Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘গত সরকারের মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচার করতে হবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:৩৫ | আপডেট: ৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:১৭

মোহাম্মদ মুমিনুল হক (মিলন) সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

ঢাকা: বিগত ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের আমলে মানবতাবিরোধী অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে যারা জড়িত ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে অতি দ্রুত আন্তর্জাতিক ও বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন পিস অ্যান্ড জাস্টিস অ্যালায়েন্স অ্যান্ড কানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অরগানাইজেশন।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনী মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ আহ্বান জাানানো হয়। মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা এই সংগঠনের পরিচালক মোহাম্মদ মুমিনুল হক (মিলন) সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

বিজ্ঞাপন

লিখিত বক্তেব্যে মুমিনুল হক বলেন, ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশে একটি অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিষ্ট, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী ও গরিব-অসহায় জনতার সম্পদ লুটকারী একটি অবৈধ সরকার নিয়োজিত ছিল। তারা পৃথিবীর অন্যান্য ফ্যাসিস্ট সরকারের মতো একটি লুটেরা ও শোষণকারী গোষ্ঠী তৈরি করেছিল। এই গোষ্ঠীটি কিছু সরকারি সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, অসাধু ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী রাজনৈতিক ব্যক্তি মিলে দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে ৮৫ শতাংশ জনগণের ভোটের ও বাঁচার অধিকার কেড়ে নিয়েছিল।

মুমিনুল আরও বলেন, গত ১৫ বছরে প্রতি বছর ১৫ থেকে ১৭ বিলিয়ন ডলার বা সর্বমোট ২৫৬ বিলিয়ন ডলার পলায়নকারী স্বৈরাচার সরকারের সুবিধাভোগী লোকজন কানাডা, আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, মালয়শিয়া, আরব আমিরাত ইত্যাদি রাষ্ট্রে অবৈধভাবে অর্থ পাচার করেছে। ২০২২ সালে নরওয়ে ও আমেরিকার দুটি সংস্থা প্রকাশ করেছিল। তাতে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশের অবৈধ সরকারের ৩৯৮ জন দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা ও ব্যবসায়ী কয়েক শ মিলিয়ন ডলার পাচার করে দুবাইয়ে ৬৪১টি রিয়েল এষ্টেট প্রোপার্টি কিনেছে। এ ছাড়া ২৫২ জন সরকারি কর্মকর্তা পুলিশ, সামরিক বাহিনী, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী আমেরিকায় অবৈধ সম্পদ পাচার করেছিল।

বিজ্ঞাপন

আওয়ামী লীগ সরকার অবৈধভাবে টিকে থাকার জন্য বিরোধী মত ও দলের প্রায় এক হাজার জনকে জোর করে গুম করেছিল এবং কারা হেফাজতে প্রায় চার হাজার জনকে বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যা করেছিল বলেও অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।

মুমিনুল হক বলেন, গত জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশের ছাত্র ও জনতার আন্দোলন দমন করতে আড়াই থেকে তিন হাজার শিক্ষার্থীকে হত্যা করা হয়েছে মাত্র দুই সপ্তাহে। এ ছাড়া ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ গুরুতর আহত হয়ে পুঙ্গত্ববরণ করছে। জানা গেছে বিপ্লবে শহিদ ও গুরুতর পুঙ্গত্ববরণকারী পরিবারের লোকজন এখনো পর্যন্ত আশানুরূপ চিকিৎসা সেবা ও পুর্নবাসনের জন্য ক্ষতিপূরণ বা ন্যায়বিচার পায়নি।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের লোকজন ও সহযোগীরা ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালের রায় এবং রোম স্ট্যাটউট ১৯৯৮ অনুযায়ী মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধে জড়িত ছিলেন। ওই সময় ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ জনগণকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল, যা জাতিসংঘ ঘোষিত সার্বজনীন মানবাধিকারের লঙ্ঘন এবং বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ীও ওই সব নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পায়নি।

মুমিনুল হক বলেন, তৎকালীন সুবিধাভোগী ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ ও সরকারি আমলারা অবৈধ সরকারকে টিকিয়ে রাখতে বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি, অনিয়ম, লুটপাট ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছিলেন। তাই আমরা মনে করি, তারা যে যেখানেই থাকুক, তাদের চিহ্নিত করতে হবে এবং তাদের অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে দরিদ্র-অসহায় মানুষদের ফিরিয়ে দিতে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি তাদের বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।

সারাবাংলা/কেআইএফ/এমপি

পিস অ্যান্ড জাস্টিস অ্যালায়েন্স অ্যান্ড কানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অরগানাইজেশন মানবতাবিরোধী অপরাধ শেখ হাসিনা

বিজ্ঞাপন

লস অ্যাঞ্জেলসে দাবানলে নিহত ৫
৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:৪৩

২৪ ম্যাচ পর হারল লিভারপুল
৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:৩১

সাভারে তিন গাড়িতে আগুন, নিহত ৪
৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:০৮

আরো

সম্পর্কিত খবর