‘যারা অখণ্ড পাকিস্তান চেয়েছিল তাদের রাজনীতি ভুল প্রমাণ হয়েছে’
৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:১৪ | আপডেট: ৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:০৯
ঢাকা: বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, ‘ইসলাম ধর্মের দোহাই দিয়ে ৭১ সালে যারা পাকিস্তানকে অখণ্ড রাখতে চেয়েছিল, তাদের রাজনীতি ভুল প্রমাণিত হয়েছে ও তারা সেই ভুলের মাশুল এখনো দিচ্ছে।’
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক নাগরিক অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্মের নামে ব্যবসা ও জাতীয় নির্বাচন নিয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এ নাগরিক অবস্থান কর্মসূচি আয়োজন করে ‘তৃণমূল নাগরিক আন্দোলন’ নামের একটি সংগঠন।
সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘ধর্মের নামে এ দেশে ৫০টি সংগঠন আগে থেকেই ছিল। নতুন করে আরও ১৩ টি প্ল্যাটফর্ম দাঁড়িয়েছে। ধর্ম নিয়ে হানাহানি, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি কেন? দেশের মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত একটি গণতান্ত্রিক সরকারের দিকে মনোযোগ দেওয়া। আমরা আশা করি সেই প্রয়োজনের কেন্দ্রবিন্দুতে বিএনপি সবার সঙ্গে সবসময় থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন আগে নাকি সংস্কার আগে, একথা যারা বলেন তাদেরকে বলব, সংস্কার হচ্ছে একটা অন্তহীন প্রক্রিয়া। যতদিন পৃথিবী থাকবে, এদেশ থাকবে ততদিন সংস্কার চলমান থাকবে। কিন্তু, দীর্ঘ ১৭-১৮ বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষের যে প্রাণের আকাঙ্ক্ষা, ভোট কেন্দ্রে গিয়ে একটি ভোট দেওয়া, সেটা পূরণ করতে আপত্তি কোথায়?’
সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘নির্বাচনের মাধ্যমে যদি একটি নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়, তাদের কাছে যে শক্তি, সাহস ও দক্ষতা থাকবে, তা দিয়ে অনেক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। যেগুলো এ সরকারের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশে অনেক সমস্যা। অনেক সমস্যা আছে বলেই বিএনপি পক্ষ থেকে দুই বছর আগে জাতির মুক্তির সনদ হিসেবে সংস্কার কর্মসূচি দেওয়া হয়েছিল। আজকে এই সরকারও সংস্কারের কথা বলছে। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের ছোট্ট বন্ধুরা, শিক্ষার্থীরাও সংস্কারের কথা বলছে। আমরা সেই সংস্কারের জন্যই একত্রে, এক মিছিলে, এক কাতারে শামিল হতে চাই। যেখানে ইসলামপন্থী দলগুলো থাকবে। আবার অন্য ধর্মের মানুষরাও থাকবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার, সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রাখতে যারা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ তারাই সেখানে থাকবে। এখানে বিভাজন করার কোনো সুযোগ নেই।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের শিক্ষার্থীদেরকে উদ্দেশে আলাল বলেন, ‘আমরা আপনাদেরকে সম্মান করি, আমরা আপনাদের অবদানকে স্বীকার করি। একই সঙ্গে বলি, যারা অভিজ্ঞ, যারা দেশ পরিচালনা করেছে তাদের কাছ থেকে পরামর্শ ও সহায়তা নিন।’
তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি মফিজুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে কৃষক দলের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নাঈমের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হারুনুর রশিদ, তাঁতীদলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, মৎস্যজীবী দলের ইসমাইল হোসেন সিরাজী, কৃষকদলের কাদের সিদ্দিকী, বাংলাদেশ পিপলস পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বিলকিস খন্দকার, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম দলের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম প্রমুখ।
সারাবাংলা/এজেড/এমপি