পোশাক শ্রমিকদের চোখের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার আহ্বান
৭ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:২০ | আপডেট: ৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:৪১
ঢাকা: পোশাক শ্রমিকদের চক্ষু পরিচর্যা সেবা, অন্ধত্ব প্রতিরোধ এবং চোখের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণের আহ্বান জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য সমন্বিত চক্ষু সেবা-উৎপাদনশীলতার ওপর প্রভাব মূল্যায়ন শীর্ষক কর্মশালায় এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও এ বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ), হেলেন কেলার ইন্টারন্যাশনাল, অপথালমোলজিকাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওএসবি) এবং খেয়া ফাউন্ডেশন কর্তৃক কর্মশালায় আয়োজন করা হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিতে নিয়োজিত শ্রমিকরা দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। গার্মেন্টস খাতে নারী শ্রমিক বেশি। তাদের অবদান আমাদের স্বীকার করতে হবে। এখানে শ্রমিকদের বিভিন্নরকম স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে। অন্যান্য ঝুঁকির মধ্যেও চোখের সমস্যা পরিলক্ষিত হয়। গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য সমন্বিত চক্ষু সেবা বিষয়ক হেলেন কেলার ইন্টারন্যাশনাল এর উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়।
হেলেন’স তহবিল দ্বারা অর্থায়ন করা গার্মেন্টস খাতে শ্রমিকদের চোখের স্বাস্থ্য সেবা এবং পুষ্টির সমস্যাগুলোর সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, ঢাকা, মানিকগঞ্জ এবং কুমিল্লা জুড়ে শ্রম ঘন এলাকায় এই উদ্যোগ এর একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ স্থাপন করেছে যা গার্মেন্টস শিল্পে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং গুণমান উন্নত করতে অবদান রাখতে পারে।
ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াত বলেন, হেলেন কেলার ইন্টারন্যাশনাল এর উদ্যোগে ২৭ হাজরেরও বেশি কর্মীদের স্ক্রিনিং করা, হাজার হাজার রোগ নির্ণয় করা এবং শত শত ব্যক্তিকে ভর্তুকিযুক্ত চশমা বিতরণ করা একটি মাইলফলক। এ উদ্যোগ শেষে চক্ষু স্বাস্থ্য পরিষেবা গ্রহণ ১৪ শতাংশ থেকে ৯৩ শতাংশ এ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই উন্নতিগুলো শুধু পরিসংখ্যানগত ছিল না; তারা শ্রমিকদের জীবনকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করেছে। প্রকল্পের শেষ নাগাদ ৯৭ শতাংশ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে সক্ষম করেছে, যা শুরুতে ৮৪ শতাংশ ছিল।
চোখের সেবা এবং পুষ্টি উভয়ের উপর গুরুত্ব আরোপ করে কর্মক্ষেত্রে পারফরম্যান্স বৃদ্ধিতে হেলেন কেলার ইন্টারন্যাশনাল এর চক্ষু সেবা নিয়ে কাজ করার জন্য যা যা প্রয়োজন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় তাতে সহযোগিতা করবেন বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, গার্মেন্টস খাত নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ভেতরে ও বাহিরে কীভাবে সরকারকে দুর্বল করা যায় সে ষড়যন্ত্র বানচাল করে আমরা চেষ্টা করছি গার্মেন্টস সেক্টরে সুস্থ কর্মপরিবেশ ফিরিয়ে আনার। এ সেক্টরকে স্বচ্ছ ও গতিশীল করার জন্য আমরা কাজ করছি। চক্ষু সেবা নিয়ে কাজ করায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় হেলেন কেলার ইন্টারন্যাশনাল এর পাশে থাকবে বলে কর্মশালায় উপদেষ্টা মতামত ব্যক্ত করেন।
উপদেষ্টা দেশের পোশাক শ্রমিকদের চক্ষু সেবা পরিচর্যা ও নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষা করার জন্য হেলেন কেলার ইন্টারন্যাশনাল এর সহযোগিতায় বিজিএমইএ -কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। এ ছাড়াও ন্যূনতম মূল্যে শ্রমিকদের চশমা সরবরাহের কথা বলেন।
কর্মশালায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, হেলেন কেলার ইন্টারন্যাশনালের প্রতিনিধিরা, বিজিএমইএ এর সাপোর্ট কমিটির সদস্যরা, অপথালমোলজিকাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ এর প্রতিনিধি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/জেআর/ এইচআই