওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করা, সবধরনের ধান না নেওয়া, ধানের দাম হাতে হাতে না পাওয়াসহ নানা সমস্যা হয়। এমন পরিস্থিতিতে তাদের সরকারি গুদামে ধান বিক্রিতে অনীহা।

নন্দীগ্রাম এলএসডির শ্রমিক আব্দুস সাত্তার সারাবাংলাকে বলেন, ‘খাদ্য গুদামে ধান আসছে না, কিছু পরিমাণ চাল ঢুকেছে। আমরা বসে বসে সময় পার করছি। কাজ না থাকায় আমাদের চলাই কঠিন হয়েছে।’

বগুড়া জেলা খাদ্য কর্মকর্তা রিয়াজুর রহমান রাজু সারাবাংলাকে জানান, গত বছরের নভেম্বরে সারাদেশের ন্যায় বগুড়াতেও ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। কিন্তু সরকারিভাবে প্রচার চালালেও ধান চালের বাজার মূল্য বেশি থাকায় কৃষকরা খাদ্য গুদামে ধান-চাল দিতে আগ্রহী ছিল না। এতে শুরুতে ৮১ মেট্রিক টন ধান কেনা হয়। এর পর আর ধান কেনা সম্ভব হয়নি। তবে সিদ্ধ চাল ১৩ হাজার ৪৬৮ মেট্রিক টন ও আতব ১ হাজার ৬২১ মেট্রিক টন সংগ্রহ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

জেলা খাদ্য কর্মকর্তা আরও জানান, যেহেতু চাল কল মালিকরা আমাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ সে কারণে কম-বেশি চাল সংগ্রহ হচ্ছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ধান সংগ্রহের সময় রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ধান সংগ্রহ না হলেও চাল সংগ্রহ হবে।

নন্দীগ্রাম এলএসডির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফারুক আলমগীর সারাবাংলাকে বলেন, ‘এ বছর নন্দীগ্রাম উপজেলার কৃষকদের কাছ থেকে ৩৩ টাকা কেজি দরে ১৩৪২ মেট্রিক টন আমন ধান ও চাল কল মালিকদের কাছ থেকে ৪৭ টাকা কেজি দরে ৬৭২ মেট্রিক টন আমন ধানের চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।’

নন্দীগ্রাম উপজেলা চাল কল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘ধান কিনে চাল করতে যে খরচ পড়ছে আর সরকারিভাবে যে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে তাতে আমাদের কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা লোকসান হচ্ছে। লোকসানের পরেও শুধু লাইসেন্স ঠিক রাখতে ও সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য চাল দিতে হচ্ছে।’

সারাবাংলা/এসআর

কৃষকের অনীহা ধান-চাল সংগ্রহ বগুড়া সরকারি গুদামে ধান বিক্রি