Sunday 05 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কর্মচারীদের প্রতি নির্দেশনা
সরকারের সিদ্ধান্তে প্রকাশ্যে অসন্তোষ-বিরোধিতা নয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:১৭ | আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:২৬

ঢাকা: সরকারের আদেশ বা সিদ্ধান্ত পালনে জনসম্মুখে আপত্তি উত্থাপন করা কিংবা বাধা দেওয়া বা এ নিয়ে কাউকে প্ররোচিত করা থেকে সরকারি কর্মচারীদের বিরত থাকতে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

ওই বিধিমালা অনুসরণ করে সরকারের বা কর্তৃপক্ষের কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রকাশ্যে অসন্তুষ্টি বা বিরক্তি প্রকাশ করতেও নিষেধ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এই বিধিমালা লঙ্ঘন করলে কর্মচারীরা অসদাচরণের দায়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার আওতায় আসবেন।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি-৪ শাখা এ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে সরকারি কর্মচারীদের জন্য নির্ধারিত আচরণ বিধিমালার চারটি ধারা উল্লেখ করে সেগুলো স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্টদের।

মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. কামরুজ্জামানের সই করা বিজ্ঞপ্তিটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, সব বিভাগ ও মন্ত্রণালয়, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট সব দফতরে পাঠানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জনসেবা ও রাষ্ট্রের প্রশাসনিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় সরকারি কর্মচারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। সরকারি কর্মচারীদের সুশৃঙ্খল, দায়িত্বশীল ও পেশাদার আচরণের ওপর জনপ্রশাসনের সফলতা নির্ভর করে। সম্প্রতি বিভিন্ন পদমর্যাদার কিছু সরকারি কর্মচারীর বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে সমাবেশ, অবস্থান ধর্মঘট, মানববন্ধন, কলম বিরতিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের কারণে সরকারি কর্মচারীদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

ইদানীং সরকারের কোনো কোনো সিদ্ধান্ত, আদেশ বা সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন হওয়ার আগেই ওইসব বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিরূপ মন্তব্যসহ বিবৃতি প্রকাশ করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। বলা হয়েছে, এ ধরনের আচরণ সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯-এর পরিপন্থি। এ ধরনের আচরণ ওই বিধিমালার ৩০ নম্বর ধারার চারটি উপধারার সঙ্গে সাংঘর্ষিক উল্লেখ করে ধারাগুলো স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে কর্মচারীদের। উপধারাগুলো হলো—

বিজ্ঞাপন
  • সরকার অথবা কর্তৃপক্ষের কোনো সিদ্ধান্ত বা আদেশ পালনে জনসম্মুখে আপত্তি উত্থাপন করতে বা কোনো প্রকারে বাধা দিতে পারবেন না, অথবা অন্য কোনো ব্যক্তিকে আপত্তি উত্থাপন বা বাধা দিতে উত্তেজিত বা প্ররোচিত করতে পারবেন না;
  • সরকারের বা কর্তৃপক্ষের কোনো সিদ্ধান্ত বা আদেশ সম্পর্কে জনসম্মুখে কোনো অসন্তুষ্টি বা বিরক্তি প্রকাশ করতে অথবা অন্যকে তা করার জন্য প্ররোচিত করতে অথবা কোনো আন্দোলনে অংশ নিতে বা অন্যকে অংশ নিতে প্ররোচিত করতে পারবেন না;
  • সরকার বা কর্তৃপক্ষের কোনো সিদ্ধান্ত বা আদেশ পরিবর্তন, বদলানো, সংশোধন বা বাতিলের জন্য অনুচিত প্রভাব বা চাপ প্রয়োগ করতে পারবেন না; এবং
  • সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে বা কোনো শ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে যেকোনোভাবে অসন্তুষ্টি, ভুল বোঝাবুঝি বা বিদ্বেষ তৈরিতে অথবা অন্যকে প্ররোচিত করতে পারবেন না।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯-এর যেকোনো বিধান লঙ্ঘন সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর আওতায় অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে। কোনো সরকারি কর্মচারী এ বিধিমালার কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে তিনি অসদাচরণের দায়ে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থার আওতায় আসবেন।

সরকারি কর্মচারীদের শৃঙ্খলা বহির্ভূত এ ধরনের আচরণের বিষয়ে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

সারাবাংলা/জেআর/টিআর

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সরকারি কর্মচারী সরকারি কর্মচারী বিধিমালা সরকারি সিদ্ধান্ত

বিজ্ঞাপন

চলে গেলেন প্রবীর মিত্র
৫ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:৪২

আরো

সম্পর্কিত খবর