ফিরে দেখা ২০২৪
বিজয়ে শুরু, ক্ষমতাচ্যুতির ধাক্কায় দিশেহারা হয়ে বছর শেষ আ.লীগের
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ ২২:৫৯ | আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩:৩২
ঢাকা: বছরের প্রথম সপ্তাহের শেষ দিনে ছিল জাতীয় নির্বাচন। তাতে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতাসহ জয় নিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে ফুরফুরে মেজাজে বছর শুরু করেছিল আওয়ামী লীগ। শেখ হাসিনা নিজে টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন।
আগের তিনবারই পূর্ণ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকলেও এবার সরকারের স্থায়িত্ব হয় সাত মাসেরও কম। সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের আন্দোলন ঘিরে গড়ে ওঠা অভূতপূর্ব ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হতে হয় আওয়ামী লীগকে। শেখ হাসিনা নিজে দেশত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর ছাত্র-জনতা গণভবন দখল নেয়। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়, ধানমন্ডিতে দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়, আগুন দেওয়া হয়। সারা দেশে অনেক নেতাকর্মীর বাসাতেও চলে হামলা। নিরাপত্তা সংকটে ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হন দলের কেন্দ্রীয় নেতা, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
বর্তমানে দলের চেনাপরিচিত নেতাদের মধ্যে বড় একটি অংশ বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাবন্দি জীবন কাটাচ্ছেন। বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিরা এখনো রয়েছেন আত্মগোপনে। নেতাকর্মীদের কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অন্তবর্তী সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে সরব হয়েছেন।
ক্ষমতাচ্যুতির পাঁচ মাস পরও মাঠের রাজনীতিতে ফিরতে পারেনি আওয়ামী লীগ। বিভিন্ন ইস্যুতে কেবল দলের হাইকমান্ড থেকে বক্তব্য, বিবৃতি, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হচ্ছে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে। দলের কেন্দ্রীয় নেতারা কেউ কেউ ভিডিওবার্তা দিচ্ছেন। দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা অবশ্য ভারতে থেকেই অনলাইনে যুক্ত হয়ে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় শুরু করছেন।
সব মিলিয়ে শুরুটা ভালো হলেও বছরের মাঝামাঝি থেকেই কক্ষচ্যুত আওয়ামী লীগ। শেষ সময়ে এসে রীতিমতো দিশেহারা। দলীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, কবে নাগাদ আওয়ামী লীগ মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয় হবে তার কোনো দিকনির্দেশনা নেই। অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় নির্বাচনের যে রোডম্যাপ সামনে আনার প্রক্রিয়ায় রয়েছে, সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে কি না তা নিয়েও রয়েছে ঘোর অনিশ্চয়তা। বিদায়ী বছরে দলটির গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঘটনার বিবরণ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
-
‘ডামি প্রার্থী’দের নিয়ে ভোট
‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ স্লোগানে ইশতেহার ঘোষণা করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয় আওয়ামী লীগ। রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো এ নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য করতে দল থেকে প্রার্থী হতে আগ্রহীদের জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ উন্মুক্ত করে আওয়ামী লীগ। এসব প্রার্থীকে ‘ডামি প্রার্থী’ অভিহিত করে রাজনৈতিক দলগুলো।
৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ২২৪ জন। বিরোধী দল জাতীয় পার্টি পায় মাত্র ১১টি আসন। একটি করে আসন পায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি। আর স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় পাস ৬২ আসনে, যাদের প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত নেতা।
-
টানা চতুর্থবার সরকারে
