প্রতিষ্ঠার একযুগেও সমাবর্তন পায়নি বশেমুরবিপ্রবি!
৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:২৮ | আপডেট: ৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:৫৮
বশেমুরবিপ্রবি: স্নাতক সম্পন্ন করার পর সমাবর্তনের মাধ্যমেই আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় মূল সনদপত্র। এ কারণে প্রতিটি শিক্ষার্থীর জীবনে সমাবর্তন বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। সমাবর্তনে কালো গাউন পরে আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। তবে প্রতিষ্ঠার একযুগের বেশি সময় পার হলেও সমাবর্তন পাইনি গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) আটটি ব্যাচের স্নাতক শেষ করা শিক্ষার্থীরা।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিনিয়ত ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের যথাযথ উদ্যোগের অভাবে সমাবর্তন হচ্ছে না।
২০০১ সালের ৮ জুলাই মহান জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয়। বিভিন্ন বাধার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রম সেসময় সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে। ২০১০ সালের ২০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর আইন বাস্তবায়নের জন্য সরকার এসআরও জারি করে। অবশেষে ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় এর অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়।
এরপর দীর্ঘ এক যুগ পেরোলেও কোনো সমাবর্তন পাননি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পাশ করা সমাবর্তন পাওয়ার যোগ্য প্রায় ৮ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী অপেক্ষায় আছেন। এদিকে যতোই দিন গড়াচ্ছে ততোই বেড়ে চলছে এই সংখ্যা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী নাইম হোসেন বলেন, ‘বশেমুরবিপ্রবির প্রতিষ্ঠার ১৪ বছরেও সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়নি। এমতাবস্থায় একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিদ্রুত সমাবর্তনের নতুন ঘোষণাসহ প্রতি দুইবছর অন্তর অন্তর সমাবর্তন চাই।’
বিশ্ববিদ্যালায়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী সুজন চৌধুরী বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে আচার্যের হাতে মূল সনদপত্র নিয়ে বের হওয়া। কিন্তু বশেমুরবিপ্রবি স্নাতক শেষ করা একজন শিক্ষার্থী তার প্রাপ্য এই স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের সমন্বয়হীনতা, উদাসীনতা এবং যথাযথ উদ্যোগের অভাবে সমাবর্তন হচ্ছে না। এটা আমাদের জন্য যেমন কষ্টের তেমনি লজ্জার। আমাদের একটাই আশা, একটাই চাওয়া আমাদের প্রাপ্য সম্মানের সঙ্গে উৎসবমুখর বিদায় চাই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর বলেন, ‘আমরা আপাতত সমাবর্তনের দিকে যাচ্ছি না। তবে জানুয়ারির শেষে বা ফেব্রুয়ারির শুরুতে আমরা শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করব। এবারের শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠান বিগত সময়ের তুলনায় আরও জমকালোভাবে আয়োজনের প্রচেষ্টায় আছি। যেহেতু আমি নতুন এসেছি তাই সমাবর্তনের মতো একটা বৃহৎ অনুষ্ঠান এ বছরই আয়োজন করা সম্ভব না। তবে পরবর্তী বছর থেকে আমরা সমাবর্তন আয়োজনের চেষ্টা করব।’
সারাবাংলা/এইচআই