লন্ডনের পথে খালেদা জিয়া
৭ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:৩৯ | আপডেট: ৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:৪১
ঢাকা: উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন গেলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির পাঠানো রাজকীয় বহরের বিশেষ উড়োহাজাজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১ টায় ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হন তিনি।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকালে তিনি লন্ডন হিথ্রো বিমান বন্দরে পৌঁছাবেন। সেখান থেকে সরাসরি ‘লন্ডন ক্লিনিক’-এ ভর্তি হবেন।
- আরও পড়ুন-
- নেতাকর্মীর ভিড় ঠেলে আড়াই ঘণ্টায় বিমানবন্দরে খালেদা জিয়া
- খালেদা জিয়ার যাত্রাপথে জনতার ঢল
- বাসা থেকে রওনা দিয়েছেন খালেদা জিয়া
বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে বিদায় জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. মঈন খান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম, নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও সালাহউদ্দিন আহমেদ।
খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী হিসেবে লন্ডন গেছেন তার চিকিৎসক ও ব্যক্তিগত স্টাফসহ ১৫ জন। এরা হলেন— ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলী রহমান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ড. মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী, দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, ব্যক্তিগত চিকিৎসক ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী, মো. সাহাবুদ্দিন তালুকদার, নুর উদ্দিন আহমদ, মোহাম্মদ আল মামুন, শরীফা করিম স্বর্ণা, খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার, সহকারী একান্ত সচিব মো. মাসুদুর রহমান, প্রটোকল অফিসার এস এম পারভেজ এবং গৃহকর্মী ফাতিমা বেগম ও রূপা শিকদার।
খালেদা জিয়া ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসায় যান। ২০২১ সালের ১১ এপ্রিল কোভিড-১৯ ভাইরাস পজিটিভ রিপোর্ট আসে তার। ১৫ এপ্রিল এভারকেয়ার হাসপাতালে সিটি স্ক্যান করা হয়। ২৭ এপ্রিল কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।
২০২১ সালের ১৯ জুলাই করোনার প্রথম ডোজ টিকা নেন তিনি, দ্বিতীয় ডোজ নেন ১৮ আগস্ট। ২৫ অক্টোবর একটা ছোট অপারেশন করা হয় তার। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি করোনার তৃতীয় ডোজ টিকা নেন। ১১ জুন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মধ্য রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। ২৪ জুন হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন। ২২ আগস্ট নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতাল যান। ফের অসুস্থ হলে ২৮ আগস্ট এভারকেয়ার হাসপাতাল ভর্তি হন। ৩১ আগস্ট হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন।
২০২৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতাল যান। ২৯ এপ্রিল হাসপাতালে ভর্তি হন। ৪ মে হাসপাতাল থেকে বাসায় আসেন। এর পর ১৩ জুন ফের এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। কিছুদিন চিকিৎসার পর বাসায় ফেরেন। এর পর ফের ৯ আগস্ট হাসপাতালে ভর্তি হন।
এ বছর ২৫ অক্টোবর আমেরিকার তিন জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ঢাকায় আসেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দিতে। ২৬ অক্টোবর তারা খালেদা জিয়ার অপারেশন করেন। ২৮ অক্টোবর চিকিৎসকরা চলে চান।
২০২৪ সালের ১১ জানুয়ারি ৫ মাস ২ দিন পর বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। ৮ ফেব্রুয়ারি আবার হাসপাতালে যান স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য। ৩১ মার্চ হাসপাতালে ভর্তি হন। ২ এপ্রিল বাসায় ফেরেন। ১ মে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আবারও হাসপাতালে যান খালেদা জিয়া। ২ মে হাসপাতাল থেকে বাসায় আসেন। ২২ জুন আবার হাসপাতালে ভর্তি হন। ২ জুলাই বাসায় আসেন। ৮ জুলাই আবারও হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি নির্বাহী আদেশে মুক্তি পান তিনি। ২১ আগস্ট বাসায় ফেরেন। ২১ সেপ্টেম্বর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে যান।
সারাবাংলা/এজেড/এইচআই