‘ডামি প্রার্থী’দের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলেও অনেক আসনেই কেউ কাউকে ছাড় দেননি। কোথাও কোথাও নির্বাচনি সহিংসতা চূড়ান্ত আকার ধারণ করে। এসবের মধ্যেই ভোটে জিতে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হন টানা চতুর্থ ও মোট পঞ্চমবারের মতো। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর ১১ জানুয়ারি শেখ হাসিনা ও তার নেতৃত্বাধীন নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেয়।
-
মন্ত্রিসভায় ব্যাপক রদবদল, প্রবীণে প্রাধান্য
টানা তিনবার সরকার পূর্ণ মেয়াদ পূরণ করার পর চতুর্থ মেয়াদে শেখ হাসিনা তার মন্ত্রিসভায় ব্যাপক রদবদল আনেন। ১৭ মন্ত্রণালয়ে নিয়ে আসেন নতুন মুখ, সাত মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয় নবীনদের। কখনোই মন্ত্রিসভায় ছিলেন না, এমন ১৪ জনকে তিনি স্থান দেন মন্ত্রিসভায়।
এ ছাড়া আগের তিন মেয়াদেই মন্ত্রিসভায় নবীনদের প্রাধান্য দিলেও এবারে সম্পূর্ণ বিপরীত পথে হাঁটেন শেখ হাসিনা। পঞ্চাশের নিচে বয়স, মন্ত্রিসভায় এমন সদস্য ছিলেন মাত্র চারজন। ৫০ থেকে ৫৯ বছর বয়সী পাঁচজনকে রাখা হয় মন্ত্রিসভায়। ৬০ থেকে ৬৯ বছর বয়সী ছিলেন ১১ জন। সবচেয়ে বেশি ১৫ ছিলেন ৭০ থেকে ৭৯ বছর বয়সের মধ্যে। এমনকি ৮০ বছরের বেশি বয়সী দুজনও স্থান পেয়েছিলেন শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায়।
-
‘পতনের বীজ’ কোটা সংস্কার আন্দোলনে
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আত্মপ্রকাশ ঘটে ১ জুলাই। আওয়ামী লীগ হালকাভাবে নেওয়ায় এই প্ল্যাটফর্মই কয়েক দিনের মধ্যে পরিণত হয় মহীরূহে, যা দলটির ‘পতনের বীজ’ হয়ে দাঁড়ায়।
শুরুতে চার দাবিতে লাগাতার কর্মসূচির ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। থেকে ৬ জুলাই সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ, মানববন্ধন, মহাসড়ক অবরোধ ইত্যাদি কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। ৭ জুলাই ঢাকায় গণপরিবহন বন্ধ ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি চালায়। পরে সারা দেশে পালন করা হয় অবরোধ কর্মসূচি ‘বাংলা ব্লকেড’।
এসব কর্মসূচি শুরুর দিকে অহিংসই ছিল। ধীরে ধীরে বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘাত হতে শুরু করে। ১৪ জুলাই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ঢাকায় গণপদযাত্রা করে বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে স্মারকলিপি দেন।
-
শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেল, ওবায়দুল কাদেরের ‘উসকানি’
চীন সফর শেষে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ১৪ জুলাই-ই এক সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তার দেওয়া বক্তব্য কোটা সংস্কার আন্দোলনকে চূড়ান্ত পরিণতির দিকে ঠেলে দেয়। ওই সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? তাদের নাতিপুতিরা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতিপুতিরা (চাকরি) পাবে?’
এই বক্তব্যের মাধ্যমে শেখ হাসিনা কোটা সংস্কারের আন্দোলনকারীদের রাজাকার অভিহিত করেছেন অভিযোগ করে রাতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উত্তাল হয়ে ওঠে। মধ্যরাতে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে বের হন। স্লোগান ওঠে, ‘‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার/ কে বলেছে কে বলেছে, স্বৈরাচার স্বৈরাচার।’
শেখ হাসিনার বক্তব্যের পর আন্দোলনকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দিতে শেষ পেরেক ঠোকেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ১৫ জুলাই তিনি বলেন, এসব ‘রাজাকার’দের জবাব দিতে ছাত্রলীগই যথেষ্ট। তার এমন বক্তব্যের পর ১৬ জুলাই সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘাত শুরু হয় ছাত্রলীগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। রংপুর, চট্টগ্রাম, ঢাকায় নিহত হন অন্তত ছয়জন। এর মধ্যে রংপুরে পুলিশের সামনে বুক পেতে দেওয়া আবু সাঈদ গুলিতে নিহত হলে সেই মুহূর্তের ভিডিও আন্দোলনের পেছনে ফেরার সব রাস্তা বন্ধ করে দেয়।
-
ইন্টারনেট বন্ধ, কারফিউ জারিতেও ঠেকেনি পতন
