কাতারের সঙ্গে বৈঠকে সিরিয়ার নতুন শাসকেরা
৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১১:৫২ | আপডেট: ৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:৫৫
গত মাসে সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ার নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ সেইবানিসহ অন্তর্বর্তী সরকারের মন্ত্রীরা তাদের প্রথম সফরের জন্য রোববার (৫ জানুয়ারি) কাতারে পৌঁছেছেন।
ইতোমধ্যেই কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক সম্পন্ন করেছেন সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ সেইবানি।
কাতার জানিয়েছে, তারা চায় সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটুক। সিরিয়া ফের একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত হোক।
এদিকে সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, আসাদ সরকারের আমলে আমেরিকা সিরিয়ার উপর যে নিষেধাজ্ঞাগুলো চাপিয়েছিল, তা যেন এবার তুল নেওয়া হয়। কাতার যেন এ বিষয়ে মধ্যস্থতা করে।
এছাড়াও কাতারের সঙ্গে সিরিয়া ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করতে চায় বলে জানিয়েছেন তিনি। পরিকাঠামোর উন্নতির জন্য কাতারের সাহায্য প্রয়োজন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রোববার বৈঠকের পর কাতারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সিরিয়ার নতুন প্রশাসনকে তারা স্বাগত জানাচ্ছে। সিরিয়ার মন্ত্রীরা ইতোমধ্যেই তাদের উপর থেকে আমেরিকার একাধিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন। সিরিয়াও বিষয়টি স্বীকার করেছে।
বলা হয়েছে, গৃহযুদ্ধের ফলে ৯০ শতাংশ সিরিয়ার মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে চলে গেছেন। তাদের কোনো আয় নেই। অনেকের বাড়ি যুদ্ধে ধসে গেছে। সিরিয়ার অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, সরকারি কাজের ক্ষেত্রে সকলের বেতন ৪০০ শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন, আসাদের আমলে বিশ্ব রাজনীতিতে সিরিয়ার যে কূটনৈতিক অবস্থান ছিল, এবার তা ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে আমেরিকার দিকে যাবে।
কাতারে গিয়ে সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে। তারা সরাসরি আমেরিকা এবং পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। এর ফলে তারা যে বিদেশি সাহায্য আরও অনেকটা বাড়াতে পারবে, সে কথাও প্রায় খোলাখুলি বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, মাত্র দুই সপ্তাহ আগে সিরিয়ায় ক্ষমতা দখল করেছে ইসলামিক বিদ্রোহী দল এইচটিএস। দীর্ঘ দিন পরে সাবেক প্রেসিডেন্ট বাসার আসাদের সরকারের পতন হয়েছে। আসাদের সঙ্গে রাশিয়া এবং ইরানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।
ক্ষমতায় আসার পরপরই কাতারের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক তৈরির প্রচেষ্টাকে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
সারাবাংলা/এসডব্লিউ