কক্সবাজারে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার ৭
৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:৩১ | আপডেট: ৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:৩৩
কক্সবাজার: জেলার চকরিয়ায় কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরও ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে ঘটনায় মোট ৭ জনকে গ্রেফতার করা হলো। ভুক্তভোগী কিশোরী (১৫) মহেশখালী উপজেলার বাসিন্দা।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাত থেকে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত চকরিয়া ও মহেশখালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছেন চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনজুর কাদের ভূঁইয়া।
গ্রেফতাররা হলেন- চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের কলেজ পাড়ার মোহাম্মদ ইসহাকের ছেলে মোহাম্মদ কাজল (২৩) এবং একই ইউনিয়নের টুটিয়াখালী পাড়ার মৃত ইজ্জত আলীর ছেলে মো. বশির (৩৮), ঢেমুশিয়াপাড়ার আব্দুস সোবহানের ছেলে মো. শাহজাহান (২৭), বদরখালীর বাজারপাড়ার জিয়বুল করিমের ছেলে তাজুল ইসলাম (১৮), নুরুল আফসারের ছেলে সজীব (২৫), টুটিয়াপাড়া এলাকার বশির আহমদের ছেলে ছোটন (২৫), দাতিনাখালী আবু ছাহের ছেলে অমিত হাসান (২৫)।
ওসি মনজুর কাদের বলেন, ঘটনার পর থেকে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে চকরিয়া উপজেলার বদরখালী থেকে ২ জনকে ও মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর এলাকা থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে সোমবার মধ্যরাতে বদরখালীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জড়িত সন্দেহে বাকি তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরী ও পরিবারের কেউ এখনো থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি জানিয়ে ওসি বলেন, ‘ঘটনায় এখনো এজাহার দায়ের হয়নি। গ্রেফতারদের সন্ধিগ্ধ আসামী দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ভুক্তভোগী কিশোরীর শনাক্তের ভিত্তিতে তাদের আসামী করা হবে।’
মনজুর কাদের জানান, ভুক্তভোগী কিশোরী এখন কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি এখনো শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ নন।
ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত রোববার (৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে ভুক্তভোগী ওই কিশোরী চট্টগ্রাম থেকে বাস যোগে চকরিয়া উপজেলার বদরখালী স্টেশনে পৌঁছান। পরে সেখান থেকে মহেশখালীর গ্রামের বাড়ী ফেরার পথে বদরখালী-মহেশখালী সংযোগ সেতুর পূর্বাংশে গাড়ীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনি। এ সময় দূর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাকে তুলে পার্শ্ববর্তী প্যারাবনে নিয়ে যায়। পরে সেখানে ৮ জন যুবক মিলে তার উপর পাশবিক নির্যাতন চালায়।
এদিকে, ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে সোমবার বদরখালী স্টেশন, চকরিয়া উপজেলা সদর এবং কক্সবাজার শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সারাবাংলা/এসডব্লিউ