নিষিদ্ধের পরও রাবি ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের উপস্থিতি, শেখানো হচ্ছে ড্রাইভিং
৪ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:০১ | আপডেট: ৪ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:০৪
রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বহিরাগতদের প্রবেশ ও অবস্থান নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। গত ২ জানুয়ারি থেকে প্রশাসন এ সিদ্ধান্ত নিলেও ক্যাম্পাসের চত্বরগুলোতে বহিরাগতদের উপস্থিতি ছিল মিলনমেলার মতো। প্রধান সড়কগুলোতে দেখা গেছে ফিটনেসবিহীন গাড়ি নিয়ে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। তবে প্রশাসন বলছে, পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে কিছুটা সময় লাগবে।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) সরেজমিনে ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসির সামনের পিঠার দোকানগুলোসহ বিভিন্ন চায়ের আড্ডায় বহিরাগতদের সরব উপস্থিতি। এ ছাড়াও প্যারিস রোডে গাড়িতে স্টিকার লাগিয়ে শেখানো হচ্ছে ‘ড্রাইভিং’।
এ সময় কথা হয় গাড়ির প্রশিক্ষণের দায়িত্বে থাকা তমালের সঙ্গে। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১৫-২০ জন শিক্ষক ও কয়েকজন শিক্ষার্থী তার কাছে প্রশিক্ষণ নেন। তারাই (শিক্ষক) তাকে ক্যাম্পাসে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য অনুমতি দিয়েছেন। শিক্ষকরা ক্যাম্পাসে ডাকার কারণে তিনি না করতে পারেননি।’
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক, কাজলা ও বিনোদপুর গেটে নেই পরিচয় যাচাইয়ের কোনো ব্যবস্থা। তাছাড়া ক্যাম্পাসে প্রক্টরিয়াল টিমের কোনো মনিটরিংও নেই।
এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী আসমাউল রিন্তি বলেন, ‘বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। তবে প্রশাসন শুধু বিজ্ঞপ্তিতেই তুষ্ট হয়ে আছেন। কোনো ধরনের তদারকি নেই, থাকলেও তা নাম মাত্র। অনেক সময় মোটরসাইকেল, মাইক্রো নিয়ে দ্রুত গতিতে ক্যাম্পাসে চলাচল করে ফলে আমরা দুর্ঘটনার আতঙ্কে থাকি। বহিরাগত নিষিদ্ধে শুধু বিজ্ঞপ্তিতে ক্ষান্ত না হয়ে এটি কার্যকরে প্রশাসনের যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ।’
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, ‘আমরা মনিটরিং করছি তবে সেটা যথেষ্ট হচ্ছে না। সেদিন উদ্ভুত পরিস্থিতি সাপেক্ষে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এটি পুরোপুরি বাস্তবায়নে আমাদের আরও কিছু লোকবল দরকার। মোটামুটি ১ সপ্তাহের মধ্যে আমরা ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ ঠেকাতে সক্ষম হতে পারব।
‘বহিরাগতরা গাড়ি নিয়ে এসে ড্রাইভিং শিখছে’ এ বিষয়ে তিনি বলেন, এ ধরনের কার্যক্রমের কোনো সুযোগ নেই। আমরা এ বিষয়ে আরও কঠোর হবো।
সারাবাংলা/এইচআই