১ জানুয়ারি সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংহতি দিবস পালন করবে সিপিবি
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:৪৭ | আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:৫০
ঢাকা: ১ জানুয়ারি ‘সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংহতি দিবস’। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিসহ (সিপিবি) প্রগতিশীল গণসংগঠনগুলো নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রতিবারের মতো এবারও বুধবার সকালে মতিউল-কাদের চত্বরের সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংহতি স্মারকে (জাতীয় প্রেসক্লাব মোড়ে) সিপিবির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে। এ ছাড়া প্রগতিশীল সংগঠনগুলো ও বিভিন্ন বামপন্থি দলের পক্ষ থেকেও শহিদ বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) এই দিবস উপলক্ষ্যে সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম এবং সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘যে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছিল, ভিয়েতনামে সেই সাম্রাজ্যের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সংহতি জানাতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন মীর্জা কাদের ও মতিউল ইসলাম।’
নেতারা বিবৃতিতে বলেন, মার্কিনিদের সাম্রাজ্যবাদী থাবা সারা পৃথিবীর শান্তিকে ব্যাহত করছে। আজও মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ নগ্ন হস্তক্ষেপ করে মধ্যপ্রাচ্যসহ সারা পৃথিবীতে নতুন অস্থিরতার জন্ম দিয়েছে। মার্কিনিরা সমরাস্ত্র বিক্রির জন্য সারা পৃথিবীতে যুদ্ধ-বিগ্রহ লাগিয়ে রেখেছে। তাদের স্বার্থের পক্ষে দেশে দেশে দোসর, লুটেরা শ্রেণিকে মদদ দিয়ে শোষণের রাজনীতি টিকিয়ে রেখেছে।’ ঐক্যবদ্ধভাবে সাম্রাজ্যবাদ ও তার দেশীয় অনুচরদের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তোলে মানবমুক্তিকে অগ্রসর করে নিতে নেতারা দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামরত ভিয়েতনামের জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশের জন্য ১৯৭৩ সালের ১ জানুয়ারি মিছিল বের করে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন। মিছিলটি তৎকালীন মার্কিন তথ্য কেন্দ্রের সামনে আসলে বিনা উস্কানিতে পুলিশ আকস্মিকভাবে গুলি চালায়। স্বাধীন দেশের মাটি শহিদের রক্তে রঞ্জিত হয়। পুলিশের গুলিতে নিহত হন ছাত্রনেতা মির্জা কাদেরুল ইসলাম ও মতিউল ইসলাম। আহত হন অসংখ্য ছাত্র ইউনিয়ন নেতাকর্মী। স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে পরদিন ফুঁসে ওঠে সারাদেশ। বিক্ষোভের নগরীতে পরিণত হয় রাজধানী ঢাকা। ওইদিন ঢাকার সর্বত্র স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল পালন করা হয়। তারপর থেকেই পহেলা জানুয়ারি হয়ে ওঠে এ দেশের মানুষের সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সংহতি দিবস।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/ এইচআই