অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ অভিযান, জরিমানা ও মালামাল জব্দ
৭ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:০০ | আপডেট: ৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:৫৭
ঢাকা: লাইসেন্সবিহীনভাবে সিএনজি ফিলিং করে ট্রান্সপোর্ট করায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও ও ঢাকার কেরাণীগঞ্জে ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে চারটি চুন কারখানায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। যাদুঘর সংলগ্ন ইছাপাড়ায় দুই ভাট্টি বিশিষ্ট একটি চুন কারখানায় বৈধ আবাসিক সংযোগ থেকে অবৈধ বাণিজ্যিক শ্রেণিতে গ্যাস ব্যবহার করায় তা বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে এ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
অভিযানকালে ৩০০ ফিট এমএস ও ৬০০ ফিট পিভিসি পাইপ এবং একটি ব্লোয়ারসহ মোট ছয়টি বার্ণার জব্দ করা হয়েছে। প্রতিটি অবৈধ বিতরণ লাইন উৎস পয়েন্ট হতে কিলিং/ক্যাপিং করা হয়েছে। চারটি কারখানার মধ্যে তিনটি চুনকারখানার ভাট্টি অ্যাক্সেভেটর দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
এ সময় ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় চুন কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়। চারটি স্পটের তিনটি স্পটে মালিকপক্ষের কাউকে না পাওয়ায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে দণ্ড আরোপ করা যায়নি। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট একটি স্পটে একজনকে বাংলাদেশ গ্যাস আইন ২০১০ অনুযায়ী ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
এ ছাড়া মোগরাপাড়া, সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জে বিস্ফোরক অধিদফতরের লাইসেন্স ছাড়া সিএনজি গ্যাস ট্রান্সপোর্ট করে দূরবর্তী পরিবহণের জন্য সিলিন্ডারে ভর্তিকরণের অপরাধে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মধুমতি সিএনজি কমপ্লেক্সকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
একই দিনে মেঢাবিবি-২, জিঞ্জিরা জোন এর আওতাধীন দোলেশ্বর, কেরাণীগঞ্জ এলাকায় অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদের জন্য আরেকটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানকালে ডিজিএম, মেঢাবিবি-২, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসিসহ তিতাস গ্যাসের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানে নামবিহীন তিনটি ওয়াশিং কারখানার অবৈধ লাইন কিলিং করা হয়েছে।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে প্রায় শূণ্য দশমিক ১১৮৬ কিলোমিটার পাইপ লাইন অপসারণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও এই কারখানাগুলোর ১৮টি ড্রায়ার বার্নার, তিনটি বয়লার বার্নার ও একটি ভাট্টি বার্নার বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এতে দৈনিক ভিত্তিতে ৫০ হাজার ৮৮০ ঘনফুট গ্যাস সাশ্রয় হবে যার মূল্যমান প্রায় ৪৩ হাজার ২২৩ টাকা।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে মালিক পক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি। তাই তাৎক্ষণিক কোনো দণ্ড আরোপ করা যায়নি। এমতাবস্থায়, সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থাপক, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি, জিঞ্জিরাকে নিয়মিত মামলা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিস্ফোরক পরিদফতরের অনুমতি ও লাইসেন্স ব্যতিত অবৈধ ও বিপজ্জনকভাবে সিএনিজি স্টেশন নির্মাণ, কাভার্ড ভ্যানে গুচ্ছ সিলিন্ডার পরিবহণ ও গ্যাস বিক্রির অপরাধে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কেরানীগঞ্জের ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন ও আরটি ফিলিং স্টেশনকে ৫০ হাজার টাকা করে মোট এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন এবং তাৎক্ষণিক তা আদায় করা হয়। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠান দুইটির কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
সারাবাংলা/ জেআর/ এইচআই