নথি উধাওয়ে বিচারাধীন মামলায় প্রভাব পড়বে না: তদন্ত প্রতিবেদন
৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:০৫ | আপডেট: ৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:৩৪
চট্টগ্রাম ব্যুরো: সরকারি আইন কর্মকর্তার (মহানগর পিপি) কার্যালয় থেকে নথি উধাওয়ের ঘটনায় বিচারাধীন মামলায় কোনো প্রভাব পড়বে না বলে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত জানিয়েছে। নথি উধাওয়ের ঘটনা তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত হাইকোর্টের একজন বিচারপতির প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে এসব কথা জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার সরকার গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে বিষয়টি তুলে ধরেন।
চট্টগ্রাম আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় মহানগর পিপি মফিজুল হক ভূঁইয়ার কার্যালয় থেকে এক হাজার ৯১১টি মামলার নথি (কেস ডকেট বা সিডি) উধাওয়ের ঘটনা গত রোববার জানাজানি হয়। এরপর পিপি নগরীর কোতোয়ালী থানায় এ সংক্রান্তে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
এদিকে মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সংবাদপত্রে প্রকাশিত নথি গায়েবের ঘটনা অবহিত হয়ে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য চট্টগ্রাম-১ অঞ্চলের অধঃস্তন আদালতসমূহের কার্যক্রম মনিটরিংয়ের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হাইকোর্টের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানকে নির্দেশনা দেন।
বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের তদন্ত প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের কোনো এজলাস বা চেম্বার থেকে কোনো ফৌজদারি মামলার নথি চুরি হয়নি। সংবাদপত্রে যে এক হাজার ৯১১ টি কেস ডকেট চুরির বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলো চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটরের কার্যালয়ের বারান্দা থেকে চুরি হয়েছে।
কেইস ডকেটগুলি ছিল ২০১৫ সালের আগের ফৌজদারি মামলা সংক্রান্ত। বেশিরভাগ মামলা এর মধ্যে নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। এছাড়া ফৌজদারি যে কোনো মামলার কেস ডকেটের একটি কপি সংশ্লিষ্ট সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংরক্ষিত থাকে। এর ফলে আদালতে বিচারাধীন কোনো ফৌজদারি মামলা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
সারাবাংলা/আরডি/ইআ