ঠাকুরগাঁওয়ে আ.লীগের ৫০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
৩ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:৫৬ | আপডেট: ৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০১:০০
ঠাকুরগাঁও: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে ককটেল বিস্ফোরণ, মারধর ও বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার অভিযোগে ঠাকুরগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের ২৯৪ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন বিএনপির এক নেতা। মামলায় অজ্ঞাত আরও ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুর রহমান জানান, বুধবার (১ জানুয়ারি) রাতে মামলাটির এজাহার নথিভুক্ত করা হয়েছে।
মামলার বাদী জেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক সত্যজিৎ কুমার কুন্ডু জানান, দলের সিদ্ধান্তে এ মামলার বাদী হয়েছেন তিনি। দলের নির্দেশেই দিন দশেক আগে থানায় অভিযোগপত্রটি জমা দেন। মামলার অনেক আসামিকে তিনি চেনেন না বলে জানান।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন— জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক সন্তোষ কুমার আগরওয়ালা, কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ঠাকুরগাঁও পৌরসভার সাবেক মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা, সাবেক সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য দ্রৌপদী দেবী আগরওয়ালা।
মামলার তথ্য শুনে একাধিক আসামি ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, হয়রানি করার জন্যই বিএনপির পক্ষ থেকে এ মামলা করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিনের মোবাইল নম্বরে কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
মামলায় এজাহারে বলা হয়েছে, ২৯৪ জন আসামিসহ অজ্ঞাত ৫০০ জন ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশি মারাত্মক অস্ত্র নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। তারা সত্যজিৎ কুমার কুন্ডুসহ তার অনুসারীদের ওপর হামলা করে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাতে থাকে। আসামিদের সঙ্গে থাকা পিস্তলের গুলিতে উপস্থিত ছাত্র-জনতার অনেকে গুরুতর আহত হন।
এজাহারে আরও বলা হয়েছে, হামলার শিকার হয়ে বাদী সত্যজিৎ জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিলে আসামিরাও বিএনপি কার্যালয়ের চারপাশে অবস্থান নেয়। তারা সেখানে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটালে বিএনপির এই নেতা প্রাণ বাঁচাতে দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। আসামিরা এ সময় প্লাস্টিকের বোতলে পেট্রোল দিয়ে পার্টি অফিসে আগুন দেয়।
হামলায় বিএনপি কার্যালয়ের পাঁচটি ল্যাপটপ, দুটি টিভি, একটি ফ্রিজ, একাধিক চেয়ার-টেবিল ও তিনটি এসি নষ্ট হয়ে যায়। এতে আনুমানিক এক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে রয়েছে দাবি করা হয়েছে এজাহারে।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি শহিদুর রহমান বলেন, বুধবার রাতে সত্যজিৎ কুমার কুন্ডু ২৯৪ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেছেন। মামলার আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।
সারাবাংলা/এনজে