দেশে বাড়ছে পাকা ঘরের সংখ্যা: বিবিএস
৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:৪৪ | আপডেট: ৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:২৯
ঢাকা: দেশে সিমেন্ট,কংক্রিট, ইট এবং পোড়ামাটির ঘর বাড়ছে। অর্থাৎ মাসুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তনের কারণে পাকা ঘর বাড়ছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য। ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস’ নামের এ প্রতিবেদনটি সম্প্রতি প্রকাশ করে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে পাকা ঘরের হার দাঁড়িয়েছে ৪৬ দশমিক ৩০ শতাংশে, যা ২০২২ সালে ছিল ৪৫ দশমিক ২৯ শতাংশ। এছাড়া ২০২১ সালে এ হার ছিল ৪৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
এ বিষয়ে প্রতিবেদনটি তৈরির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকল্প পরিচালক আলমগীর হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, দিন দিন অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি ঘটছে। ফলে টেকসই ঘর তৈরির দিকে মনোযোগ বাড়ছে।
তিনি জানান, বছরব্যাপী সারাদেশ থেকে স্থায়ী তথ্য সংগ্রহকারীদের মাধ্যমে এসব তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এটি বিবিসের নিয়মিত জরিপ। এর মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক বিভিন্ন চিত্র উঠে আসে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সিরামিক টাইলস বা ফার্নিশ কাঠের আগের তুলনায় ব্যবহার বাড়ছে। ২০২৩ সালে এ হার ছিল শূণ্য দশমিক ৭০ শতাংশ। ২০২২ সালে ছিল শূণ্য দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং ২০২১ সালে ছিল শূণ্য দশমিক ৪৭ শতাংশ।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, কাঠ, বাশঁ, চাটাই, তালগাছ সুপারির গাছের গুড়ির ব্যবহার আগের চেয়ে কমেছে। ২০২৩ সালে এ হার ছিল ২৩ দশমিক ২৪ শতাংশ। ২০২২ সালে ছিল ৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং ২০২১ সালে ছিল ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
এদিকে খড়, ছন, গোলপাতা, তালপাতা, বিচালি এবং পলিথিনের ব্যবহারও আগের চেয়ে কমেছে। ২০২৩ সালে এ হার ছিল শূণ্য দশমিক ১৮ শতাংশ। ২০২২ সালে ছিল শূণ্য দশমিক ২০ শতাংশ এবং ২০২১ সালে ছিল শূণ্য দশমিক ১৯ শতাংশ।
এ ছাড়া কাদা মাটির ঘরের ব্যবহারও কমেছে। ২০২৩ সালে এ হার ছিল ৭ দশমিক শূণ্য ৮ শতাংশ। ২০২২ সালে ছিল ৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং ২০২১ সালে ছিল ৮ দশমিক ০১ শতাংশ।
সারাবাংলা/জেজে/ইআ