১৬ জুলাইয়ে ছয়জন নিহতের পর সারা দেশেই কোটা সংস্কারের আন্দোলন সহিংস হয়ে ওঠে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হতে থাকে ছাত্রলীগ-যুবলীগসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। আন্দোলনে যুক্ত হন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ধীরে ধীরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠনসহ সাধারণ মানুষের সমর্থনও বাড়তে থাকে আন্দোলন ঘিরে। পরিস্থিতি ঠেকাতে সরকার কারফিউ জারি করে, সারা দেশে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু তা কাজে আসেনি।
দিন দিন আন্দোলনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষের সমর্থন-সংশ্লিষ্টতা বাড়তে থাকে। ৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার থেকে সরকার পতনের এক দফা ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ৫ আগস্ট ঘোষণা করা হয় ‘মার্চ টু ঢাকা’। এর মধ্যেই প্রায় আগের দুই সপ্তাহে প্রায় সহস্রাধিক প্রাণহানি মানুষকে উত্তাল করে তুলেছিল। শেষ পর্যন্ত ৫ আগস্ট জনতার ঢল যখন ঢাকামুখী, তখন দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে আশ্রয় নেন ভারতে। আওয়ামী লীগ নেতারাও যে যার মতো আত্মগোপনে চলে যান। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন কেউ কেউ। আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসান ঘটে।
-
অস্তিত্বের সংকটে আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর শুরুতে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যমে উপস্থিত হয়ে দলের বক্তব্য তুলে ধরার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে গিয়ে তার এই তৎপরতা বন্ধ হয়ে যায়। এর মধ্যে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে শেখ হাসিনার বেশ কয়েকটি ফোনালাপের অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে ২৩ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকার নিষিদ্ধ করে আওয়ামী লীগের ভাতৃপ্রতিম ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগকে।
সরকার পতনের পর গোপালগঞ্জ, চট্টগ্রাম ও সিলেটে কিছু নেতাকর্মী বিক্ষোভ, মিছিল করার চেষ্টা করেন। পরে তা থেমে যায়। নিষিদ্ধ ঘোষণার পর ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করায় তারা প্রকাশ্যে আসতে পারছে না। তবে যুবলীগ দিবসভিত্তিক কিছু কর্মসূচিতে বিচ্ছিন্নভাবে লুকিয়ে অংশ নিচ্ছে। দেশের বাইরে দলের শাখাগুলো থেকে সভা-সেমিনার ও বিক্ষোভ কর্মসূচি দেওয়া হচ্ছে। দুয়েকটি অনুষ্ঠানে ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনাও ভার্চুয়ালি অংশ নিয়েছেন।
এসব কার্যক্রম চললেও কার্যত আওয়ামী লীগের অস্তিত্বই রয়েছে সংকটে। শেখ হাসিনাসহ দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গণহত্যাসহ হত্যা ও নানা অভিযোগে মামলার বিচার কার্যক্রম চলমান। রয়েছে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিও। বছরখানেকের মধ্যে যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে বলে আলোচনা রয়েছে, তাতেও দলটির অংশগ্রহণ একেবারেই অনিশ্চিত। সব মিলিয়ে পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর আওয়ামী লীগ যেমন তীব্র বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল, এবার হয়তো তার চেয়েও বেশি সংকটে পড়ল দলটি।
-
শীর্ষ নেতারা গ্রেফতার হয়ে কারাগারে
সাবেক সংসদ সদস্য, মন্ত্রী ও দলীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের অনেকেই এরই মধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন— আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, আমির হোসেন আমু, নুরুল ইসলাম সুজন, রমেশ চন্দ্র সেন, মাজহারুল ইসলাম সুজন, আসাদুজ্জামান নূর, টিপু মুনশি, রাগেবুল হাসান রিপু, সাধন চন্দ্র মজুমদার, জুনাইদ আহমেদ পলক, শামসুল হক টুকু, আ স ম ফিরোজ, আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, জাহিদ ফারুক, কামরুল ইসলাম।
এ তালিকায় আরও রয়েছেন হাজী সেলিম, সোলায়মান সেলিম, কামাল আহমেদ মজুমদার, নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, গাজী গোলাম দস্তগীর, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান, শাজাহান খান, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, দীপু মনি। এর মধ্যে অবশ্য সাবের হোসেন চৌধুরী গ্রেফতার হয়ে জামিনে আছেন।
সারাবাংলা/এনআর/টিআর
২০২৪ সাল আওয়ামী লীগ ইন্টারনেট শাটডাউন ওবায়দুল কাদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শেখ হাসিনা সরকার পতন